আজকের আপনাদের সাথে ব্যক্তিগত সৌন্দর্য নিজের মধ্যে কীভাবে গড়ে তুলবেন এই নিয়ে আলোচনা করব ।কিছু নিয়ম মানলেই অন্যের কাছে আমরা নিজেদের খুব সুন্দরভাবে প্রকাশ করতে পারি।এর জন্য প্রয়োজন খানিকটা অনুশীলন। এর ফলেই আপনি একসময় নিজেকে অবশ্যই সমাজের কাছে সুন্দর ব্যক্তিত্বরূপী মানুষ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে পারবেন।
ব্যক্তিগত সৌন্দর্য আপনার জন্য অপরিহার্য, তাই যতটা সম্ভব তাদের বিকাশ এবং লালন করুন। আপনি নিজের জীবনকে ভালবেসে সময় কাটাচ্ছেন বা ভাল বন্ধুদের সাথে বেড়াতে উপভোগ করুন না কেন, আপনাকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ আচরণ এবং আচরণের নির্দেশিকা অবশ্যই অনুসরণ করতে হবে। কেউ যখন আপনাকে ভালবাসবে, কিছু প্রাথমিক সম্পর্কের নিয়ম উপেক্ষা করা মাত্রই আপনাদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি হতে পারে। আপনি কাউকে প্রপোজ কররেন, বা নুতন কোন বন্ধুর সাথে কফির জন্য সাক্ষাৎ করতে চান, আপনি যদি সেই সাক্ষাৎে সার্বক্ষণিক সুন্দর হন তখন আপনার সাফল্যের সম্ভাবনা বেশি থাকে। আর সুন্দর বলতে চেহারার সৌন্দর্য নয়।এটাকে বলে মনের অভ্যন্তরীণ সৌন্দর্য। কেউ গড়পড়তা বা মনমরা ব্যক্তির সাথে হ্যাংআউট করতে চায় না,তাকে বেশী সহ্য করাটাও হয়তো ২য় পক্ষের সম্ভব নাও হতে পারে। সুন্দর হওয়ার জন্য যে যে জিনিস গুলো করবেন যেমনঃ সর্বদা একটি হাসি মুখের জন্য প্রস্তুত থাকুন,এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ । আপনি হতাশ হওয়া সত্ত্বেও অন্য ব্যক্তির সাথে মনমরা অভদ্র বা চটজলদি হওয়া থেকে বিরত থাকুন। ইতিবাচক হওয়ার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করুন তবে নকল হবেন না বা অতিরিক্ত হবেন না বা আপনি অন্যদের বিরক্ত করার করার চেষ্টাও করবেন না। সুযোগ উঠলে অন্যদের সহায়তা করুন। শ্রদ্ধার সাথে আচরণ করুন,রিলেশনশিপে, ফ্রেন্ডসিপে একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধা জিনিসটাও কিন্তু খুবই গুরুত্বপূর্ণ আবার যেকোনো রিলেশনশিপকেই পোক্ত করে এই শ্রদ্ধাযুক্ত মনোভাব।
একজন ভালো শ্রোতা হোন:
একজন ভালো শ্রোতা হওয়া জরুরী। আপনি অবশ্যই যখন অন্যরা কথা বলবেন তাদের কথার মাঝে হুট করে ঢুকবেন না।বরং তাদের বলতে পারেন,”যদি কিছু মনে না করেন এবার আমি কী কিছু বলতে পারি?”।তবে মনে রাখতে হবে যখন অন্যপক্ষ একটু সময়ের জন্য হলেও থামবে তখনি তাকে এই কথা বলুন।কোন ভাবেই অন্যদের কথার মাঝে হুট করে ঢুকবেন না।অন্যরা যাই বলুক না কেন শুনতে বিরক্ত লাগলেও আপনাকে কষ্ট করে হলেও হাসি মুখে অন্যের কথা শুনতে হবে এতে আপনি যখন অন্য কাউকে আপনার কথা বলবেন,দেখবেন তারাও আপনার কথাকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিচ্ছে। কোন ভাবেই অন্যের কথা শোনার সময় স্মার্টফোনটিকে ঘাটাঘাটি করবেন না।এতে অন্য ব্যক্তি মনে মনে একটু হলেও কষ্ট পাবে তখন আপনার প্রতি একটু অন্যধরণের মন্দলাগা তার মধ্যে নিহিত হয়ে যাবে। যেমন সে ভাবতে থাকবে আপনার খুব Attitude, খুব ভাব এসমস্ত। পরবর্তীতে সেই ব্যক্তিও আপনাকে কোন এক পর্যায়ে অবজ্ঞা করবে।মনে রাখবেন যদি সুযোগ আসে তখনই অপর পক্ষকে প্রশ্ন করবেন। হুট করে প্রশ্ন করাটাও ঠিক নয়।
অপরের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হোন
অন্যদের সম্মান করতে, শ্রদ্ধা করতে শিখুন।কাউকে শ্রদ্ধা করলে কখনোই আপনি ছোট হবেন না। বরং যে ব্যক্তি আপনার কাছ থেকে শ্রদ্ধা বা সম্মান পাবেন সেই ব্যক্তি আপনার সম্পর্কে ভালো ধারণা তার মনে পুষে নেবে।তাই অন্যকে সম্মান বা শ্রদ্ধা করলে আপনার ক্ষতি হবে না বরং যথেষ্ট লাভই হবে।
অন্যের ত্রুটিগুলো গ্রহণ করুন
আপনি যদি অন্যের ত্রুটি বা ভুল গ্রহণ না করেন তাহলে সেই ব্যক্তি কখনো শোধরাবে না বরং সে আরও Demotivate হয়ে যাবে অথচ একই ক্ষেত্রে যদি আপনি অন্যের ত্রুটি গ্রহণ করে তা সংশোধন করে তাকে বুঝিয়ে সে এতে নতুন করে অনুপ্রেরণা পাবে এবং আপনাকে সে সম্মান ও করবে।
অন্যকে ধন্যবাদ দিতে শিখুন
কেউ তো আপনাকে একটু হলেও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেবে সেটা হোক ছোটখাটো বা বড়।যে সাহায্যই হোক না কেন তাকে ধন্যবাদ জানান।ভদ্রতা আর সুন্দর ব্যক্তিত্বের এটি একটি অন্যতম লক্ষণ।
সবচেয়ে বড় কথা ব্যক্তিত্বকে সুন্দর করার জন্য প্রয়োজন বাস্তব জীবনে এই নিয়মগুলো প্রয়োগ করা।আপনি বাস্তবিক জীবনে কখনোই নিজের ব্যক্তিত্বকে সুন্দর রূপে উপস্থাপন করতে পারবেন না যদি আপনি নিজেকে বদলাতে পারেন । তাই সময় এসেছে নিজেকে বদলাবার। বদলে ফেলুন নিজেকে।