সকাল ৪ঃ০০ টায় উঠে পড়লাম ঘুম থেকে। আজ না মা দিবস না মায়ের বার্থডে। আজ আমার জন্য মাকে ছু দিবস। পরীক্ষার শেষ হওয়ার পর আমরা যেমন চিল মারি। আজ আমার মাও চিল মারবে। আজ মায়ের ছুটি। আর আমার হয়তো ১২টা বেজে যাবে।
সকাল ৪ঃ০০ টায় থেকে শুরু হল আমার কাজ। বাবা আর ছোটুর জন্য নাস্তা রেডি করার সময় ৪টা পাউরুটি পুড়ে গেল। তবুও অনেক কষ্ট করে ৬টা পাউরুটি ডিম দিয়ে ভেজে দিলাম।তারপর আসল ছোটুর জন্য টিফিন রেডি করা। পারফেক্ট পাস্তা বানানে যে কত কষ্টের আজই বুঝতে পারলাম। ছোটু অনেক সেনসিটিভ খাবার যদি টেস্টি না হয় খেতে চায় না। ও তোমাদের বলতে ভুলে গেছি ছোটু আমার ছোট ভাই। তার ভালো নাম জয়।আমরা সবাই ছোটু ডাকি। ক্লাস 5 এ পড়ে। ছোটু প্রচুর খায়। ৩ ৪ ঘন্টা পর পর তার ক্ষিদা শুরু হয়ে যায়। আর মা তার জন্য প্রতিদিন সব নতুন নতুন খাবারের আইটেম রেডি করে দেন।
যাহোক ছোটুর জন্য পাস্তা বানানো শেষ করে এবার শুরু হল ছোটুর ব্যাগ রেডি করে দেওয়া।ক্লাসের রুটিন দেখে কী কী সাবজেক্ট আছে তা দেখে নিয়ে ব্যাগে রেখে দিলাম। পানির বোতল দিয়ে দিলাম।এবার সবচেয়ে কঠিন কাজ ছোটুকে স্কুলের জন্য রেডি করানো। অনেক টানাটানি গালাগালির পর ছোটুকে ঘুম থেকে জাগালাম। ছোটুর গোসল শেষে বাবাকে জাগাতে রুমে গেলাম। মাকে এভাবে ঘুমাতে দেখলে অনেক ভালো লাগল। বাবাকে জাগিয়ে তুললাম খুব সাবধানে যাতে মায়ের ঘুমের সমস্যা না হয়।
বাবা আর ছোটুকে সব রেডি করে দিয়ে বাবাকে অফিসে আর ছোটুকে স্কুলে পাঠানো কাজ শেষ করলাম। এবার মায়ের জন্য নাস্তা রেডি শুরু করতে হবে। মা সকালে এক কাপ চা আর দুইটা রুটি খান। প্রায় অনেক পরিশ্রমের পর রুটি বানানোর পর্ব শেষ। এখন কিচেন ঘোচানো পর্ব শুরু।
১০ঃ৩০ মা আর আমি একসাথে নাস্তা করলাম। তারপর মাকে পাঠালাম শপিং করতে আর বলে দিলাম সন্ধ্যায়ই যেন বাসায় ফিরে। মা যেতে না চাইলেও তার ফ্রেন্ডের সাথে পাঠালাম মাকে। এরপর শুরু আমার কাপড় ধুয়ার কাজ। একটু রেস্ট নিলাম।
লাঞ্চ করলাম। তারপট শুরু ডিনারের প্রিপারেশন।
রাতে সবাই আমার হতের খাওয়ার অনেক সুনাম করলেন।
দিনটা ছিল অনেক কষ্টের। তোমরাও সবাই একদিন মাকে ছুটি দিয়ে মায়ের দায়িত্ব নিয়ে দেখো কত কঠিন কাজ। মায়ের কাজ করলে বুঝতে পারবা অংক এর থেকে বেশি সহজ। মাকে দিয়ে দাও একদিনের ছুটি।