আসসালামু আলাইকুম সুপ্রিয় পাঠক এবং পাঠিকাগন। কেমন আছেন আপনারা সবাই?আশা করি আপনারা সকলে যে যার অবস্থানে ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আপনারা সকলে নিজ নিজ অবস্থানে ভালো থাকুন এবং সুস্থ থাকুন সেই কামনায় ব্যক্ত করি সবসময়।
চলে এসেছে এসাইন্টমেন্ট সিরিজ।স্কুল কলেজের এর পড়াশোনা যাতে বন্ধ না থাকে তাই প্রতিবার এসাইনমেন্ট এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মেধার মান যাছাই এর উদ্যোগ নিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রনালয়। শিক্ষার্থীদের এসাইনমেন্ট এর উত্তর দেওয়ার ধারাবাহিকতায় আজ নিয়ে এসেছি সপ্তম শ্রেণীর বাংলা দ্বিতীয় পত্রের এসাইনমেন্ট। আশা করি শিক্ষার্থীদের উপকার হবে।
সপ্তম শ্রেণীর বাংলা ২য় পত্র এসাইনমেন্ট প্রশ্ন:
১.সাধু ভাষার বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করো।
২.উল্লেখিত পাঠ থেকে বিভিন্ন পদের দৃষ্টান্ত চিহ্নিতকরণ।
৩.সাধুভাষায় যোক্তিকতা আলোচনা করুন।
উত্তর:
১.সাধু ভাষার বৈশিষ্ট্য :
১.সাধু ভাষা সুনির্ধারিত ব্যাকরণের অনুসারী। এর কাঠামো সাধারণত অপরিবর্তনীয়।
২.সাধু ভাষার উচ্চারণ গুরুগম্ভীর ও আভিজাত্যের।
৩.সাধু ভাষার ক্রিয়াপদের রূপ পূর্ণাঙ্গ।
৪.সাধু ভাষায় সর্বনামের রূপ পূর্ণাঙ্গ।
৫.সাধু ভাষায় অনুসর্গের পূর্ণাঙ্গ রূপ ব্যবহৃত হয়।
৬.সাধু ভাষায় তৎসম শব্দের প্রয়োগ বেশি।
৭.সাধু ভাষা বক্তৃতা ও নাট্য সংলাপের অনুপযোগী।
২.উত্তর:উল্লেখিত পাঠ থেকে বিভিন্ন পদের দৃষ্টান্ত চিহ্নিতকরণ :
উদ্দীপকের উল্লেখিত অংশটি সাধু পদে চিন্ধিত। উপযুক্ত কারণ দেখিয়ে ট্রে দৃষ্টান্ত তুলে ধরা হলো :
১.সর্বনাম:তাহা
২.ক্রিয়া:পাইলাম,আসিয়া,দিয়া,করিয়া ,লইয়াছে।
৩.অব্যয়:সহিত,ইতিমধ্যে
৪.তৎসম শব্দ:সাক্ষাৎ,ক্ষুদ্র,হৃদয়
৩.উত্তর:সাধু ভাষার যৌক্তিকতা:
আমরা জানি সাধু ভাষায় সর্বনাম এবং ক্রিয়াপদের পূর্ণাঙ্গ রূপ ব্যবহৃত হয়েছে যেমন :তাহা ,আসিয়া,করিয়া ইত্যাদি। সাধু ভাষায় অনুসর্গের পূর্ণাঙ্গ রূপ ব্যবহৃত হয়। অনুচ্ছেদটি দিয়ে অনুসর্গের পূর্ণাঙ্গ রূপটি ব্যবহৃত হয়েছে।
এছাড়াও উদ্দীপকের অনুচ্ছেদটিতে কিছু তযথসম শব্দের পূর্ণাঙ্গ রূপ ব্যবহৃত হয়েছে। যেমন:সাক্ষাৎ ,ক্ষুদ্র।,হৃদয় ইত্যাদি। যেগুলো দেখে আমরা খুব সহজে বুঝতে পারি উদ্দীপকের অনুচ্ছেদটি সাধু ভাষায় লিখিত হয়েছে।
অর্থৎ উদ্দীপকের উল্লেখিত অংশটি সাধু রীতিতে রচিত।
উপযুক্ত কারণ দেখিয়ে তার যুক্তিকতা নিরুপন করা হলো।