আসসালামু আলাইকুম প্রিয় ভাই ও বোনেরা । আশা করি সকলে খুব ভালো আছেন । আজ আমি বাংলাদেশের চারজন হ্যাকার এর ব্যাপারে আলোচনা করবো । তো চলেন শুরু করা যাক -পৃথিবীর ইতিহাসে বহু হ্যাকার দের নাম আন্তর্জাতিক মহলে সুপরিচিত । অর্থাত্ হ্যাকার মানেয় যে তারা ক্ষতিস্বাধন করে সেই ধারণা ভুল ।
আবার কিছু কিছু হ্যাকার সরকারী সাইটে অনেক রকম ক্ষতিস্বাধন করে দায় । যা পরে রিকভার করা অনেক কষ্টের হতে পারে । হ্যাকার সাধারণত দুই ধরণের (১) Black hat হ্যাকার এবং (২) White hat হ্যাকার । White hat হ্যাকারস রা দেশের জন্য ভালো কাজ করে এবং Black hat হ্যাকারস রা মূলত ক্ষতিস্বাধন করে থাকে, এবং বেআইনি কাজে লিপ্ত হয় । আন্তজার্তিক দিক থেকে পারফরম্যান্স এর দিক দিয়ে বাংলাদেশের হ্যাকাররাও কম যায়না । আন্তজার্তিক স্তরে বাংলাদেশী হ্যাকাররা প্রতিবেশী দেশগুলোর বহুবার সরকারী এবং বেসরকারী সাইটে আক্রমন করেছে ।
আবার আন্তজার্তিক স্তরে হ্যাকিং এর মাধ্যমেও সমগ্র বিশ্বে পরিচিতি ফেলে দিয়েছে । পৃথিবীর শীর্ষ স্থানীয় হ্যাকারদের সাথে বাংলাদেশী হ্যাকারদের নাম একযোগেই উচ্চারীত হয় । বাংলাদেশের সাইবারক্রাইম ইউনিট বাংলাদেশী হ্যাকারদের চিহ্নিত করেছে । আবার অনেক ক্ষেত্রে এরা নিজেদের তথ্য ওয়েব ব্যানারে পাবলিশ করেছে; অনেক হ্যাকার আবার হ্যাকিং এর অপরাধে জেলও খেটেছে । বাংলাদেশী হ্যাকারদের মধ্যে প্রথম স্থানে আছে – BBHH (Bangladesh Black Hat Hackers) এই হ্যাকার গ্রুপের প্রতিষ্ঠা হয় ২ জানুয়ারি ২০১২ সালে ; মূলত এই হ্যাকার গ্রুপ বাংলাদেশকে সূরক্ষিত রাখার উদ্যেশ্যে প্রতিষ্ঠা করা হয় ।
কিন্তু সম্প্রতি কালে এই হ্যাকার গ্রুপ আন্তর্জাতিক ও বিভিন্ন সাইটও আক্রমন করেছে ; যেমন- ভারতবর্ষের BSF ACADEMY এর একটি সাইট হ্যাক করে গোপন লতি ফাস করে দায় । তাছাড়া বাংলাদেশের ওপর অন্য কোনো দেশ যদি আক্রমন করে তাহলে এই গ্রুপটি সেই দেশের পরিচালনা সাইট গুলি হ্যাক করার চেষ্টায় রত থাকে । ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে বাংলাদেশী হত্যার প্রতিবাদেও এই গ্রুপটি ভারত সরকারকে সতর্কতার জন্য একটি মাস্ক পড়ে ভিডিও বার্তা পাঠায় ।
বার্তাটি ছিলো “”Hello citizen of Bangladesh we are BD BLACK HAT HACKERS; dear brother and sisters now it’s time to open your eye’s “” ;; তারা BSF এর সাইটকে পুরাই অকেজ করে দায় ও ভারতীয় অন্যান্য সরকারী ও বেসরকারী সাইট হ্যাক করে নেয় । এছাড়া ভারতে ২০১২ সালে ১৫ই জানুয়ারি ভারতের শেয়ারবাজার সাইট অকেজ করে দায় । পরবর্তীকালে এরা পাকিস্তানী সাইটও হ্যাক করেছে ; । বাংলাদেশী আরেকটি হ্যাকার গ্রুপের নাম হলো “SYBER JIHADI” যদিও এই গ্রুপটি ইন্দোনোশিয়া তেও কাজ করে ।
এই হ্যাকার গ্রুপ টি মুসলিম বিদ্বেশি কোনো সংস্থা বা দেশের বিরুদ্ধে কাজ করে । যেমন এই গ্রুপটি ইজরাইল দেশটির সরকারি তথ্য হ্যাক করার চেষ্টা করে ! ইন্দোনোশিয়া ও ইজরাইলের যুদ্ধে ইজরাইলকে সাহায্য করেছিলো । । বাংলাদেশের বিখ্যাত হ্যাকার হলেন “TIGER MATE” এই হ্যাকারটি প্রথম হ্যাকিং শুরু করে ২০০৯ সালে । গুগলকে হ্যাক করে আন্তজার্তিক হ্যাকিং গ্রুপ গুলির সাথে নিজের নাম করে নিয়েছিলো !
