আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ,
বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন? আশা করি ভাল আছেন, সুস্থ আছেন। বন্ধুরা আমরা সবাই জানি যে, পিতা মাতা সব সময় তাদের মঙ্গল কামনায় ব্যাস্ত থাকেন। তাদের অবর্তমানে সন্তান যাতে কোনোও সমস্যায় না পড়ে সেই চিন্তাও তাদের মাথায় সব সময় কাজ করে। তাই সকল পিতা মাতাই তাদের সন্তানের ভবিষ্যৎ চলার পথ মসৃণ করার জন্য যা যা করনীয় সব করার চেষ্টা করেন। সেই সাথে তাদের জন্য কিছু দিক নির্দেশনা মূলক উপদেশও দিয়ে থাকেন।
আজ আমি এমনই একজন পিতার তার সন্তানের প্রতি দেয়া কিছু উপদেশ আপনাদের জন্য সংকলন করার চেষ্টা করলাম। ভাল লাগলে মতামত জানানোর অনুরোধ রইলো।
একজন বাবা তার সন্তানকে সাধারণত যে উপদেশগুলো দেনঃ-
১। কখনো কাউকে ছোট করে দেখবে না, নইলে তুমি নিজেই ছোট হয়ে যাবে।
২। কাউকে কখনো কামলা, কাজের লোক, বুয়া এসব বলে ডেকো না। মনে রেখো, তারাও কারো না কারো ভাই, বোন, মা, বাবা। তাদের ভাই, আপা, চাচা, চাচী বলে ডেকো।
৩। জীবন উন্নত করতে হলে পড়াশুনা ও পরিশ্রম করতে হবে। কারো ঘাড়ে পা দিয়ে উপরে উঠার চেষ্টা করো না।
৪। কখনো কাউকে সাহায্য করে পিছনে ফিরে চেয়ো না, এতে সে লজ্জা পেতে পারে।
৫। সবসময় শুধু দেওয়ার চেষ্টা করবে। মনে রাখবে দান কারির হাত সর্বদা উপরেই থাকে।
৬। এমন কোনোও কাজ করো না যার জন্য তোমার কিংবা তোমার পরিবারের কারো উপর আঙুল উঠে।
৭। ছেলে হয়ে জন্মেছো তাই কখনো দায়িত্ব এড়িয়ে যাবার চেষ্টা করো না।
৮। তোমার কি আছে বা কি নেই তা তোমার গায়ে লিখা নেই, কিন্তু তোমার ব্যবহারে তা প্রকাশ পাবে।
৯। কখনো মায়ের কথা শুনে স্ত্রীকে কিংবা স্ত্রীর কথা শুনে মাকে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করিও না। মনে রেখো তুমি কাউকেই ফেলতে পারবে না।
১০। যখন রাস্তায় হাটবে দেখে হাটবে, তোমার কারনে কেউ ব্যাথা পায় কিনা।
১১। কারো বাসায় নিমন্ত্রণে গেলেও বাসা থেকে এক মুঠো ভাত খেয়ে যাবে। কারো বাড়ির ভাতের অপেক্ষায় যেন তোমাকে না থাকতে হয়।
১২। কারো বাসার খাবার নিয়ে সমালোচনা করবে না। কেউই চায় না তার বাড়ির খাবার বিস্বাদ হোক।
১৩। মজলিশে বড়দের মাঝে তোমার জন্য চেয়ার বরাদ্দ নেই, আছে ছোটদের মাঝে।
১৪। বড় নয়, মানুষ হবার চেষ্টা করবে, তবেই তুমি বড় হতে পারবে।
১৫। শ্বশুড় কিংবা শাশুড়িকে এই পরিমাণ সম্মান দিয়ো যাতে তারা তার মেয়েকে তোমার বাড়ি পাঠানোর জন্য উতলা থাকে।
১৬। জুতো ছিঁড়ে গেলে, সেলাইয়ের জন্য মুচির সামনে পা বাড়িয়ে দিয়ো না, বরং জুতোটা নিজে একবার মুছে দিয়ো। জুতো কিনতে গেলে নিজেই ট্রায়েল দিয়ো।
১৭। বাইক কখনো জোড়ে চালিও না। তাতে তোমার কলিজার কাপুনি বেড়ে না গেলেও রাস্তার পাশে থাকা মানুষদের কাপুনি বেড়ে যেতে পারে।
আপনাদের জানা মতে আরোও অনেক উপদেশ থাকতে পারে। কমেন্টে জানালে কৃতজ্ঞ থাকবো।
সবাইকে ধন্যবাদ। আল্লাহ্ হাফিজ।