নিজের জন্য এক টুকরো জমি বা ফ্লাট, ছেলে-মেয়েদের জন্য উচ্চ শিক্ষার খরচ ইত্যাদি প্রায় সব মানুষের স্বপ্ন। এসব স্বপ্ন পূরণে শেয়ার ব্যবসা একটা বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারে। চাকরিজীবিদের স্বল্প সঞ্চয় হচ্ছে অমূল্য ধন। এই স্বল্প সঞ্চয় দিয়ে ছেলে-মেয়েদের উচ্চ শিক্ষার খরচ যোগানো কঠিন ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়। মাসে ৫০০ টাকা সঞ্চয় করে ১ লাখ টাকা যোগাড় করতে ১০-১২ বছর লেগে যায়। আবার যে হারে মুদ্রাস্ফীতি হচ্ছে এবং সম্পদের দাম বাড়ছে, তাতে এই স্বল্প সঞ্চয় দিয়ে কিছুই করা যাবে না। কিন্তু ঐ স্বল্প সঞ্চয়ের ব্যক্তিটি মাত্র ১০ হাজার টাকা শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করে এবং সঠিকভাবে পরিচালনা করে মাত্র ৫-৬ বছরের মধ্যে ১ লাখ টাকা তদুর্ধ্ব টাকার মালিক হতে পারেন। ব্যবসা করে অনেকে ধনী হওয়ার স্বপ্ন দেখেন। কিন্তু ব্যবসা করতে গেলে চাকরি ছাড়তে হয় এবং বড় ধরনের পুঁজির প্রয়োজন পড়ে। অথচ চাকুরি করেও শেয়ার ব্যবসা করা যায়। শেয়ার ব্যবসা হচ্ছে স্বপ্ন পূরণের নতুন ক্ষেত্র। আইপিও দিয়ে শেয়ার ব্যবসা শুরু করা যায়। লোভ-লালসা ও ভয় সামাল দিয়ে ধৈর্য়্য ধরে বিনিয়োগ অব্যাহত রাখতে হবে। ‘অসময়ে এলাম আবার দ্রুতই চলে গেলাম’ এমন হলে সেই বিনিয়োগে ভাল ফল পাওয়া যায় না। চাকরিজীবী, ছোট ব্যবসায়ী, গৃহিনী সকলের জন্য শেয়ার-এ বিনিয়োগ স্বপ্ন পূরণের সোপান হতে পারে।
প্রশ্ন ১৮: কমপক্ষে কত টাকা হলে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করা যায়?
উত্তরঃ পুঁজিবাজারের ২টি ভাগ আছে। একটি হলো প্রাইমারী বাজার। প্রাইমারী বাজার আবার দুই ভাগে বিভক্ত। এক অংশ প্রি-আইপিও বাজার। একে শেয়ার প্লেসমেন্ট বলা হয়। দ্বিতীয়টি হলো আইপিও বাজার। দ্বিতীয় ভাগ হলো সেকেন্ডারী বাজার। সেকেন্ডারী বাজারে স্টক এক্সচেঞ্জ এর মাধ্যমে ক্রয়-বিক্রয় সম্পন্ন হয়ে থাকে। কমপক্ষে ৫,০০০/-(পাঁচ হাজার) টাকা দিয়ে আইপিও’র জন্য আবেদন করা যায়। বিও এ্যাকাউন্ট খুলতে হাজার খানেক টাকা লাগে। কমপক্ষে ৬,০০০/- (ছয় হাজার) টাকা নিয়ে কোন নতুন বিনিয়োগকারী পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ শুরু করতে পারেন। একসাথে একাধিক আইপিও মার্কেটে চলে আসলে সেক্ষেত্রে টাকার পরিমাণ বেশি না থাকলে সবগুলোতে অংশগ্রহণ করা সম্ভব হয় না।
সেকেন্ডারী মার্কেটে বিনিয়োগ করতে হলে কমপক্ষে ২০-২৫ হাজার টাকা নিয়ে শুরু করা যায়। নতুন বিনিয়োগকারীদের জন্য প্রথমেই বেশি টাকা বিনিয়োগ করা উচিত নয়। অভিজ্ঞতা বাড়ার সাথে সাথে বিনিয়োগের পরিমাণ বাড়ানো ভালো। বিনিয়োগের পরিমাণ যত বেশি হবে ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার সুযোগ তত বেশি থাকবে। শেয়ারবাজারে সর্বোচ্চ যেকোন অংকের টাকা বিনিয়োগ করার সুযোগ রয়েছে।
প্রশ্ন ১৯: শেয়ার বাজারে ক্রয়-বিক্রয় সম্বন্ধে কিছু দিকনির্দেশনা দেওয়া কি সম্ভব?