এই প্রথম বাংলাদেশী ব্যাক্তি যিনি গুগলকে হ্যাক করেছিলেন । যদিও প্রথমে বিষয়টিকে কেউ প্রথমে আজ্ঞুল দায়নি ; কিন্তু পরে এই হ্যাকারটি একটি ব্যানারে নিজের পরিচয় ও গুগলকে হ্যাক করার ডিটেলস প্রকাশ করে ।এবং নিজেকে বাংলাদেশী বলে স্বীকার করে ! বাংলাদেশে টপ 3 হ্যাকারদের মধ্য “R3XO MAN” এর নাম উল্লেখযোগ্য ; বাংলাদেশের বিরুদ্ধে কোনো দেশ যদি বৈষম্যমূলক আচরণ করে তাহলে এটি সেই দেশের দরকারি লতিপত্র তচনচ করে দায় ।
হ্যাকার থেকে কিভাবে সুরক্ষিত রাখবেন আপনার ফোণকে
আ্য ন্ড্রুয়েড বিশ্বের সনপ্রিয় একটি অপারেটিং সিস্টেম। Statcounter-এর রিপোর্ট অনুযায়ী বিশ্বের ৭৫ শতাংশের বেশি স্মার্টফোণ আ্যান্ড্রুয়েড সিস্টেম ব্যবহার করে।
মানুষের ব্যক্তিগত তথ্য চুরি করার জন্য হ্যাকারদের কাছেও বেশ জনপ্রিয় একটি মাধ্যমেের নাম হলো আ্যন্ড্রুয়েড ফোণ।আন্ড্রুয়েড ফোণ ব্যাবহার করে হ্যাকারার সহজেই আমাদের ভিবিন্ন ব্যক্তিগত তথ্য চুরি করতে পারে।
ডেটা বা তথ্য সুরক্ষিত রাখার উপায়।
-
অরিজিনাল আ্যাপ।
-
আ্যাপ ইন্সটল এর আগে যা করতে হবে।
-
ফাইল সুরক্ষিত রাখা।
-
ফোণ এবং আ্যাপের সুরক্ষা।
-
এনক্রিপশন ব্যাবহার।
-
পাবলিক ওয়াইফাই।
অরিজিনাল আ্যাপ-
হ্যাকারদের কাছে তথ্য বা ডেটা চুরি করার প্রধান হাতিয়ার হলো আ্যাপ।তাই সবসময় চেষ্টা করবেন Google play store-থেকে আ্যাপ ইন্সটল বা ডাউনলোড করার আর না হয় আপনি যে আ্যাপসটি ডাউনলোড বা ইন্সটল করতে চাচ্ছেন সেই আ্যাপের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকে ডাউনলোডে করবেন।
আ্যাপ ডাউনলোড করার সময় আ্যাপ ডেভেলপারের নাম দেখে নিবেন আসল ডেভেলপার কি না।
বিশেষ করে ব্যাংকিং আ্যাপ গোলো ডাউনলোড করার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকতে হবে।
আ্যাপ ইন্সটল করার আগে যা করতে হবে-
কোনো আ্যাপ ডাউনলোড করার পর ইন্সটল করার সময় সেই আ্যপ কোন কোন বিষয়ে আ্যাক্সেস বা অনুমতি চাচ্ছে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে, প্রোজনের চেয়ে বেশি আ্যাক্সেস চাইলে সে আ্যপ ইন্সটল না করাই ভালো। যেমন –: মনে করেন ফটো এডিট করার জন্য একটি আ্যাপ ইন্সটল করলেন সেটা দিয়ে আপনি সুধু ফটো এডিট করবেন সেই আ্যপ যদি আপনার মাইক্রোফোনের আ্যক্সেস চাইলো! ফটো এডিট এর সাথে মাইক্রোফোনের কোনো সম্পর্ক নাই তাই এ ধরনের আ্যাপ ব্যাবহার থেকে বিরত থাকবেন।
