আমরা আমাদের জীবনে যা কিছু করছি অর্থাৎ আমি বলতে চাইছি আপনার ক্যারিয়ারের জন্য যা কিছু করছেন সেখানে এমন অনেক পরিস্থিতি আসে যখন আমরা ভেতর থেকে অনেক বেশি মোটিভেট হয়। তখন আমাদের ভিতরে অনেক বেশি এনার্জি থাকে, আর এমন অনেক পরিস্থিতিও আসে যখন আমরা অনেক ডিমোটিভেট হয়ে যায়। তখন মনের ভেতর থেকে আওয়াজ আসে সত্যিই কি আমরা কাজটি করতে পারবো? সত্যিই কি আমাদের স্বপ্নকে পূরণ করতে পারবো? তখন ফিলিংস আরে ইমোশন আমাদেরকে ঘিরে ধরে, আর মনে হয় যে কাজটা কে ছেড়ে দিই। যেমন জীবন চলছে তেমন ভাবে মেনে নিই। আর এইরকম মুহূর্তে যখন আপনার আত্মবিশ্বাস দুর্বল হয়ে যাবে তখন আপনি কি করবেন?
যখন এমন পরিস্থিতি আপনার সামনে আসবে তখন একটি ডায়রি বের করুন, আর সেই ডায়রিতে লিখে রাখুন, যে কাজটি আজ আপনি করছেন সেটা। আপনি লিখুন কাজটি আপনি কেন শুরু করেছেন, এই কাজটিকে আপনি কিভাবে করবেন বলে ভেবেছেন সেটাও লিখে রাখুন। আর সবশেষে কাজটি হয়ে যাবার পর আপনি কি পেলেন সেটাও লিখে রাখুন। তাহলে পরবর্তীতে এই ডায়রিটা যখনই আপনি যখনই দেখবেন তখন আপনার মনে পড়বে যে কেন আপনি কাজটা শুরু করেছিলেন, আর তার উত্তরটাও আপনি ডায়রিতে দেখতে পাবেন। তখন দেখবেন সাথে সাথেই আপনার এনার্জি আবার ফিরে আসবে।
আমাদের মাইন্ড সবকিছু ভুলে যায়, মনে থাকে কিন্তু মনে রাখতে চাই না। তাই মাইন্ডকে বারবার মনে করাতে হয়। মাইন্ডকে মনে করাতে হয় যে আমরা কেন শুরু করেছিলাম, মাইন্ডকে মনে করাতে হয় যে আমি হার মানতে পারব না, ছেড়ে দিতে পারবো না এতটা দূরে এসে। কারণ আমি যা করছি তার পিছনে অনেক বড় কারণ আছে। আর আমার কাছে কারণ আছে হাল ছেড়ে না দেওয়ার। কারণ আমি জানি কেন আমি শুরু করেছিলাম, আর ওই কারণটি অনেক বড় সেই কারণটির থেকে যে কারণে হাল ছেড়ে দিতে চাইছি। যদি কোন মানুষ জীবনে বড় কিছু করতে চাই তাহলে তার ভেতরে এই কোয়ালিটিটা থাকতেই হবে। কারণ আপনি যে কাজই করতে যাবেন সেখানে এমন কিছু সময় আপনার জীবনে অবশ্যই আসবে যখন কোনো কিছুই ঠিক হবে না।
আপনি ডিমোটিভেট ফিল করবেন, আপনার কনফিডেন্স কমে যাবে লোক আপনাকে দেখে হাসবে আপনার মধ্যে কাজটা ছেড়ে দেওয়ার ইচ্ছা আসবে। এজন্য এই বুদ্ধিটা আপনার ভিতরে থাকতেই হবে যে প্রতিটা মানুষের সাথেই এটা হয়েছে আর আমার সাথেও এটা অবশ্যই হবে। আর যখন আমার সাথে এটা হবে আমি তার জন্য তৈরি থাকবো। আমি ডিমোটিভেট ফিল করি বা আমার মনের ফিলিংস যেমনই হোক না কেন, লোক আমার উপর যতই হাসুক না কেন আমি ছেড়ে দিতে পারবো না। কারণ আমি যা করছি তার কারণটা অনেক বড়। আর তার সামনে এই ছোট ছোট সমস্যাগুলো কিছুই না, অন্যরাতো এই কারণে ফেল হয়ে যায় কারণ তারা কোনো কারণ ছাড়াই কাজ শুরু করে আর তার কাছে কোনো কারণ থাকে না কাজটাকে আরো একবার করার, যখন সে ডিমোটিভেট হয়ে যায়।
আর আপনি যদি এখন কোনো কারণ ছাড়াই কাজ করছেন তাহলে আজই সেখানে একটি কারণকে যুক্ত করুন আপনার জীবনের উদ্দেশ্যের সঙ্গে। আর আপনার জীবনের উদ্দেশ্য এতটা বড় হতে হবে যে পৃথিবীর কোনো নেগেটিভ শক্তি আপনাকে আটকাতে পারবেনা। এতটা বড় হতে হবে যেন আপনাকে সকালে উঠতে কষ্ট না করতে হয়, এতটা বড় হতে হবে যে লোক আপনার উপরে হাসলেও আপনি যেন তার উপরে হাসতে পারেন। আর এটাই হলো পাওয়ার আপনার কাজের পিছনের কারণের। তাই আপনি যা কিছু করছেন যদি তার পেছনে একটা শক্ত কারণ থাকে তাহলে পৃথিবীর কোনো শক্তি আপনাকে আটকাতে পারবেনা।