মানুষের জীবনে চাহিদার শেষ নেই।প্রত্যহ জীবনে চলতে গেলে আজ এই জামার প্রয়োজন হয়,তো কাল ওই জুতোটা কেনার ইচ্ছে হয়। সাধ ও সাধ্যের মধ্যে এই চাহিদার রেখা ক্রমনিয়ত উঠা-নামা করে থাকে। তাই আমাদের কেনাকাটারও শেষ বলে কিছু থাকে না। কিন্তু কেনাকাটার এই আনন্দ কি স্থায়ী? এগুলো আমাদের সাময়িক চাহিদা পুরন বা আনন্দ দেয় সত্যি, কিন্তু দীর্ঘমেয়াদী সুখ কি দিতে পারে? আর সুখ সেটাই দীর্ঘস্থায়ী হয় যার সাথে জুড়ে থাকে সুন্দর অনেক স্মৃতি। তাহলে এমন কি কাজ, একইসাথে দিতে পারে মানসিক শান্তি আবার সুখময় স্মৃতি? হ্যা,ভ্রমণই একমাত্র সেই উপায় যা একইসাথে দুটো অনুভূতি আপনার মাঝে জাগ্রত করতে পারে।
একটি সফল জীবনে ভ্রমণের সুখ দীর্ঘদিন স্থায়ী হয় মানুষের মস্তিষ্কে।কর্মব্যস্ত জীবনে যখন কাজের চাপে মানুষ হাঁপিয়ে ওঠে, তখন মন ও শরীর দুটোই চায় ক্ষনিকের বিশ্রাম। একইসাথে বিশ্রাম ও মনকে প্রফুল্ল করতে ভ্রমণের জুড়ি নেই। তাই কাজের মাঝে মাঝে চলে ভ্রমণের জন্য দীর্ঘদিনের পরিকল্পনা। ধীরে ধীরে টাকা জমিয়ে সাধ্য অনুযায়ী ট্যুর প্ল্যান করা হয়। তারপর ব্যাগটি গুছিয়ে, একাকী অথবা প্রিয় মানুষটিকে সাথে নিয়ে জাগতিক সব দুশ্চিন্তা ঝেড়ে ফেলে শুধু প্রকৃতির সৌন্দর্য্যের মাঝে হারিয়ে পড়া!এই জীবনে আর কি লাগে।
তবু একটা সময় নিজ নিজ জীবনের তাগিদে কাজে ফিরে আসতে হয়।কিন্তু সেই ভ্রমণের সময়কার সব স্মৃতি ব্যস্ত জীবনে বেঁচে থাকার জীবনীশক্তি হয়ে থাকে। কাজের ফাঁকে ফাঁকে ক্লান্ত বোধ করলে চোখ বন্ধ করে কিছুটা সময় বসে থাকার মাঝে মন ঘুরে আসে সেই সময়ে, সেই সুখের অনুভূতি মন বার বার অনুভব করে। ভ্রমণে তোলা রঙিন ছবিগুলোও যেন ফিকে মনকে রাঙিয়ে তোলে ব্যস্ত শহরের হাজার কাজের মাঝে।
দীর্ঘস্থায়ী সুখ জীবনে হয়ত অনেক কাজের মাঝেই পাওয়া যাবে,কিন্তু ভ্রমনের চাইতে বেশি নয়। রোমাঞ্চময় স্মৃতির ভান্ডার মনের ভিতর গড়ে তুলতে চাইলে ভিন্ন ভিন্ন জায়গা ভ্রমণে বেড়িয়ে পড়তে হবে।তাতেই জীবনে হবে মধুর স্মৃতিময় আনন্দের সময়।