বয়স আমার এখন ১৭,১৮ হতে চলেছি। বলতে গেলে আমি কোরিয়া এত ভালোবাসি যে মাঝে মাঝে আমি কোরিয়ার কিছু শব্দ মিশ্রণ করে কথা বলি। যখন ক্লাস ৮ এ তখন আমর বন্ধুরা আমাকে পাগল ভাবত কারণ আমার ব্যবহার, কথা বলার ধরণ প্রায় কোরিয়ানদের মতো হয়ে গেছে।কোরিয়ার প্রতি আমার আকর্ষণ বাড়ে যখন আমি প্রথম বি.টি.এস এর গান দেখি বয় উয়িট লাভ।তখন প্রচলিত ছিল বি.টি.এসরা গে।আমি তখন এমন বয়স এ ছিলাম যে,সবাই খুলে বলবা না তাক। তখন সবাই প্রেম করত সাভ্বাবিক,কিন্তু আমি ছিলাম আরমি,বলে রাখি আারমি হচ্ছে বি.টি.এস এর ফ্যানডম।তখন আমি শুধু বি.টি.এস সম্পর্কে জানতাম। ভাষতাও জানতাম না সবকিছু শিখতে শুরু করি।জানলাম কে পপ কী! কোরিয়ান ড্রামা কী।তখন দিনের কথা বি.টি.এস এর মান এখনকার দিনের মতো ফেমাস ছিলনা। তারপর জানি কোরিয়া সর্ম্পকে।প্রথমে আমি জানতাম না কোরিয়া দুই প্রকার
সাউথ কোরিয়া এবং নরথ কোরিয়া।কে পপ হল উত্তর সাউথ কোরিয়া। সাউথ কোরিয়া তখন জাপান দ্বারা নিয়ন্ত্রণ হতো দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়। তারপর জানালাম কোরিয়ানদের বাধ্যগত মিলিটারিতে যেতে হয় ২১ মাস এর জন্য এটা এটা সব ছেলেদের জন্য।১৮-৩৫ বছর এর মধ্যে যেতে হয় মিলিটারি ট্রেনিং এর জন্য।আর কে পপ আইডলরা যাই ৩০ বছর বয়স হইতে এটা বাধ্যগত সবার জন্য। বাঙ্গালী মেয়েরা যেমন শাড়ী পরে,চাকমরা পিনন খাদি আর মারমারা থামি ঠিক তেমনি সাউথ কোরিয়ার ঐতিহ্যবাহী পোশাক এর নাম হানবক। আস্তে আস্তে জানতে পারি কোরিয়া ড্রামা সম্পর্কে। তারপর থেকে বি.টি.এস এর পাশাপাশি আরো অন্য গ্রুপ সম্পর্কে জানতে পারলাম।এখন আমি কোরিয়া সম্পর্কে প্রায় সব জানি।সব গুপ্রের নাম জানি।কোরিয়া একটি অনেক সুন্দর দেশ।কোমদিন নিজের চোখে দেখেনি কিন্তু ইন্টারনেট দেখে বুঝা যায় কত সুন্দর একটা দেশ।কোরিয়ন এর ফ্যান হবার কারণ হলো সেই দেশের সবকিছু, দেশটার প্রতি একটা টান সৃষ্টি হয়েছে।
যাই হোক আমার প্রথম ভালোলাগা আমার বাংলাদেশ ই