প্রশ্ন:আমরা কি উৎপাদন?উৎপাদনের কি প্রযুক্তি ব্যবহার করবো?উৎপাদিত পণ্য কাদের জন্য প্রয়োজন ?এই প্রশ্নগুলোর উত্তর প্রদানই হচ্ছে একেক দেশের ,একেক অর্থনৈতিক ব্যবস্থার প্রধান কাজ -এ সম্পর্কে ৩০০ শব্দের মধ্যে মধ্যে একটি প্রবন্ধ লিখ।
উত্তর:সূচনা:
অর্থনীতি হচ্ছে চয়ন বা নির্বাচনের বিজ্ঞান। অর্থনীতি সীমিত সম্পদ ব্যবহার করে। সর্বোচ্চ উৎপাদন,সর্বোচ্চ ভোগ এবং সর্বোচ্চ কল্যাণ সাধনের জন্য সঠিক পথটি বাছাই করার নিরন্তন চেষ্টা চালায়। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন রকমের ব্যবসা ও বাণিজ্য প্রথা চালু রয়েছে প্রথা চালু রয়েছে আবার সারা পৃথিবীতে সকল দেশে এই রকম ব্যবসা ও বানিজ্য প্রথা চালু রয়েছে।কিন্তু পুঙ্খানুপুঙ্খ বিচার করলে দেখা যাবে যে পৃথিবীর সব অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় শেষ বিচারে একটি মিশ্র ব্যবস্থা। আমাদের বাংলাদেশেও আমরা একটি মিশ্রিত ব্যবস্থা দেখতে পাই। এখানে ব্যক্তি খাতে বাজারি প্রধান নিয়ন্ত্রক ,রাস্ত্রখাতে রাষ্ট্র বা পরিকল্পিত সিদ্ধান্তই প্রধান নিয়ন্ত্রক ,ইসলামীগুলিতে (যেমন ইসলামী ব্যাংক)শরিয়ার হুকুমই প্রধান নিয়ন্ত্রক ,ইসলামী প্রতিষ্ঠানগুলিতে শরীয়ায় হুকুমই প্রধান নিয়ন্ত্রক,আবার এই সবগুলোই ক্ষেত্রেই একে বছরের প্রভাবে প্রভাবন্বিত হচ্ছে। বাজার,আইন ,ইসলামী মুল্যবান কোনটিই আমাদের অর্থনীতিই একেক প্রাধান্য বিস্তার করতে সক্ষম হয় নি।
বিভিন্ন অর্থব্যবস্থার বর্ণনা নিম্নরূপ:
১.ধনতান্ত্রিক অর্থনীতি
২.সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতি
৩.মিশ্র অর্থনীতি
৪.ইসলামী অর্থনীতি
১.ধনতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থা ;
এই ব্যবস্থায় উৎপাদনের উপাদানগুলো ব্যক্তি মালিকাধীন এবং প্রধানত বেসরকারি উদ্যোগে ,সরকারি হস্তক্ষেপ ছাড়া স্বয়ংক্রিয় দমব্যবস্থায় মাধ্যমে যাবতীয় অর্থনৈতিক কার্যক্রম পরিচালিত হয়।
২,সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতি:
সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতিতে সমাজের অধিকাংশ সম্পদ ও উৎপাদনের উপাদানের উপর রাষ্ট্রের বা সমাজের মালিকানা প্রতিষ্ঠিত থাকে। অধিকাংশ শিল্প -কারখানা ও উৎপাদন প্রতিষ্ঠানের মালিক সরকার সমাজ বা সেগুলো সরকারি বা সামাজিক নির্দেশে পরিচালিত হয়ে থাকে।
৩.মিশ্র অর্থনৈতিক ব্যবস্থা:
যে অর্থব্যবস্থায় ব্যক্তিমালিকানা ও বেসরকারি উদ্যেগের পাশাপাশি সরকারি উদ্যোগ ও সামাজিক নিয়ন্ত্রণ বিরাজ করে তাকে মিশ্র অর্থব্যবস্থা বলে।
৪.ইসলামী অর্থনৈতিক ব্যবস্থা:
ইসলামের মৌলিক নিয়ম কানুনের উপর বিশ্বাসকে ভিত্তি করে গড়ে উঠা অর্থব্যবস্থাকে ইসলামী অর্থব্যবস্থা বলে।
উপসংহার:
মূলত একেক দেশের ভৌগোলিক অবস্থান একেক রকম হওয়াতে পণ্য উৎপাদনও আলাদা রকমের হয়। উৎপাদিত পণ্য ,দেশের নিয়ম কানুন সংস্কৃতি অনুযায়ী একেক দেশ একেক রকম অর্থনৈতিক ব্যবস্থা অনুসরণ করে।
ধন্যবাদ সবাইকে। সামনে নতুন কোনো টপিক নিয়ে হাজির হব আপনাদের সামনে।
মাস্ক পড়ুন
সুস্থ থাকুন
