আসসালামু আলাইকুম সবাইকে।
আশাকরি সকলে আল্লাহর রহমতে ভাল আছেন।
আজকে হাজির হয়ে গেলাম একটি স্পেশাল এবং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আইটেম নিয়ে।
যা হলো নবম -দশম শ্রেণীর হিসাববিজ্ঞান বই হতে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।
আজকের টপিক হচ্ছে হিসাব ও লেনদেনের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা/সম্পর্ক।
তো চলুন শুরু করা যাক।
১. মূলধন হিসাব: এটি একটি মালিকানা স্বত্ব হিসাব–মালিক প্রতিষ্ঠানকে নগদ, অর্থ, পণ্য ,সম্পদ ও সুবিধা প্রদান করলে মূলধন হিসাবে লিপিবদ্ধ হয়।
২. উত্তোলন হিসাব:মালিকানা স্বত্ব হিসাব– প্রতিষ্ঠান হতে মালিক ব্যক্তিগত প্রয়োজনে নগদ অর্থ,পন্য, সম্পদ ও সুবিধা গ্রহণ করলে উত্তোলন হিসাবে লিপিবদ্ধ হয়।
৩. নগদান হিসাব: এটি একটি সম্পদ হিসাব– লেনদেনের দ্বারা নগদ অর্থ প্রাপ্তি ও প্রদান ঘটলে নগদান হিসেবে লিপিবদ্ধ হয়।
৪. ব্যাংক হিসাব : এটি একটি সম্পদ হিসাব — লেনদেনের দ্বারা ব্যাংকে জমাকৃত অর্থ বৃদ্ধি ও হ্রাস ঘটলে ব্যাংক হিসাবের লিপিবদ্ধ হয়।
৫. ক্রয় হিসাব :এটি একটি ব্যয় হিসাব — নগদে ,চেকে, কার্ডে, ধারে ও বিলের মাধ্যমে পণ্য ( বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে যা ক্রয় করা হয়) ক্রয় এবং পণ্য চুরি ,নষ্ট ,ব্যবহার ও বিতরণ হলে ক্রয় হিসাবে লিপিবদ্ধ হয়।
৬. বিক্রয় হিসাব : এটি একটি আয় হিসাব — নগদে, চেকে ,কার্ডে , ধারে ও বিলের মাধ্যমে পণ্য বিক্রয় করা হলে বিক্রয় হিসাবে লিপিবদ্ধ হয়।
৭. আসবাবপত্র হিসাব : এটি একটি সম্পদ হিসাব — চেয়ার ,টেবিল ,আলমারি , শোকেস, ফাইল কেবিনেট প্রভৃতি স্থায়ী সম্পদ ক্রয় ও বিক্রয় হলে আসবাবপত্র হিসাবে লিপিবদ্ধ হয়।
৮. কলকব্জা ও যন্ত্রপাতি হিসাব : এটি একটি সম্পদ হিসাব — উৎপাদনে ব্যবহৃত বিভিন্ন মেশিন ক্রয় ,সংস্থাপন ,সম্প্রসারণ ও বিক্রয় সংক্রান্ত লেনদেন কলকব্জা ও যন্ত্রপাতি হিসাবে লিপিবদ্ধ হয়।
৯. ক্রয় ফেরত / বহিঃফেরত হিসাব : এটি একটি ব্যয় হিসাব — ক্রয় কৃত পণ্য ফেরত প্রদান করা হলে এই হিসাবে লিপিবদ্ধ হয় । এটি ব্যয় হ্রাস করে।
১০. বিক্রয় ফেরত/ আন্তঃফেরত হিসাব : এটি একটি আয় হিসাব — বিক্রিত পণ্য ফেরত পাওয়া গেলে এই হিসাবে লিপিবদ্ধ হয়।
১১. বেতন হিসাব : এটি একটি ব্যয় হিসাব– কর্মচারীদের বেতন পরিশোধ বা অপরিশোধিত হলে বেতন হিসাবে লিপিবদ্ধ হয়। এখানে উল্লেখ্য কর্মচারীদের নামে কোন হিসাব খোলা হবে না।
১২. মনিহারি হিসাব: এটি একটি ব্যয় হিসাব — প্রতিষ্ঠানের প্রশাসনিক কার্য সম্পাদনের জন্য কাগজ- কলম ,পেন্সিল ,স্কেল ,ফাইল কভার ,পিন ,ক্লিপ ইত্যাদি ক্রয় করা হলে মনিহারি হিসাবে লিপিবদ্ধ হয়।
১৩. পরিবহন খরচ হিসাব : এটি একটি ব্যয় হিসাব — পণ্য ক্রয়-বিক্রয় কালীন সময়ে তা যথাক্রমে আনয়ন ও পৌঁছানোর জন্য অর্থ ব্যয় হলে ক্রয়/আন্তঃপরিবহন হিসাব ও বিক্রয়/ বহিঃপরিবহন হিসাব খোলা হয়।
১৪. বিনিয়োগ হিসাব: এটি একটি সম্পদ হিসাব– প্রতিষ্ঠানের অলস অর্থ সাময়িকভাবে বা দীর্ঘ মেয়াদের জন্য শেয়ার , সঞ্চয়পত্র ,প্রাইজবন্ড ইত্যাদি ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করলে বা ভাঙ্গানো হলে বিনিয়োগ হিসেবে লিপিবদ্ধ হয়।
১৫. কুঋণ হিসাব: এটি একটি ব্যয় হিসাব– দেনাদারের মৃত্যু, দেউলিয়া বা অন্য কোন কারণে অর্থ আদায় অসম্ভব হলে কুঋণ হিসাব খোলা হয়। এখানে উল্লেখ্য সন্দেহযুক্ত পাওনার জন্য কুঋণ সঞ্চিতি হিসাব খোলা হয়।
আজকে এ পর্যন্তই।
পরবর্তী পোস্টে আরো বিস্তারিত আলোচনা করব।
সে পর্যন্ত আশা করি সকলে সাথে থাকবেন। ভাল থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
আল্লাহ্ হাফেজ।।