আসসালামু আলাইকুম,
আশা করি সবাই ভাল আছেন, সুস্থ আছেন।
আল্লাহর রহমতে আমিও ভাল আছি।
প্রথম ও দ্বিতীয় সপ্তাহের মত আপনাদের সামনে আমি হাজির হয়েছি তৃতীয় সপ্তাহের ৬ষষ্ঠ শ্রেণির কৃষি শিক্ষা এসাইনমেন্ট এর প্রশ্ন ও উত্তর নিয়ে।
আমার এই পোস্টটি আপনারা প্রশ্ন ও উত্তর পেয়ে যাবেন।
অ্যাসাইমেন্ট-
ময়মনসিংহ জেলার তারাকান্দা গ্রামের আদর্শ কৃষক আব্দুর রহিম নিজ বাড়িতে দুটি গাভী, ২০টি হাস,২০টি মুরগি পালন করেন। এছাড়াও বাড়ির আঙ্গিনায় বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি ফলমূল এবং পুকুরে নানা ধরনের মাছ চাষ করে থাকেন। তিনি মনে করেন মৌলিক চাহিদাগুলোর অধিকাংশই তার কার্যক্রম থেকে পেয়ে থাকেন।
তুমি কি মনে করো মানুষের মৌলিক চাহিদাগুলোর সবকটি কৃষি কার্যক্রমের মাধ্যমে পূরণ করা সম্ভব?
যুক্তি দ্বারা তোমার মতামত উপস্থাপন করো-
বাংলাদেশ কৃষিভিত্তিক দেশ। আমাদের জীবনে কৃষির গুরুত্ব অনেক। কারণ আমাদের মৌলিক চাহিদা যেমন -খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা ও চিকিৎসা।
উপরের সবগুলোই কৃষি থেকে পাওয়া সম্ভব। কারণ কৃষির পরিধি ব্যাপক। ফসল পশুপাখি মৎস্য ও বনায়ন নিয়ে আমাদের কৃষি।
বর্তমান প্রেক্ষাপটের কৃষি অতি লাভজনক ও সম্মানজনক একটি পেশা।
তাই অনেকেই কৃষিকে তাদের পেশা হিসেবে বেছে নিচ্ছে।
খাদ্য জীবনধারণের জন্য অপরিহার্য। আর এই খাদ্য সবটুকুই আসে কৃষি থেকে। ধান, গম, ভুট্টা আলু শাক সবজি ফল ফলাদি হাঁস-মুরগির যেমন কৃষি থেকে পাওয়া যায়। সেই সাথে প্রচুর পুষ্টি পাওয়া যায়।
খাদ্যের পাশাপাশি আমাদের বস্ত্র প্রয়োজন আর এই বস্ত্রের চাহিদাও আমরা কৃষি থেকেই পেয়ে থাকি। কাপড় তৈরীর জন্য রেশম, তুলা, পাট আমরা কৃষি থেকেই পেয়ে থাকি।
বসবাসের জন্য আমাদের ঘর ও আসবাবপত্রের প্রয়োজন হয়। কাঠ বাঁশ গোলপাতা ইত্যাদি থেকে আমাদের গৃহ নির্মাণ সামগ্রী ও আসবাবপত্র পাই। এছাড়া গাছের ডাল এছাড়া গাছের ডাল, বাশ,গবাদিপশুর গোবর জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করা যায়।
শিক্ষার একটি বড় অংশ কাগজ যা আমরা পেয়ে থাকি কৃষি থেকে বাঁশ, কাঠ, আখের ছোবড়া কাগজ তৈরিতে ব্যবহার করা হয়।
মৌলিক চাহিদার ৫ নম্বর বিষয়টি হলো চিকিৎসা, যা আমরা কৃষি থেকেই পেয়ে থাকি। বর্তমানের ঔষধ ও ভেষজ চিকিৎসার প্রসার লাভ করেছে। আমলকি হরিতকি, থানকুনি পাতা বাসক, তুলসী ইত্যাদি কৃষিজ উদ্ভিদ থেকে ঔষধ পাওয়া যায়।
এছাড়াও পশু পাখি পালনের মাধ্যমে ডিম, দুধ, মাংস ও পুষ্টির চাহিদা মেটাতে পারি।
পরিশেষে বলা যায়, মৌলিক চাহিদার সবগুলোই আমরা কৃষি থেকে পেয়ে থাকি। আশার কথা হলো বর্তমানে কৃষির পরিধি ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। মানুষ আগের থেকে বেশি কৃষির উপর মনোযোগী হচ্ছে।
অনেকেই নিজেদেরকে কৃষি পেশায় নিয়োজিত করে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হচ্ছে।
সবাইকে ধন্যবাদ।