প্রশ্ন:আমরা কি উৎপাদন?উৎপাদনের কি প্রযুক্তি ব্যবহার করবো?উৎপাদিত পণ্য কাদের জন্য প্রয়োজন ?এই প্রশ্নগুলোর উত্তর প্রদানই হচ্ছে একেক দেশের ,একেক অর্থনৈতিক ব্যবস্থার প্রধান কাজ -এ সম্পর্কে ৩০০ শব্দের মধ্যে মধ্যে একটি প্রবন্ধ লিখ।
উত্তর:সূচনা:
অর্থনীতি হচ্ছে চয়ন বা নির্বাচনের বিজ্ঞান। অর্থনীতি সীমিত সম্পদ ব্যবহার করে। সর্বোচ্চ উৎপাদন,সর্বোচ্চ ভোগ এবং সর্বোচ্চ কল্যাণ সাধনের জন্য সঠিক পথটি বাছাই করার নিরন্তন চেষ্টা চালায়। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন রকমের ব্যবসা ও বাণিজ্য প্রথা চালু রয়েছে প্রথা চালু রয়েছে আবার সারা পৃথিবীতে সকল দেশে এই রকম ব্যবসা ও বানিজ্য প্রথা চালু রয়েছে।কিন্তু পুঙ্খানুপুঙ্খ বিচার করলে দেখা যাবে যে পৃথিবীর সব অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় শেষ বিচারে একটি মিশ্র ব্যবস্থা। আমাদের বাংলাদেশেও আমরা একটি মিশ্রিত ব্যবস্থা দেখতে পাই। এখানে ব্যক্তি খাতে বাজারি প্রধান নিয়ন্ত্রক ,রাস্ত্রখাতে রাষ্ট্র বা পরিকল্পিত সিদ্ধান্তই প্রধান নিয়ন্ত্রক ,ইসলামীগুলিতে (যেমন ইসলামী ব্যাংক)শরিয়ার হুকুমই প্রধান নিয়ন্ত্রক ,ইসলামী প্রতিষ্ঠানগুলিতে শরীয়ায় হুকুমই প্রধান নিয়ন্ত্রক,আবার এই সবগুলোই ক্ষেত্রেই একে বছরের প্রভাবে প্রভাবন্বিত হচ্ছে। বাজার,আইন ,ইসলামী মুল্যবান কোনটিই আমাদের অর্থনীতিই একেক প্রাধান্য বিস্তার করতে সক্ষম হয় নি।
বিভিন্ন অর্থব্যবস্থার বর্ণনা নিম্নরূপ:
১.ধনতান্ত্রিক অর্থনীতি
২.সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতি
৩.মিশ্র অর্থনীতি
৪.ইসলামী অর্থনীতি
১.ধনতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থা ;
এই ব্যবস্থায় উৎপাদনের উপাদানগুলো ব্যক্তি মালিকাধীন এবং প্রধানত বেসরকারি উদ্যোগে ,সরকারি হস্তক্ষেপ ছাড়া স্বয়ংক্রিয় দমব্যবস্থায় মাধ্যমে যাবতীয় অর্থনৈতিক কার্যক্রম পরিচালিত হয়।
২,সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতি:
সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতিতে সমাজের অধিকাংশ সম্পদ ও উৎপাদনের উপাদানের উপর রাষ্ট্রের বা সমাজের মালিকানা প্রতিষ্ঠিত থাকে। অধিকাংশ শিল্প -কারখানা ও উৎপাদন প্রতিষ্ঠানের মালিক সরকার সমাজ বা সেগুলো সরকারি বা সামাজিক নির্দেশে পরিচালিত হয়ে থাকে।
৩.মিশ্র অর্থনৈতিক ব্যবস্থা:
যে অর্থব্যবস্থায় ব্যক্তিমালিকানা ও বেসরকারি উদ্যেগের পাশাপাশি সরকারি উদ্যোগ ও সামাজিক নিয়ন্ত্রণ বিরাজ করে তাকে মিশ্র অর্থব্যবস্থা বলে।
৪.ইসলামী অর্থনৈতিক ব্যবস্থা:
ইসলামের মৌলিক নিয়ম কানুনের উপর বিশ্বাসকে ভিত্তি করে গড়ে উঠা অর্থব্যবস্থাকে ইসলামী অর্থব্যবস্থা বলে।
উপসংহার:
মূলত একেক দেশের ভৌগোলিক অবস্থান একেক রকম হওয়াতে পণ্য উৎপাদনও আলাদা রকমের হয়। উৎপাদিত পণ্য ,দেশের নিয়ম কানুন সংস্কৃতি অনুযায়ী একেক দেশ একেক রকম অর্থনৈতিক ব্যবস্থা অনুসরণ করে।
ধন্যবাদ সবাইকে। সামনে নতুন কোনো টপিক নিয়ে হাজির হব আপনাদের সামনে।
মাস্ক পড়ুন
সুস্থ থাকুন