উত্তরঃ শেয়ার বাজার একটি সংবেদনশীল বাজার। এ ব্যাপারে নিশ্চিতভাবে কিছু বলা খুবই কঠিন। তবে অভিজ্ঞতার আলোকে কিছু নির্দেশনা দেওয়া যায়। শেয়ার বাজারে ক্রয়-বিক্রয় সম্বন্ধে কিছু দিকনির্দেশনা নিম্নে দেওয়া হলোঃ
১) শেয়ার ব্যবসা শুরু করার কোন নির্দিষ্ট বয়স নেই। ছেলে, বুড়ো, ছাত্র-ছাত্রী, গৃহিনী সকলেই বিনিয়োগ করতে পারেন।
২) আত্মবিশ্বাস জন্মানোর জন্য কম ঝুঁকিপূর্ণ ও ভালো মৌলিক ভিত্তি আছে এমন ধরনের কোম্পানির শেয়ার বাজারে বিয়ারিশ থাকা অবস্থায় প্রথমে অল্প টাকা দিয়ে বিনিয়োগ শুরু করা উচিত।
৩) উঠতি কোম্পানিতে বিনিয়োগ করার জন্য চেষ্টা করবেন। যে সকল কোম্পানির পণ্য বা সেবা ভালো বাজার পেয়েছে, যাদের বিক্রয়, মুনাফা, শেয়ার প্রতি আয় প্রতি বছর অধিক হারে বাড়ছে তাদের উঠতি কোম্পানি বলা হয়।
৪) নতুন বিনিয়োগ শুরু করার আগে কেউ চাইলে শুধু কাগজে-কলমে (Mock) ৩-৪ মাস কোনো একটি শেয়ার ক্রয়-বিক্রয় করে নিজের সিদ্ধান্তে বিনিয়োগ ফলাফল তৈরী করে আত্মবিশ্বাস বাড়াতে পারেন।
৫) অনেক ভালো শেয়ার অনেক সময় নানা কারণে বিনিয়োগকারীর দৃষ্টির বাইরে চলে যায়। এসকল শেয়ার সময়মতো ক্রয় করলে বেশি লাভবান হওয়া যায়।
৬) বিনিয়োগকারীর যখন ক্রয় বা বিক্রয়ের জন্য দৌড়াদৌড়ি করে, বাছ-বিচার না করে ঐ দৌড়ে সামিল না হওয়াই ভালো। বিনিয়োগ উদ্দেশ্য, ঝুঁকি নেওয়ার পরিমাণ, ঝুঁকি নেওয়ার যথার্থতা, লাভালাভের সম্ভাবনা ইত্যাদি বিবেচনা করে সিন্ধান্ত নিতে পারলে লাভ বেশি হবে।
৭) যারা অল্প টাকা দিয়ে বিনিয়োগ শুরু করবেন তাদের উচিত ডিভিডেন্ড চেক ব্যাংকে জমা হওয়ার পর সমপরিমাণ টাকা ব্রোকার ফার্মে বিনিয়োগ হিসাবে জমা রাখা। এতে সঞ্চয় ও বিনিয়োগ উভয়ই বৃদ্ধি পাবে এবং বিনিয়োগ বৃদ্ধির হার এর হিসাব রাখা সহজ হবে।
৮) শেয়ার সিলেকশনে ভুল হতে পারে। যদি কোনো সময় তা হয়ে থাকে, তাহলে ভুল বিনিয়োগগুলো চিহ্নিত করে লোকসান হলেও যত দ্রুত সম্ভব বিক্রয় করে তার থেকে বেরিয়ে আসা উচিত। প্রাপ্ত অর্থ অন্য ভালো শেয়ারে সঠিক সময়ে বিনিয়োগ করলে পূর্বের লোকসান উঠিয়ে লাভ করা যাবে। আগের ভুল বিনিয়োগ নিয়ে বসে থাকলে লোকসানের পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে।
