শুভ নববর্ষ
বন্ধুরা, আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি আপনারা যে যেই অবস্থানে আছেন সুস্থ দেহে সুস্থ মনে বেশ ভালো আছেন । আমিও বেশ ভালো আছি। আপনারা যে যেই অবস্থানে আছেন সে সেই অবস্থানে থেকে সর্বদা সুস্থ দেহে সুস্থ মনে বেশ ভালো থাকুন এ প্রত্যাশাই ব্যক্ত করি সব সময়। প্রতিবারের মতো আজকেও আমি নতুন একটি আর্টিকেল নিয়ে আবার আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি। আজকের আর্টিকেলে আমি ১ লা বৈশাখ নিয়ে কিছু স্ট্যাটাস লিখেছি যা আমাদের লাইফস্টাইল সংক্রান্ত। আশা করছি grathor.com এর সুপ্রিয় পাঠক পাঠিকাগণ যারা নিয়মিত আমার আর্টিকেল গুলো নিয়মিত পড়ে থাকে তাদের কিছুটা হলেও এই আর্টিকেলটি উপভোগ করবে।
বন্ধুরা, বৈশাখ মানেই সেখানে আনন্দ।
বৈশাখ মানেই সেখানে নতুনত্ব।
বৈশাখ মানেই রঙে রাঙাতে প্রত্যেক মানুষের নতুন বছরকে ভলোভাবে উদযাপন করার উদ্যমতা।
বৈশাখ মানেই নতুন বর্ষ উপলক্ষে একজন মানুষের অপরজনকে বিভিন্ন মাধ্যমে শুভেচ্ছা বা শুভকামনা জানানোর ইচ্ছা।
বৈশাখ মানেই পুরোনো সব কিছুকে ভুলে গিয়ে সামনে এগিয়ে যাওয়ার মানসিকতা।
বৈশাখ মানেই নতুনত্বের জয়ধ্বনি।
বৈশাখ মানেই পুরনো যত হতাশা, দুঃখ, অবসাদ, নতুন বছর আবহে সেগুলোর চিরধূলিসাৎ।
বৈশাখ মানেই নতুন সূর্য, নতুন প্রাণ।
বৈশাখ মানেই নতুন সুর, নতুন গান।
বৈশাখ মানেই নতুন ঊষা, নতুন আলো।
বৈশাখ মানেই নতুন বছর কাটবে ভালো।
বৈশাখ মানেই আসুক হর্ষ। সবার শুভ হোক নববর্ষ। সবাইকে আবারো নববর্ষের শুভেচ্ছা।…
কিন্তু মন খারাপ করা এ সময়ে এ বছর আর ১লা বৈশাখ উদযাপন করা হবে না। তবু বৈশাখী আনন্দ প্রতিটা মানুষের মধ্যে রয়েছে। তাই এই বৈশাখ নিয়েই আমি কিছু স্ট্যাটাস লিখেছি—–
১লা বৈশাখ আজি, বাংলার নতুন বরষ
বাঙালী যেথাা সেথা তার মনের হরষ–
পুরোনো আছে যতো দুঃখ বেদনার যাতনা
তা আজি ভুলে করি নতুন জীবনের ভাবনা,
করি তবে সেই নতুন বরষের তিরোধান
গাই আজি বৈশাখে সমাগত বরষের গান,
কে ভুলে সুখকর এই ১লা বৈশাখ তবে
অতীত বরষ বিদারী বৈশাখ এসেছে যবে,
কিন্তু বৈশাখ বরণ উপলক্ষ্যে পথে ঘাটে মেলা
যা হতো- হবে না আর সকাল হতে সন্ধ্যা রাত্রিবেলা,
অথবা লাল নীল হলুদ কমলা রঙের আবির
একে অপরকে দেয়ার জন্য কেউ আর নয় অধীর,
তবু বৈশাখের ইলশে পানতা ভাতের আয়োজন
করে আসছে বাঙালী দীর্ঘ আজীবন।
সারকথাঃ
নতুন বছর উদযাপনের সঙ্গে গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর কৃষ্টি ও সংস্কৃতির রয়েছে নিবিড় যোগ। গ্রামে মানুষ ভোরে ঘুম থেকে ওঠে, নতুন জামাকাপড় পরে এবং আত্মীয়স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবের বাড়িতে বেড়াতে যায়। বাড়িঘর পরিষ্কার করা হয় এবং মোটামুটি সুন্দর করে সাজানো হয়। বিশেষ খাবারের ব্যবস্থাও থাকে। কয়েকটি গ্রামের মিলিত এলাকায়, কোন খোলা মাঠে আয়োজন করা হয় বৈশাখী মেলার। মেলাতে থাকে নানা রকম কুটির শিল্পজাত সামগ্রীর বিপণন, থাকে নানারকম পিঠা পুলির আয়োজন। অনেক স্থানে ইলিশ মাছ দিয়ে পান্তা ভাত খাওয়ার ব্যবস্থা থাকে।
তো আজকে এ পর্যন্তই। আর্টিকেলটি ভালো লাগলে কমেন্ট ও শেয়ার করুন। সামনে এরকম আরো কয়েকটি লাইফস্টাইল সংক্রান্ত আর্টিকেল আপনাদের সাথে শেয়ার করব। ততক্ষণ পর্যন্ত ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।