ফেসবুক জগতে কিছু বাস্তব কথা তুলে ধরছি।সেই মেয়েটি ফেসবুক জগতে প্রথম।
ভালোই কাটছিলো তার ফেসবুক জীবন। হাসি খুশির মধ্যেই কাটছিলো তার জীবন। হঠাৎ একদিন এক মেয়ে ফ্রেন্ড তাকে একটা গ্রুপে ইনবাইট করলো,মেয়েটিও একসেপ্ট করলো।
মেয়েটি প্রতিদিন গ্রুপে কিছু না কিছু ইসলামিক পোষ্ট ,নাত শরিফ ইত্যাদি লেখতো। মেয়েটির সাথে সেই গ্রুপের একটি ছেলের সাথে মেসেজে পরিচয় হয় । তার নাম ঠিকানা জেনে নেয়। তার পর থেকে কিছু দিন তার সাথে আর কথা হয়নি। কিছুদিন পরে হঠাৎ আবার সেই ছেলেটি মেসেজ কথা বললো। ছেলেটির কোন বোন ছিলো না এটাই তার কষ্ট। এই কথা গুলো মেয়েটির কাছে বললো। মেয়েটি তাকে বলল আপনার বোন নেই তো কি হয়েছে আমাকে বোন ডাকতে পারেন।ছেলেটি বললো বোন তো সবাই হয় কেউ আর বোনের কাজ করে না। মেয়েটি বললো আমি আপনাকে বোনের অধিকার দিব। সেও মেনে নিলো ভাই হিসাবে। এভাবেই তাদের ভাই ও বোনের সম্পর্ক গড়ে উঠল। মনে হলো সত্যি একিই মায়ের পেঠের ভাই বোন। কেউ কারো কষ্ট হলে মনে হতো দুজনেই উপভোগ করত।এভাবেই তাদের চললো প্রায় এক বছরের কাছাকাছি।
ঠিক তখনি আরকেটা ছেলের সাথে পরিচয় হয় মেসেজে।তাঁরও কোন বোন ছিলো না দুঃখ শুধু একটাই । হঠাৎ সেও বললো আমরা ভাই বোন হিসাবে কথা বলতে পারি। মেয়েটি ও রাজি হয়ে গেলো । আপনি থেকে তুই বলা শুরু করে দিলো । ছলেটি বললো তুই আমাকে ভুলে যাবি না তো বল।মেয়েটি কারো ভাই বোন নাই বললে মেয়েটিও কষ্ট হত। কারণ মেয়েটি তার ভাই, বোনদের সাথে আনন্দে বড় হয়েছে । তাই সে বুঝে যার ভাই-বোন নেই তার কতটুকু
কষ্ট হয়। তাই মেয়েটি বললো তাকে কখনো বুলবে না। মেয়েটি জবান কোনদিন ভঙ্গ করতে রাজি নয় যত বিপদ আসুক এটা তার নিতি, কথা দিয়ে কথা রাখা। এভাবেই দ্বীতীয় ভাইয়ের সাথেও ভাই- বোনের সম্পর্ক গড়ে উঠে। চলতে থাকে তিন মাস। হঠাই ভাবলো দ্বীতীয় ভাইয়ে কথা তার প্রথম ভায়ের কাছে শেয়ার করবে। তখন প্রথম ভাইটিকে বললো ভাই তর কাছে একটা কথা বলব। ভাইটি বললো বল। বোনটা বললো ভাই একজন আমাকে বোন ডাকে আমিও তাকে ভাই ডাকি ঠিক তর আর আমার মতো। ভাইটা বললো কোন ইসলামিক দুষমন হলে রাজি হবে না।বোন বললো কোন ইসলামিক দুষমন নয় বরং সে একজন আল্লাহ রাসুলের প্রেমিক। ভাই বললো তার নাম বল বোনটি তার নাম বললো।
ভাই বললো এই নামে তার একজন শত্রু আছে সে হলে মানবে না। তখন তার বাড়ি ঠিকানা জানতে চাইলো। বোনটি বাড়ির ঠিকানা বলে দিতেই ভাইটি বললো অসম্ভব! সে আমার দুষমন,তার সাথে তর ভাই- বোনের সম্পর্ক থাকতে পারে না। তখন তাদের দুজনের মাঝে তর্ক বিতর্ক শুরু হলো। পরে ভাইটা বললো তাকে না ভুলে গেলে তার সাথে আর সম্পর্ক রাখবে না। বোনটি পরলো বিপদে দ্বীতীয় ভাই কে সে কথা দিয়েছে সে ভুলবে না, তাছাড়া এই তিন মাসে তাদের সম্পর্ক রক্তের ভাই- বোনের মতো হয়ে গেছে। এখন আর কাউকে ভুলা সম্বভ নয়। কিন্তু প্রথম ভাই তা মানতে চায় না। তার এক কথা হয় সে থাকবে না হয় তার দ্বীতীয় ভাই থাকবে। এভাবে তাদের তর্ক বিতর্ক চলছে। মেয়েটি এসব কথা তার দ্বীতীয় ভাইকে বললো। তার দ্বীতীয় ভাই বললো তুই আমাকে ভুলে যা আমার জন্য তর এক বছরের ভাই বোনের সম্পর্ক ভাঙ্গতে পারে
না। বোনটি বললো না আমি কথা দিয়ে কথা ভাঙ্গতে পারব না তাছাড়া বোনটি তাকে আপন ভাইয়ের মতো ভালোবেসে পেলেছিল।
এখন প্রথম ভাইটি তার বোনকে ভুলে গেলো।
এক বছরের সম্পর্ক এক দিনেই শেষ করে দিল।মেয়েটি খুবিই কষ্ট পেল। কষ্টে মেয়েটির চোখের জল পড়তে শুরু করলো এভাবেই একদিন কাটতেই, দ্বীতীয় দিন তার আরেকটা ভালো ফ্রেন্ড ছিলো, সে এসে তার সাথে কথা বললো মেসেজে। তৃত্বীয় ভাইটির কাছে বোনটি সব খুলে বললো। তখন তৃত্বীয় ভাইটি বললো এই নাও আমার একটা হাসির পিক তোমার দেখে ভালে লাগবে। বোনটি তো এই পিক দেখে তার আরোও কষ্ট বেড়ে গেলো। কারন প্রথম ভাইটা তাকে এমন করেই পিক পাঠাত।
বোনটি তখন আরো কান্না শুরু করে দিল।
আর কাঁদতে না পেরে তার প্রথম ভাইটিকে কল দিল। ভাইটা কল রিসিভ করে বলতে লাগলো আপনি কে? চিনেও না চিনার ভান করলো।মেয়েট তো আরও কষ্টে কান্না শুরু করলো।
কান্নার কারনে আর কথা বলতে পারলো না।
কিন্তু ভাইটি কিন্ত বুজতে পারলো যে তার বোনিই কল দিছে। পরে ভাইটি মেসেজে আসলো কথা বললো আপনি কাঁদেন কেন?
আমি তো আপনার কেউ না। এখন সে আর আগের ভাই – বোনের মতো তুই করে কথা বলে না। আপনি আপনি বলে পরের মতো করে কথা বলে। অবশেষে বোনটি অনেক কষ্ট পেল। এখন মেয়েটি আগে মতো ফেসবুকে আসে না। তেমন কিছু লেখালেখি করে না, মনটা তার ফেসবুক থেকে উঠে গেছে।
মেয়েটি শিক্ষা পেয়ে গেলো ফেসবুক জীবনে
ভাই- বোন আর ব্রেষ্ট ফ্রেন্ড সবিই দুদিনের।