“আসসালামু আলাইকুম সবাইকে”
আপনারা সবাই হয়তো ভাল আছেন আর সুস্থ আছেন পাঠক ওপাঠিকাগন ।আজ এমন এক সুপারস্টারের কথা জানব যিনি নিজেকে সাফল্য করতে তার জীবনে অনেক মোর পার করে এসেছে । ঠিক তেমনি আমাদের বিনোদন দেওয়া সুপারস্টার হিরোরা কত যে সাধনা করে আজ তারা এ পর্যায়ে চলে গেছে হয়তো অনেকে কেউ তা জানে না ।
জীবনকে পাহাড়ের মত উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার জন্য কত যে মোড় পার করে যেতে হয় তা এক মাএ শুধু সাফল্য হওয়া ব্যাক্তিরা জানে । যা আমরা জানি না, তবে যারা আজ সাফল্যের চূঁড়ায় পৌঁছেচে তারাই জানে তাদের জীবনে কত ধরনের পথ অতিক্রম করতে হয়েছে ।
১৯৬৫ সালে ২ নম্ভেবর তার জন্ম একটি মধ্যবিত্ত পরিবারে ,দুই ভাই-বোন এর মধ্যে তিনি ছিলেন ছোট ।তার বাবা পেশায় একটা ছোট্ট ক্যান্টিন চালাত সেটা ছিল দিল্লি শহরে নেশনাল স্কুল অফ ড্রামা । যা আয় করত তার বাবা তা দিয়ে তাদের পরিবার কোন রকম চলতেন ।
তাই বাবার সাথে মাঝে মাঝে ক্যান্টিনে কাজ করার জন্য যেত তিনি।সেখানে নাটকের দৃশ্যমান দেখতো আর সেগুলো কপি করে নিজে নিজে করা চেষ্টা করত তখন থেকে তার মাথায় অভিনয়ের প্রতি আকর্ষণ হয় ।তার বয়স যখন ১৫ বছর হয় তখন তার বাবার গলায় ক্যান্সার ধরা পড়ে আর এক বছর ক্যান্সারের সাথে লড়ায় করে মারা যায় ।
তখন থেকে পরিবারের দায়িত্ব পড়ে তার কাঁধে তাই রাস্তায় নেমে পড়ে কাজের জন্য ।সেই সাথে তার মাও কাজ করতে শুরু করে আর বড় বোন যতটা পারত মাকে সাহয্য করত।অভাবের কারণে তার নিজের লেখাপড়া টুকু ছেড়ে দেননি কিন্তু যখন ২৫ বছর বয়সে মাকে হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়ল তখন থেকে তার জীবনের গতি থেমে গেল ।
সেই আবসাদ কাটানোর জন্য তিনি নিজেকে সিদ্ধান্ত করলেন মুম্বাই চলে যাবেন তখন তার পকেটে মাত্র দেড় হাজার টাকা ছিল ।সেই দেড় হাজার টাকা নিয়ে জীবনে প্রথমবার মুম্বাই শহরে পা রাখলেন তিনি ,এত বড় শহরে আশ্রয় দেওয়ার মত কেউ ছিল না তার ।
থাকার জন্য তিনি রেলওয়ে স্টেশন,গ্যারেজ,স্টূডিওর ছাউনি থেকে লোকের আফিসটিকে পযর্ন্ত ব্যাবহার করেছেন যখন যেখানে সুযোগ পেয়েছেন সেখানে রাত কেটেছেন ।
এক বেসরকারি টিভির ইনটারভিওতে বলেছিলেন ,আমি যতথা সাফল্য হয়েছি,তার কারণ আমি ব্যর্থতা মানতে পারতাম না ।নিজেকে গড়তে আমি যথতা প্রাণপন করেনিই,তথতা না করেছি ব্যার্থতাকে ।আমি এক সাধারন মধ্রবিও ঘরের ছেলে দরিদ্র কি জীনিস তা আমি দেখেছি ভালভাবে চোখের সামনে ।
তাই আমি আর দরিদ্রতা থাকতে চাই না তাই আমি যেসব সিনেমা করতাম তার বেশির ভাগই ছিল অন্যর পেলে দেওয়া চরিএ অথবা এমন কিছু যাতে কেউও অভিনয় করতে রাজি হয়নিই ।আমি সেসব চরিএ অভিনয় করেছি কারণ আমি বেকার হয়ে বসে থাকতে চাই না ।
তাই এসব করতে করতে আজ আমি বড় অভিনেতা হয়েছি কারণ ধৈর্যতা আর সফল্যতা নিজে নিজে চলে আসে । তখন এক পরিচালকের ছেলের বাতিল করা সিনেমাই ভাগ্যর চাকা ঘুড়িয়ে দিলো তাকে ।১৯৯২ সালে প্রথম সিনেমা দিওয়ানার জন্য পেলেন ফিল্মকেয়ার অ্যাওর্য়াড তারপর ডন,রাজু বান গ্যয়া জেন্টলম্যান ,বাজিগর,করন অর্জনের মতো একের পর এক হিট সিনেমা দর্শকদের উপহার দিয়ে দর্শকের মন জয় করে নেন ।
তবে পুরো দুনিয়া থাকে চিনলো ১৯৯৫ সালে মুক্তি পাওয়া “দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে জায়েংগে“ সিনেমার ফলে ।তথন থেকে তাকে আর পিছনে ফিরে থাকাতে হয়নিই ,সেই মানুষটি হল শাহরুখান ।পুরা ভারতবর্ষে দিলিপকুমার,রাজেশখান্না,অমিতাভ বচ্চনের পর এল শাহরুখান যার আছন্নতা আজও রয়েছে সবার মাঝে ।সৎপথ থেকে ইচ্ছাশক্তি আর কঠোর পরিশ্রমের দ্বারা একজন মানুষ নিজেকে এক উচ্চতায় নিয়ে যেতে পারে তার ব্যাখা হল শাহরুখান ।
আমরা যারা প্রতিদিন অভাব অনটন প্রতিকূলতার সাথে লড়ায় করি জীবনে একবার শাহরুখানের মত লড়তে শিখে যাও তাহলে দেখবেন ঠিক সমস্ত পরাজয়কে হরিয়ে সাফল্য আসবে আপনার কাছে । আপনাকে ততদিন একতাভাবে নিয়ে লড়ে যেতে হবে পরিশ্রমের চাবি দিয়ে । আপনি ও পারবেন আপনার ভাগ্যকে পরির্বতন করতে।
পাঠক ও পাঠিকাগন আজ লেখা শেষ করে দিলাম ,অরো নতুন টপিক দেখতে আমাদের সাথে থাকুন ।
ধ্যনবাদ …….আপনাদের পাশে থাকার জন্য ভালো থাকবেন ।