আসসালামু আলাইকুম সুপ্রিয় পাঠক এবং পাঠিকাগণ। কেমন আছেন আপনারা সবাই? আশা করি আপনারা সবাই যে যার অবস্থানে ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন।আপনারা সবাই নিজ নিজ অবস্থানে ভালো থাকুন এবং সুস্থ থাকুন সেই কামনাই ব্যক্ত করি সব সময়।
এসাইনমেন্ট সিরিজের ধারাবাহিকতায় আমি আজ নিয়ে এসছি ৮ম শ্রেনীর ষষ্ঠ সপ্তাহের বাংলা এসাইনমেন্ট। আশা করি শিক্ষার্থীদের উপকার হবে।
#৮ম শ্রেণির ষষ্ঠ সপ্তাহের বাংলা এসাইনমেন্ট
প্রশ্নঃ সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, স্বাধীনতার স্থপতি,আমাদের জাতীর জনক শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়ার জন্য সেসব যুক্তি তুলে ধরেছেন সেইগুলা সাজিয়ে লিখ।
উত্তরঃ সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি,স্বাধীনতার স্থপতি,আমাদের জাতীর জনক শেখ মুজিবর রহমান স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়ার জন্য সেসব যুক্তি তুলে ধরেছেন সেইগুলা নিচে তুলে ধরা হলঃ
বঙ্গবন্ধুর ৭ ই মার্চের ভাষণের একটি বড় বৈশিষ্ট্য হলো এর সর্বজনীনতা এবং মানবিকতা।যেকোনো নিপিড়ীত জনগোষ্ঠীর জন্য এই ভাষণ সব সময় আবেদন সৃষ্টিকারী।এই ভাষণে গনতন্ত্র,আত্ননিয়ন্ত্রণ,স্বাধীকার, মানবতা এবং সব মানুষের কথা বলা হয়েছে।ফলে এই ভাষণ দেশ কালের গন্ডি পেরিয়ে সর্ব জনীন হয়েছে। আর একজন মানুষ একটি অলিখিত বক্তৃতা দিয়েছেন।যেখানে সল্প সময় কোন পুনরুক্তি ছাড়াই একটি জাতীর স্বপ্নের, সংগ্রাম এবং ভবিষ্যতের দিক নির্দেশনা দিয়েছেন।তিনি বিশ্বাসের জায়গা থেকে কথা বলেছেন।সবচেয়ে বড় কথা বঙ্গবন্ধু সাধারণ মানুষের চাওয়া পাওয়া বুঝতে পেরেছেন।তারা যা চেয়েছেন বঙ্গবন্ধু তাই তাদের কাছে তুলে ধরেছেন।তাই এই ভাষণটি একটি জাতীর প্রত্যাশার আয়নায় পরিণত হয়েছে। এই ভাষণই একটি জাতীকে মুক্তিযুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়তে উদ্বুদ্ধ করেছে।মুক্তিযুদ্ধ চলাকালেও এই ভাষণ প্রেরণা যুগিয়েছে।আর এত্তবছর পরও মানুষ তার ভাষণ স্তব্ধ হয়ে শুনে।
বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ বিশেষ কিছু বৈশিষ্ট্য আছে। সেগুলো হলোঃ
১.বাঙ্গালির৷ সংগ্রাল ঐতিহ্য এবং বঞ্চনার ইতিহাস
২.গণতান্ত্রিক চেতনা
৩.আত্ননিয়ন্ত্রণ অধিকার
৪.শান্তির বানী
৫.মানবতার প্রতি শ্রদ্ধা এবং
৬.আক্রান্ত হলে প্রতিরোধ।
এই একটি ভাষণের মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধু একটি জাতিকে স্বাধীনতার জন্য প্রস্তুত করেছিলেন।কিন্তু তা সহিংস নয়।তিনি শান্তিপূর্ণ আলোচনার কথা বলেছেন।অসহযোগের কথ বলেছেন।আবার সবাইকে মাসের ১ তারিখ গিয়ে বেতন আনতে বলেছেন।তার এই ভাষণ একটি জাতীকে স্বাধীনতা সংগ্রামে উজ্জীবিত করেছে।মুক্তিযুদ্ধ হয়েছে, বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে।আক্রান্ত হওয়ার আগ অবধি প্রতিরোধ সংগ্রাম হয়নি।এই একটি ভাষণই পুরো দিক নির্দেশনা ছিল।তিনি যে আত্ননিয়ন্ত্রণ অধিকারের কথা বলেছেন এটা সারা বিশ্বের সব মানুষের অধিকার।তাই সারাবিশ্বের নীপিড়িত মানুষের কথা, স্বাধীন বঞ্চিত মানুষের কথা বলেছেন।
বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে দীর্ঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করি স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশকে। একটি ভাষণ কিভাবে গোটা দেশকে জাগিয়ে তোলে, স্বাধীনতার জন্য মুক্তিযুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়তে উৎসাহিত করে, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ তার এক অনন্য উদাহরণ।
সামনে নতুন কোন টপিক নিয়ে হাজির হব আপনাদের সামনে।ধন্যবাদ সবাইকে।
মাস্ক পড়ুন
সুস্থ থাকুন