আসসালামু আলাইকুম সুপ্রিয় পাঠক এবং পাঠিকাগণ। কেমন আছেন আপনারা সবাই? আশা করি আপনারা সকলে যে যার অবস্থানে ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন।আপনারা সকলে নিজ নিজ অবস্থানে ভালো থাকুন এবং সুস্থ থাকুন সেই কামনাই ব্যক্ত করি সব সময়।
এসাইনমেন্ট সিরিজের ধারাবাহিকতায় আমি আজ নিয়ে এসেছি ষষ্ঠ সপ্তাহের নবম শ্রেণির ভূগোল ও পরিবেশ এসাইনমেন্ট। আশা করি শিক্ষার্থীদের উপকার হবে।
#ষষ্ঠ সপ্তাহের নবম শ্রেণির ভূগোল ও পরিবেশ এসাইনমেন্টঃ
ক)ক্রান্তীয় জলবায়ু কাকে বলে?
উত্তরঃযে জলবায়ু শুকনো মৌসমে মাসিক গড় তাপমাত্রা ১৮° সেলসিয়াস থাকে তাকে ক্রান্তীয় জলবায়ু বলে।
(খ)বাংলাদেশে ক্রান্তীয় জলবায়ু বিরাজের কারণ কি?ব্যাখ্যা কর।
উত্তরঃজলবায়ুর উপাদানসমূহ হলো তাপমাত্রা,আদ্রতা,বায়ু,মেঘ,বৃষ্টিপাত,তুষারপাত,বায়ূচাপ ইত্যাদি।একটি দেশের ভৌগলিক অবস্থান এবং প্রাকৃতিক অবস্থা সে দেশের জলবায়ু নিয়ন্ত্রণ করে থাকে।
বায়ুমন্ডলীয় চাপ এবং বায়ুপ্রবাহঃশীত ও গ্রীষ্মের ঋতুগত বৈপরিত্য পরিবর্তন দ্বারা বায়ুমন্ডলীয় চাপ ও বায়ুপ্রবাহ বৈশিষ্ট্যমন্ডলীয় হতে থাকে।
শীত মৌসুমে ভারতের উত্তর ও পশ্চিমঅঞ্চলে একটি উচ্চচাপ কেন্দ্র অবস্থান করে।
বায়ুপ্রবাহঃউপমহাদেশে শীতকালীন মৌসুমী বায়ুপ্রবাহের একটি অংশ।
আদ্রতাঃবাংলাদেশে সারা বছর জুড়েই উচ্চ আদ্রতা বিরাজ করে।ভারি, ধূসর, ইষৎ পরিবর্তিত মধুপুর কর্দমের উপর সল্প গভীরতায় এই মৃত্তিকা অবস্থিত।মৃত্তিকার কর্ষিত স্থানের নিচে একটি ই ক্ষিতিজ বিদ্যমান।এই মাটি Eutrlc planosols শ্রেণির অন্তর্ভুক্ত।
(গ)উদ্দীপকের”Z” অংকনের বর্ননা দাও।
উত্তরঃউদ্দীপকের Z অঞ্চল মূলত উত্তর ও পূর্বাদেশীয় পর্বত পাদদেশীয় সমভূমির উত্তর পশ্চিমেও এই মৃত্তিকা পাওয়া যায়।তারপর ধূসর শোপান মৃত্তিকা বরেন্দ্রভূমির উঁচু ও সমতল ভূমির বিস্তৃত অঞ্চলে বিদ্যমান।মিতৃকা ধূসর ও পলিময় এবং নিম্নমানের নিষ্কাশন ব্যবস্থা সম্ভলিত।
গভীর ধূসর সোপান মৃত্তিকা বরেন্দ্রভূমির উত্তর পূর্বাংশে এবং মধুপুর গড়ের বিস্তৃত অঞ্চলে বিদ্যমান। মিত্তৃকা নিম্ব নিষ্কাষণ ব্যবস্থা ধুসর পলিময় প্রভৃতি বৈশিষ্ঠ্য সম্বলিত এবং সচ্ছিদ্র গভীরভাবে বিচূর্ণ করে। মধুপুর অথবা পার্বত পাদদেশীয় কর্দমের উপর অবস্থিত।অন্ত মৃত্তিকার বেশিরভাগ অংশই ই ক্ষিতিজ।
(ঘ)উদ্দাইপকের “X” ও “Y” অঞ্চলের ভূমিরুপের মধ্যে কি কি সাদৃশ্য ও বৈশাদৃশ্য পরীলক্ষিত হয় ব্যাখ্যা কর।
উত্তরঃX অঞ্চলের ভূমির ক্ষেত্রে প্রধান নদীর আশেপাশে এবং নিকটবর্তী এলাকায় যেখানে বার্ষিক প্লাবনের সময়কালে নদীর গতি পরিবর্তন ফলে পলি সঞ্চায়ন এবং ক্ষয় সংঘটিত হয়ে থাকে,সে সমস্ত এলাকা জুড়ে সক্রিয় প্লাবন সমভূমি। এই প্লাবন সমভূমিতে নতুন নতুন সঞ্চিত পলিরাশি বিভিন্ন স্তরে স্তরে স্তরীভূত থাকে। সাধারণ সুক্ষম পানি এবং কদম সঞ্চায়ন মিহি স্তরে স্তরীভূত হয় এবং বালি ও পলিন মিশ্রণ স্তরে সজ্জিত হয়।এটি এমন একটি অবস্থা যেখানে মাটি গঠনকারী প্রধান নদীখাত অন্যত্র সরে যাওয়ায় নবীন ও প্রবীন প্লাবন সমভুমিসমূহ মূলত স্তীতিশীল ভূমিতে পরিণত হয়েছে।
পক্ষান্তরে Y অঞ্চলের ভূমির ক্ষেত্রে সাধারণত ধুসর বর্ণের পৃষ্ঠমৃত্তিকা, ধূসর ম্যাট্রিক্স এবং ধূসর গ্লীন সমৃদ্ধ Cambic B অনুমুতিক স্তর বিশিষ্ট অন্তমৃত্তিকা দ্বারা গঠিত।এই মৃত্তিকা ব্যাপকভাবে তিস্তা,করোতোয়া, বাঙালি, মধ্য যমুনা প্লাবন সমজুড়ে বিস্তৃত।
ধন্যবাদ সবাইকে। সামনে নতুন কোন টপিক নিয়ে হাজির হব আপনাদের সামনে।
মাস্ক পড়ুন
সুস্থ থাকুন