আমি, হামিদ আর শিবলু, বিদ্যুতের জন্ম দিনে তার বাড়িতে বেড়াতে যাই। সেখানে কিছু আড্ডা দিয়ে বিদ্যুতসহ আমরা সবাই সিলেট চলে যাই। সেখানে গিয়ে আমরা বিদ্যুতের জন্ম দিন সেলিব্রেট করি। আমার তখন একটি কল আসে, তাই আমি একটু বাইরে চলে যাই। তারপর একটু দূরে একটি গাড়ির দিকে আমার চোখ পড়ল। গাড়ির ভিতরে একটি একটি মেয়ে ছিল।
মেয়েটির চোখে চোখ পড়তে আমার বুকের ভেতর কি যেন একটা সিগন্যাল দিতে লাগল। তার দু ঠোঁট মিশ্রিত হাসিটি তখন আমার মনটি কেড়ে নিয়েছিল। আমি শুধু তার দিকে একপ্রানে চেয়ে রইলাম। হঠাৎ দেখি মেয়েটি গাড়ি থেকে নেমে আমার দিকে আসছে। আমি তো তখন একটু অবাক হয়ে যাই।আশে – পাশে তাকিয়ে দেখি আমার পাশে কেউ নেই।
তখন মেয়েটি আমার সামনে চলে আসে এবং বলল”কি অবাক হচ্ছ, আমাকে আসতে দেখে”। আমি বললাম হ্যাঁ। আপনি আমাকে চিনেন না কি। মেয়েটি বলল না, তবে আপনার মতো একটি ছেলে আমি খোজঁছি। এ কথাটি যেন আমার মন কেড়ে নেয়। আমার হার্টবিট তখন ক্রমশ বাড়তেই থাকে। মেয়েটি কথার পরশ শুধু আমি কেন প্রতিটি ছেলে মন কেড়ে নেবে। আমি শুধু মেয়েটির কথাই শোনতেছিলাম।
মেয়েটি তখন বলল আমার নিজের বলতে কেউ নেই। এ কথা শোনে আমার একটু খারাপ লাগল এবং ভাবতে লাগলাম এমন একটি মেয়ের আপন বলতে কেউ নেই। আসলে এটা হল প্রকৃতির খেলা। যার র একুল আছে তো অকুল নাই। তখন মেয়েটি বলল কি ভাবতেছন।
আমি বললাম না কিছু না তবে আপনি আমাকে এসব কথা শোনাচ্ছন কেন, কেনই বা আমার মতো ছেলে খোঁজছেন। মেয়ে টি প্রত্তুতরে উত্তর দিল যে, আমার কেউ নেই তো কি হয়েছে।
আমি এমন একটি ছেলে চাই যে আমার এই সব অবাব পুরণ করে দিবে। আর আমি এখন আপনাকেই খোঁজে পেয়েছি। কারণ আজকালকার ছেলেরা শুধু এনজয় করতেই জানে কারো মনের কথা শোনার তাদের সময় কই।
কিন্তু, আপনাকে দেখে বাকি ছেলেদের মতো মনে হয় না, তাই আপনাকে বাছাই করলাম। কি আমাকে কি পছন্দ হয়েছে, আমার সাথে আসবে। আমি কিছু না ভেবে রাজি হয়ে গেলাম। এদিকে হামিদ, শিবলু ও বিদ্যুত আমাকে খুজতেছিল।
কিন্তু আমি এসব না ভেবে মেয়েটির সাথে চলে যাই। আমি বললাম আপনার বাড়িতে নিয়ে যাবেন। মেয়েটি বলল কি বললেন। আমি তো রীতিমতো অবাক হয়ে যাই এবং ভাবলাম কিছু কি ভুল বলেছি।
তাই মেয়েটিকে বললাম আমি আবার কি বলেছি। মেয়েটি বলল এই যে তখন থেকে শুধু আপনি আপনি বলে যাচ্ছেন। এখন থেকে আর আপনি নয় তুমি বলে ডাকবেন। আমি বললাম ও এই ব্যাপার।
আমি তো কি জানি কি কথা ভেবে বসে ছিলাম। আচ্ছা ঠিক আছেন, তুমি কি এখন আমাকে তোমার বাড়িতে নিয়ে যাবে। মেয়েটি বলল হ্যাঁ। তখন আমরা দুজন চলতে লাগলাম এক অজানা জায়গায়। মেয়েটির সাথে গল্প করতে করতে কখন যে ঘুমিয়ে পড়লাম তা ভাবতে ও পারি নি।
যখন চোখ খুলল তখন নিজেকে এক অজানা জায়গায় আবিষ্কার করলাম।বাইরে এসে দেখি চারিদিকে ফুলের বাগান।ফুলের ঘ্রাণ আমাকে মোহিত করে দিল।বাইরে এসে এই দৃশ্যগুলো দেখতে লাগি। তখন চোখ পড়ল ফুলের বাগানের মাঝখানে।
দেখি মেয়েটি সেখানে বসে আছে।আমাকে দেখে মেয়েটি আমাকে ডেকে বলল….. কিরে তুই ঘুম থেকে উঠবি নাকি।চেয়ে দেখি মা আমাকে ডাকছে।ঘুম থেকে উঠে আমার খুব মন খারাপ হয়ে গেল। স্বপ্নে দেখা সেই মেয়েটি শেস কথাটি শোনতে পেলাম না। যাইহোক মেয়েটি সত্যিই অসাধারন ছিল।