“আসসালামু আলাইকুম” আশা করি সবাই ভাল আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালই আছি। আজকে ভালোবাসার অপেক্ষার পহর গুনা নিয়ে কিছু আলোচনা করব। একটি মেয়ে একটি ছেলেকে খুব ভালোবাসে। ছেলেটাও মেয়েটিকে ভালোবাসে। ছেলেটি থেকে মেয়েটির ভালোবাসা খুবই গভীর ছিল।মেয়েটি তাকে এত ভালোবাসে যে তাকে ছাড়া কিছু বোঝে নাই। এখন থেকে মেয়েটির ছেলেটির জন্য অপেক্ষার প্রহর গুনতে থাকে। দিন যায় রাত যায় শুধু ছেলেটির অপেক্ষায়। শুধু ভাবে কবে ছেলেটি তার কাছে আসবে তাকে আপন করে নিবে। প্রায় হঠাৎ মাঝে মাঝে ছেলেদের সাথে মেয়েটির দেখা হতো। কিন্তু তাদের মাঝে কোনো কথা হতো না। শুধু ২জন ২জনকে চেয়ে দেখতো। এরকম করে তাদের দিনকাল চলে যেত। আর অপেক্ষার প্রহর গুনত। আমি যখন স্কুলে যেত। প্রায় তাদের চলার পথে দেখা হতো। কিন্তু কেউ কাউকে কথা বলার সুযোগ পেত না। হঠাৎ করে মেয়েটি পড়ালেখা ছেড়ে দেয়। আর তাদের মাঝে দেখা সাক্ষাত হয় না।
অনেকদিন পর মেয়েটির বাবা-মা মেয়েটির এক ভালো জায়গায় বিয়ে ঠিক করে। কিন্তু মেয়েটি প্রথমে রাজী হয়না। একটু পরেই তার বাবা-মার কথার অবাধ্য হতে পারে না। অবশেষে মেয়ে বিয়েতে রাজি হয়। মেয়েটির বিয়ে ঠিক হয় শুক্রবারে। এখন বিয়ে আয়োজন পাতি করা হয়। সবাইকে দাওয়াত দেওয়া হয়ে গেছে। মেয়েটি ছেলেটিকে ভালোবাসে। সেই ছেলেটি তার এক আত্মীয় ভাই হয়।তাই সেই ছেলেটির বাড়িতে মেয়েটির বিয়ের দাওয়াত দেওয়া হয়। ছেলেটি পরিবার এতে বেশি খুশি না। কারণ মেয়েটির বাবা-মা মেয়েটির বিয়ে ব্যাপারে ছেলেদের পরিবারের কারো সাথে মতামত নেয়নি। তাই তারা বিয়েতে আসতে অমত পোষণ করেছিলেন।তার পরও তারা বিয়েতে এসেছেন। ধুমধাম করে বিয়ে আয়োজন করা হয় মেয়েটির। সবাইকে দাওয়াত দেওয়া হয়েছে। মেয়েটি গাঁয়ের হলুদের অনুষ্ঠান করা হয়েছে। এবার বিয়ের পালা। বরযাত্রীরা এসে গেছে। সমস্ত মেহমানদেরকে দাওয়াত খাওয়ানোর শেষ হয়েছে। ঠিক তখনই বরযাত্রীর একজন এসে বলল। আমরা আপনাদের কাছ থেকে একটা জিনিস গোপন করেছি। এ গোপন কথাটি আপনাদের কাছে তুলে ধরতে চাই কারণ একদিন না একদিন এই কথাগুলো সত্য বেরিয়ে আসবে। বরযাত্রী পক্ষ থেকে জানানো হয় পাত্র একটি বিয়ে করেছিল আগে। একথা শুনেই পাত্রীর পক্ষ বলল আপনারা কেন আগে জানান নাই। এত দেরিতে কথাগুলো বলে আমাদের সর্বনাশ করেছেন। এই কথাগুলো বলে মেয়ের মা অজ্ঞান হয়ে পড়েন।
