মানবদেহের অন্যতম প্রয়োজনীয় অঙ্গ হচ্ছে কিডনি | রেচন প্রক্রিয়া এবং শরীর থেকে বর্জ্য নিষ্কাশন করে কিডনি শরীরকে সুস্থ রাখে | প্রায়শই দেখা যায় ছোট বড় সকলেরই কিডনি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে | যার কারণে প্রয়োজন হচ্ছে ডায়ালাইসিস কিংবা কিডনি ট্রান্সপারেন্টের | যা অত্যন্ত ব্যয়বহুল একটি প্রক্রিয়া | তাই শুরু থেকেই আমরা যদি একটি সচেতন থাকি তাহলে সকলেই বাঁচতে পারি এই জটিল রোগ থেকে |
কিডনি ভালো রাখতে হলে :
নিয়মিত যদি আমরা নিচের নিয়মগুলো ঠিকভাবে মেনে চলতে পারি তাহলেই কিডনিকে রাখতে পারবো সুস্থ এবং সবল|যে
১.কিডনি ভালোরাখার অন্যতম প্রধান উপায় হলো বেশি পরিমান পানি পান করা | বেশি পানি পান করলে কিডনি ভালো থাকবে |
২.লবন যতুটুকু সম্ভব কম খাওয়া |
৩.প্রাণীজ প্রোটিন খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে যথাসম্ভব | এবং বেশি করে শাকসবজি খেতে হবে |
৪.রক্তচাপ সবসময় নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করতে হবে | রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে নিয়মিত ব্যয়াম করুন এবং অতিরিক্ত লবন খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে |
৫.শরীরে সুগারের পরিমান বেড়ে যাওয়াকে ডায়বেটিস বলে | ডায়বেটিসের কারণেও অনেক সময় কিডনি সমস্যা দেখা দেয় | তাই ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে |
৬.ব্যথানাশক ঔষধ থেকেও কিডনি আক্রান্ত হয় | তাই ব্যথানাশক ঔষধ থেকে থেকে যথাসম্ভব দূরে থাকুন এবং অনেকেই ভিটামিন সি ঔষধ কারণ ছাড়াই খেয়ে থাকে যা অনেক সময় কিডনির ক্ষতি করে |
কিডনি সমস্যার উপসর্গ :
সাধারণত ক্রিয়েটিনিনের পরিমান বেড়ে গেলে কিডনি কাজ করতে অক্ষম হয়ে যায় |
যাদের কিডনি সমস্যা আছে তাদের মাঝে নিম্নলিখিত উপসর্গ প্রায়সই দেখা যায় |
১. শরীর প্রচন্ড ভাবে দুর্বল লাগে | কারণ কিডনি সমস্যায় শরীরে রক্তশুন্যতা দেখা দেয় |
২.কিডনি যখন বর্জ্য শরীর থেকে ঠিকমতো নিষ্কাশন করতে পারেনা | তখন ওই বর্জ্য শরীরের রক্তের সাথে মিশতে থাকে যার কারণে শরীরে দেখা দেয় এক ধরণের চুলকানি |
৩.কিডনি অক্ষম হয়ে গেলে বাথরুম কম হবে | কিডনি নষ্ট হলে অনেক সময় মূত্রের রং ও পরিবর্তন হয়ে যায় | মূত্রের রং দেখা যায় হলুদ বর্ণ ধারণ করে |
৪.মাঝে মাঝে মূত্রের সাথে রক্ত দেখা যেতে পারে |
৫.খাবারে অরুচি দেখা দেয় | কারণ কিডনি অক্ষমতায় শরীর থেকে বর্জ্য ঠিকভাবে নিষ্কাশন হয় না | যার কারণে এগুলো শরীরের রক্তের সাথে যত মিশতে থাকে তত খাবারে অরুচি দেখা দেয় |
৬.কিডনি সমস্যার আরেকটি লক্ষণ হলো শরীরে ব্যথা দেখা দেয় | কারণ কিডনি তে এক ধরণের সিস্ট তৈরী হয় যা শরীরে মারাত্মক ব্যথা তৈরী করে |
উপরোক্ত সবগুলো লক্ষণগুলো পরিলক্ষিত হলে দেরি না করে ডাক্তারের শরণাপন্ন হওয়া উচিত |
প্রতিকার :
কিডনি নষ্ট হলে যত দ্রুত সম্ভব কিডনি ট্রান্সপারেন্টের ব্যবস্থা করতে হবে | আর সেটি সম্ভব না হলে নিয়মিত ডায়ালাইসিস
করাতে হবে | ডায়ালাইসিস করার মাদ্ধমে শরীর থেকে অতিরিক্ত দূষিত পানি এবং বর্জ্য বের হয়ে যায় | কারণ কিডনি অক্ষম হলে শরীর থেকে দূষিত বর্জ্য বের হতে পারেনা কারণ কিডনি ঠিকভাবে কাজ করতে পারেনা |যতটা সম্ভব পানি জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলতে হবে | এবং প্রতিদিন ডাক্তারের দেয়া পরামর্শ অনুযায়ী পরিমিত পরিমানে পানি পান করতে হবে