ফাইল সুরক্ষিত রাখা-
ফোণের মধ্যে আমাদের অনেক ব্যাক্তিগত ছবি বা অফিসিয়াল ভিবিন্ন ফাইল থাকে, অন্য ব্যাক্তির (চুরি হয়ে গেলে) হাতে ফোণ চলে গেলেও সেই ছবি বা অফিসিয়াল ফাইলের যাতে কোনো ধরনের ক্ষতি নাহয় তার জন্য ছবি গুলোকে আলাদা কোথাও লক করে রাখা এবং ফাইল গুলোকেও লক করে রাখা।
ফোণ এবং আ্যাপের সুরক্ষা-
যখনি ফোণের অথবা আ্যপসের নতুন আপডেট আসে সম্ভব হলে সাথে সাথে আপডেট দেয়া। আমাদের ফোনে অনেক সময় ফোণের অথবা আ্যপসের আপডেটের জন্য নোটিফিকেশন আসে আমরা তা এরিয়ে যাই! সবসময় চেষ্টা করবেন আপডেটেড আ্যপ এবং এন্ড্রুয়েড সিস্টেম ব্যবহার করার।
এনক্রিপশন ব্যাবহার-
এনক্রিপশন এমন একটি কৌশল যার মাধ্যমে আপনি আপনার মেসেজ বা বার্তা সুরক্ষিত রাখতে পারবেব।আপনি যাকে বার্তা পঠাবেন সে এবং আপনি ছাড়া অন্য কেউ দেখতে পাবেনা তাই এনক্রিপশন ব্যাবহার করবেন।
পাবলিক ওয়াইফাই
বিনামূল্যে ইন্টারনেটে ব্যাবহার করতে কে না চায়! আমরার পাবলিক ওয়াইফাই পেলেই সাথে সাথেই কানেক্ট করে ভিবিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া ব্যাবহার শুরু করে দেই! এতে আপনার সমস্ত ডেটা চুরি হয়ে যেতে পারে তার জন্য আপনাকে সতর্ক থাকতে হবে।
এন্ড্রুয়েড বা স্মার্টফোণ সম্পর্কিত নতুন নতুন টিপস এবং ট্রিকস পেতে প্রতিনিয়ত ভিজিট করুন আমাদের জে আইটি সাইটে। আমি চেষ্টা করবো প্রতিদিন আপনাদেরকে এ ধরনের নতুন নতুন টিপস এবং ট্রিকস উপহার দেয়ার,বর্তমান প্রযুক্তির যোগে প্রযুক্তি সম্পর্কে দক্ষ এবং নিজেকে আরো স্মার্ট করে তুলতে জানার কোনো বিকল্প নেই! জানতে হলে আপনাকে পড়তে হবে আর পড়ার জন্য রয়েছে আমাদের এই ওয়েব সাইট,তাই প্রদিন ভিজিট করুন পরুন, জানুন, শিখুন এবং নিজেকে আরো দক্ষ এবং স্মার্ট করে গড়ে তুলুন।
এতক্ষণ ধর্যসহকারে আর্টিকেলটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। কথা হবে নতুন কোনো আর্টিকেলে সেই পর্যন্ত ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন আল্লাহ হাফেজ।