সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের মেয়েরা কেমন স্বাধীন ?
সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের মেয়েরা কেমন স্বাধীন ?
আজ চলছে একবিংশ শতক ,এখন সব কিছুকেই আধুনিকতার সাথে মেপে চলা হয় । কিন্তু তারপরও মেয়েদেরকে তাদের একটা সীমা নির্ধারণ করে দেয়া হয় ।
মেয়েরা কি সত্যি স্বাধীন? আজ এই পর্যায়ে এসে তারপর তাদের জন্য এরকম প্রশ্ন করা হয় ।
আমি মেয়ে হিসেবে বলবো , মেয়েদের জন্য আজীবন স্বাধীন বলে কিছু নেই, তারা সবসময়ই পরাধীন । বাবার বাড়ি থেকে স্বামীর বাড়ি , তারপর তার সন্তান রা তাদের স্বাধীনতা কে হস্তক্ষেপ করে থাকে ।
এমনকি পোশাক- আসাকের জন্যে ও তারা স্বাধীনতা নেই । সমাজের অনেক মানুষ আছে যারা মনে করেন , বোরখা পড়লে ,হিজাব পড়লে তারা ভালো আর অন্য পোশাক যেমন ওয়েস্টার্ন ড্রেস টপস পরলে তারা অভদ্র, বাজে এবং খারাপ ।
আমাদের দেশের সরকার মহিলা ,কিন্তু বাস্তবে আমাদের দেশ পুরুষ শাসিত সমাজের একটা বিষয় । একটা মেয়ে চাইলেই সবকিছু করতে পারেনা , তাদের পড়াশোনা থেকে শুরু সবকিছু পরিবার থেকে ঠিক করে দেয়া হয় ।
বিয়ের ব্যাপারটা ও মেয়েদের পরিবার থেকে ঠিক করা হয় , মেয়েরা তাদের পছন্দের কথা বললেও তা মেনে নেওয়া হয় না , যদি মেয়েদের পছন্দের ছেলেটি সবদিকেই ভালো হয় তাহলে সেটা বিবেচনা করা হয় বা পরে সেটা মেনে নেওয়া হয় ।
রাত্রে বাড়ি ফেরা নিয়ে যদি বলি এক্ষেত্রে ছেলেরা যখন খুশি ,যতক্ষণ খুশি বাইরে থাকতে পারে , আর মেয়েরা যদি সন্ধা সাতটার পর বাড়ি ফেরে তাহলে তার কথা শুনতে হয় ,এমনকি তার যে ভাইটি যখন খুশি যতক্ষন খুশি বাইরে থাকে সে ভাইয়ের কাছ থেকেও কথা শুনতে হয় । এখানে কোথায় স্বাধীনতা আছে বলতে পারেন ?
মেয়ে হওয়ার কারণে আমরা প্রতিদিন প্রতিটা ক্ষণ পদে পদে পরাধীনতার স্বীকার হই । আমি আমার নিজস্ব মতামত নিয়ে বলছি , মেয়েরা সকল বিষয়ে স্বাধীন নয় ,তারা সবসময়ই পরাধীন, পুরুষের অধীন।
আর সিদ্ধান্তের ব্যাপারে যদি বলি তাহলে , মেয়েরা পুরোপুরি পরাধীন ।
পুরুষের উচিত, মেয়েদের স্বাধীনতা দেওয়া , অতিরিক্ত পরাধীনতা মানুষকে দাসত্ব ছাড়া আর কিছুই বলা যায় না ।
সুত্র ঃ বিবিসি