আমরা সবাই জানি যে সোস্যাল সাইটগুলো বা ভিডিও শেয়ারিং সাইটগুলো আমাদের জীবনকে বিভিন্নভাবে প্রভাবিত করছে। দিনদিন এসবের ব্যবহার বেড়েই যাচ্ছে। প্রতিদিন আমরা বেশিরভাগ সময়ই ফেসবুক, ইউটিউবে কাটিয়ে দেই। এসবের মাঝেই থাকতে যেনো আমরা বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। কখনো মনে হয় এটাই জীবনের আনন্দ।
তবুও আমরা সারাদিন সোস্যাল সাইটে বা ইউটিউবেথাকার পরও দিনশেষে অনেকেই যেনো হতাশ হয়ে পরি। অনেকেই জড়তায় ভোগী। আসলে আমরা পার্থিব জীবন এর চেয়ে সোস্যাল মিডিয়া তে বেশী সময় দিচ্ছি। এর ফলে আমরা পরিবার ও আশেপাশের মানুষ বা বন্ধুদের থেকে অনেকটা আলাদা হয়ে গেছি।
এমনকি আমাদের কষ্টের বিষয়গুলো আমরা পরিবারের সাথে শেয়ার না করে সোস্যাল সাইটে বা ফেসবুক ফ্রেন্ডদের সাথে শেয়ার করি। নিউজফিডে ঘুরি। এতে আমরা আসল জীবনের স্বাদ পাচ্ছি না। জীবনের প্রকৃত আনন্দ উপভোগ করতে পারছি না।
আমরা যখন সারাদিন সোস্যাল সাইটে বা ইউটিউবে থাকার পর দিনশেষে আমরা যখন ভাবি কী করলাম আমরা সারাদিন? সত্যিকারের আনন্দটা কী আমরা আদৌ পেয়েছি? এসব ভাবতে গিয়ে আমরা হতাশায় পরি। যদি ঐ সময়টা যদি কোনো ভালো কাজে ব্যয় করতাম তাহলে ভালো কিছু পেতে পারতাম।
পরিবারের সবার সাথে কাছের মানুষজনদের কাছে আমার মূল্যবান কথা বা সমস্যা শেয়ার করতাম, তাহলে অনেক কিছু বুঝতে পারতাম বা সমাধান পেতাম। কিন্তু আমরা তা করি না। আমরা সোস্যাল সাইট বা ইউটিউবের মধ্যে পরে থাকি। আমাদের কাছে মনে হয় এটাই হয়তো ভালো, এটাতেই আনন্দ। এতে আমরা আমাদের প্রকৃত জীবনটাকে হারিয়ে ফেলছি।
আমরা যদি সত্যি সুন্দর একটা জীবন চাই, প্রকৃত আনন্দ চাই তাহলে আমাদের জীবন কে বেশি মূল্য দিতে হবে, বেশি সময় দিতে হবে। ফেসবুক, ইউটিউব এসব চালানো বাদ দিতে হবে তা না। আমরা এগুলো আমাদের ভালো কাজে ব্যবহার করতে পারি।
যেহেতু আমাদের জীবনে বিনোদনের ও দরকার আছে সেহেতু আমরা এগুলো ব্যবহার করতে পারি। কিন্তু মাথায় রাখতে হবে, অতিরিক্ত এসবের পেছনে ঘুরতে গিয়ে নিজের প্রকৃত জীবনটাকে হারিয়ে ফেলি। আমাদের দৈনন্দিন জীবনের কাজ ও সমস্যার কথা আমাদের কাছের মানুষদের সাথে শেয়ার করে নেব। অনলাইন থেকে অফলাইনে বেশি সময় দেব। তাহলেই আমরা সুখি জীবন পাবো।
জীবন অনেক মূল্যবান। তাই আমাদের উচিত জীবনকে সঠিকভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। আশা করি আমার কথাগুলো আপনাদের উৎসাহিত করবে সামনে এগিয়ে চলতে।