আসসালামু আলাইকুম কেমন আছেন সবাই?আশা করি আপনারা ভালো আছেন।ঘুম আমাদের দৈনন্দিন জীবনের কর্মক্ষমতা বাড়ানোর সবথেকে কার্যকরি এবং উত্তম সমাধান।ঘুমের মাধ্যমে আমাদের শারীরিক অবসাদ যেমন দূর হয় তেমনি শারিরীক দুর্বলতা থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়। তাই প্রত্যেকের নিয়মিত ঘুমানো উচিত।কিন্তু আমাদের বর্তমান তরুণ প্রজন্মের ঘুম কম হওয়া একটি কঠিন অসুখ হয়ে দাড়িয়েছে।
গবেষণায় দেখা গেছে একজন প্রাপ্তবয়ষ্ক এবং সুস্থ ব্যক্তির দৈনিক সাত থেকে আট ঘন্টা ঘুমানোর প্রয়োজন।নূন্যতম ছয় ঘন্টার বেশি ঘুম হলে নানান ধরণের শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়।আজকাল তরুন প্রজন্ম থেকে অনেক বয়ষ্ক ব্যক্তিদেরও ঘুম কম হতে থেকে যায়।এখন আলোচনা করা যাক ঘুম কম হবার পিছনের কারণ সমূহঃ
১.অতিরিক্ত ইন্টারনেট আসক্তিঃ
অতিরিক্ত ইন্টারনেট আসক্তির ফলে মানুষ এখন ঘুমের সময়টা ইন্টারনেট ব্রাউজিং এর পিছনে কাটিয়ে দেয়। ফলে নানান ধরণের শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়।
২.সঠিক খাদ্যাভাস এর অভাবেঃ
ঘুমের জন্য সঠিক এবং পরিমিত খাবার গ্রহণ করা আমাদের কর্তব্য। কিন্তু আমরা আজকাল প্রায় অপুষ্টিকর খাবার গ্রহণ করে থাকি। যার ফলে অনিদ্রার মত রোগ হতে পারে।
৩.সঠিক ব্যায়ামের অভাবঃ
ব্যায়াম করলে শরীরের ক্লান্তি আসে। ফলে ভালো ঘুম হবার সম্ভাবনা বাড়ে।তাই নিয়মিত সঠিক ব্যায়াম চর্চা করার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।
৪.অতিরিক্ত এলকোহল গ্রহণ করাঃ
অতিরিক্ত এলকোহল, মদ,গাজা নানান ধরণের নেশাজাতীয় খাবার গ্রহণ করার ফলে অনিদ্রার মতো সমস্যা হতে পারে।
৫.অতিরিক্ত চা,কফি সেবন করাঃ
আজকাল সকলে চা এবং কফি পান করে থাকি। ফলে অনিদ্রায় ভুগতে হয় আমাদের সবার।
৬.অতিরিক্ত মানুসিক চাপঃ
অতিরিক্ত দুশ্চিন্তার ফলে অনিদ্রার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে।
আরো নানান ধরণের কারণ রয়েছে ইনসোমিয়ার মতো সমস্যা হতে পারে।এখন আলোচনা করা যাক কি কি লক্ষণ থাকতে পারে এখন ইনসোমিয়া আক্রান্ত রোগীরঃ
১.রাতের বেলা পর্যাপ্ত ঘুম না হওয়া।
২.কোন কাজে সঠিক মনোযোগ দেবার অভাবে।
৩.দৈনন্দিন রুটিন পরিবর্তন এর ফলে।
৪.দিনের বেলা ঘুম ঘুম ভাব হওয়া।
৫.হঠাৎ করে রেগে যাওয়া।ইত্যাদি।
ইনসোমিয়া একটি মারাত্মক রোগ। বাংলায় যার নাম অনিদ্রা।প্রায় প্রত্যেকটি ঘরেই একজন ইনসোমিয়া আক্রান্ত এর রোগী পাওয়া যাবে।যদি আপনি উপরের লক্ষণগুলো পড়ে মনে করে থাকেন আপনি এই রোগে আক্রান্ত তাহলে আর দেরি না করে আজই ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করুন।যাতে পরবর্তীতে আর কোন সমস্যার না পড়তে হয়।অনেকে আবার অবহেলা করে। ঠিকমত চিকিৎসা গ্রহণ করে না।আবার অনেক এ ঘুমের ঔষধ খেয়ে থাকে।এটা মোটেও ঠিক নয়। ডাক্তারের ঔষধ খাওয়া ছাড়া ঘুমের ঔষুধ খাওয়া সমচিন নয়।তাই আসুন এই রোগ প্রতিরোধ এর জন্য নিয়মিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলি।ধন্যবাদ সবাইকে।
ঘরে থাকুন
সুস্থ থাকুন