মেয়েটির পরিবার সিদ্ধান্ত নেয় মেয়েটি যে ছেলেটিকে ভালোবাসে। তার কাছে বিয়ে দিবে। ছেলের পরিবার রাজি।কিন্তু এই কথাগুলো মেয়েকে পরিষ্কার ভাবে জানানো হয়নি। মেয়েটির এক দুলাভাই এসে বলল। যে দেখো যা হয় ভালোর জন্যই হয় তুমি বিয়েতে রাজি হয়ে যাও। মেয়েটিতো ভাবলো তাইতো এখন বিয়ে ভাঙাতো কলঙ্কের ব্যাপার এমনি করে মেয়েটির রাজি হয়ে গেল মেয়েটির বিয়ে করা ছেলের সাথেই হচ্ছে বিয়ে। কিন্তু এখানে তা বিপরীত মেয়েকে ভালোবাসতো সেই ছেলেটির বাবা মা মেয়েটিকে বিয়ে করিয়ে নিয়ে যাবে। এখন কাজী আসলো। বিয়ে পড়ানোর জন্য
প্রথমে মেয়েটির কাছে গেল দেড় লক্ষ টাকা কাবিনে মেয়েটির বিয়ে ধার্য করা হলো। মেয়েটিঃ বিয়েতে কবুল বলে হাতের সই দিল। তখনো কিন্তু মেয়েটি জানে না যে তার ভালোবাসার মানুষটির সাথে কার বিয়ে হচ্ছে। কারণ বিয়ে করার ছেলে নামটাও ছিল তার ভালবাসার ছেলেটি নামে নামে।
এখন বিয়ে সম্পূর্ণ হয়েছে। ঠিক বাসর রাতে মেয়েটির সাথে তার ভালোবাসার মানুষটির সামনে চলে আসে। অবাক হয়ে যায় আর ভাবতে থাকে তার ভালোবাসা সত্যিই আল্লাহর দরবারে কবুল হয়েছে! এত সুন্দর ইতিহাস মানুষের স্বপ্নেও হয় না। আর এটাতো বাস্তবে হয়ে গেল। মেয়েটি খুব সুখী যদি মনের মানুষ খুঁজে পেয়েছে। এখন মেয়েটি তার স্বামীকে অনেক ভালোবাসে।যতক্ষণ তার স্বামী বাড়িতে না ফিরে আসে অধীর অপেক্ষায় থাকে মেয়েটির স্বামীর জন্য। মেয়ে ঠিক আছে মেয়েটির স্বামী চোখের মনি। এক পলকে ও ছেলেটিকে হারাতে চায়না মেয়ে টি। যতক্ষণ না বাড়ি ফিরে আসে তার স্বামী ততক্ষণ মেয়েটি খুব চিন্তায় অস্থির থাকে। আর বাড়িতে আসার অপেক্ষা করতে থাকেন। কিন্তু মেয়েটি এতো ভালোবাসা মেয়েটির স্বামী পরে বুঝলো না। তা কি জানি কেমন একটা হেয় করতে শুরু করলো। মেয়েটিকে পাত্তাই দিতো না বিয়ের কিছুদিন যেতে না যেতেই। ছেলেটি অন্য একটি মেয়ের সাথে প্রেম করতো। এগুলা মেয়েটি শুনেও মন প্রাণ দিয়ে ভালবাসত তার স্বামীকে। বিয়ের দুই বছর যেতেই তাদের ঘরের সুন্দর এক ফুটফুটে কন্যা সন্তান জন্ম হলো। হঠাৎ ছেলেটি মেয়েটির দিকে খুব মায়া হল।মেয়েটিকে দেখতে দেখতে ছেলেটি সংসারে মনোযোগী হবে। এখন ছেলেটি সে আর কাউকে ভালোবাসে না তার স্ত্রীকে মন প্রাণ দিয়ে ভালবাসে তারা সন্তানের দিকে চেয়ে। আজ এখানেই শেষ। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।