প্রতিদিন সকালে এককাপ চা না খেলে যেন দিনের শুরুটাই সাদামাটা হয়ে যায়! আর সেই চা যদি হয় পুষ্টিগুণে ভরা তাহলে তো কথাই নেই।
আমরা সাধারণত আদা চা খেতে বেশি অভ্যস্ত। কেউ কেউ আবার আদার পাশাপাশি লবঙ্গ, গোল মরিচ অথবা লেবু মিশিয়ে খান। কেমন হতো যদি এগুলোর পাশাপাশি এক চিমটি হলুদও মিশিয়ে দিতেন। চলুন দেখে নেয়া যাক, এই এক চিমটি হলুদ আপনার চায়ের পুষ্টিগুণে আরো কী কী পরিবর্তন আনে।
১. রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাবে দ্বিগুণঃ হলুদে আছে প্রচুর পরিমানে কারকিউমিন। যা আপনার রক্তে জমা কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে দিবে। এটি স্ট্রোক ও হার্ট এট্যাকের ঝুকিও কমাতে সাহায্য করে।
২. দৃষ্টিশক্তি উন্নত করেঃ হলুদে উপস্থিত থাকা উপকারী উপাদান রেটিনার ক্ষমতা কমে যাওয়ার আশঙ্কা কমায়। এছাড়া চোখে প্রোটিনের মাত্রাও নিয়ন্ত্রণে রাখে এই হলুদ। এতে প্রোটিনের মাত্রা বেড়ে গিয়ে অন্ধত্ব হওয়ার ঝুকি থাকে না।
৩. ক্যান্সারের ঝুকি কমায়ঃ যেকোনো চা’ই ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে। আর সেই চায়ের সাথে হলুদের গুড়া মিশিয়ে নিয়মিত পান করলে ক্যান্সারের ঝুকি থাকে না বললেই চলে। কারণ হলুদে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমটরি প্রপাটিজ শরীরে যাতে ক্যান্সার সেল জন্ম নিতে না পারে সে দিকে খেয়াল রাখে।
৪. চেহারা সুন্দর করেঃ হলুদে থাকা ভিটামিন ই চেহারার সৌন্দর্য বাড়াতে সাহায্য করে। এছাড়া, ছোট-বড় সব ধরনের স্কিন ডিজিজের প্রকোপও কমিয়ে দেয়।
৫. হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটায়ঃ হলুদে থাকা উপাদান পাকস্থলীর উপকারী ব্যাকটেরিয়ার সংখা বাড়িয়ে দেয়। এতে হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটে এবং বদহজম প্রতিরোধ হয়।
৬. ব্রেনের ক্ষমতা বাড়ায়ঃ হলুদে উপস্থিত কারকিউমিন নামক উপাদান ব্রেন সেলের ক্ষতি হওয়া আটকায়। কাজেই নিয়মিত হলুদ চা (টার্মারিক টি) পান করলে ব্রেনের পাওয়ার এতোটাই বৃদ্ধি পায় যে অ্যালঝাইমার্সের মতো ভয়ঙ্কর রোগও দূরে থাকে। এছাড়া এই কারকিউমিন স্মৃতিশক্তি বাড়াতেও সাহায্য করে।
৭. হার্টের ক্ষমতা বাড়েঃ একটি গবেষণায় দেখা গেছে, যারা নিয়মিত হলুদ চা পান করেন তাদের হার্ট অন্যান্য মানুষের চেয়ে বেশি সুস্থ থাকে।
৮. আর্থ্রাইটিসের কষ্ট কমেঃ হলুদে থাকা কারমিউমিন শরীরে অ্যান্টিইনফ্লেমটরির মাত্রা বাড়িয়ে জয়েন্ট ও যন্ত্রণা কমিয়ে দিতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
তাহলে এখন নিশ্চয়ই বুঝে গেলেন প্রতিদিন সাধারণ চা না খেয়ে সামান্য হলুদ দিয়ে তৈরি করা টার্মারিক চা খাওয়া কতটা দরকার! তবে এটা কিন্তু শুধু আপনার, আমার না, সবারই এই চা খাওয়া দরকার। তাহলে আর দেরি কেন, সবাইকে জানিয়ে দিন, শেয়ার করুন ফেসবুকে।