৯) ভবিষ্যতেক শেয়ারের মূল্য কত হতে পারে তা নির্ভর করে ভবিষ্যতে কোম্পানির আয় কি হবে তার উপর। ভবিষ্যতে আয় নির্ণয় করা বেশি কঠিন কাজ। কোম্পানি সম্বন্ধে খোঁজখবর রাখতে পারলে ভালো বিনিয়োগ সিদ্ধান্ত নেওয়া সহজ হবে।
১০) শেয়ার ব্যবসার সফলতা নির্ভর করে নিম্নলিখিত তিনটি প্রশ্নের সঠিক উত্তর এর উপরঃ
ক) কোন কোন শেয়ারে বিনিয়োগ করবেন।
খ) কখন বাজারে ঢুকবেন (অর্থাৎ কোন শেয়ার কি দামে ক্রয় করবেন)।
গ) কখন বের হয়ে যাবেন (অর্থাৎ কোন শেয়ার কি দামে বিক্রয় করবেন)।
১১) কোম্পানির লাভ লোকসান অবশ্যই দেখার প্রয়োজন। তার থেকে অধিক গুরুত্বপূর্ণ হলো Cash Flow (কার টাকায় কোম্পানি চলে)। বলা হয়ে থাকে Cash is the King. যে সব কোম্পানির Operating Cash Flow (অর্থ প্রবাহ) ক্রমাগত Negative, সে সব কোম্পানি বিনিয়োগের জন্য ভালো নয়।
১২) ভালোবেসে কোন শেয়ার অন্ধভাবে ধরে রাখা উচিত নয়। বিনিয়োগের উদ্দেশ্য হলো লাভ করা। আপনার আশাতীত লাভ হলেই বিক্রয় করে লাভ নিয়ে নেবেন। আবার সময়মতো সঠিক দামে একই শেয়ার বা অন্য শেয়ার কিনে নিন। মনে রাখবেন শেয়ারের দাম একাধারে বাড়েও না আবার একাধারে কমেও না। উঠানামা করা শেয়ার বাজারের ধর্ম।
১৩) খারাপ শেয়ার ভুল করে বেশি দামে কিনে থাকলে পরে ঐ শেয়ারের দাম কমে গেলে আরো কিনে গড় ক্রয় মূল্যে কমানো (Averaged Down) ঠিক নয়। এতে লোকসান আরো বাড়তে পারে। ভালো শেয়ারের ক্ষেত্রে এই সূত্র করাতে পারলে লাভ বেশি হতে পারে।
১৪) বিনিয়োগ সিদ্ধান্ত ভুল হলে দাম বাড়বে এই আশায় বসে না থেকে বিক্রয় করে বেরিয়ে যাওয়া ভালো। না হলে লোকসান আরও বাড়তে পারে। লোকসানে বিক্রয়কৃত অর্থ অন্য শেয়ারে বিনিয়োগ করে পুরো লোকসান উঠিয়ে লাভও করতে পারেন।
১৫) প্রত্যেক বিনিয়োগকারীর পোর্টফোলিওতে একাধিক সেক্টরের ভালো শেয়ার, মিউচুয়াল ফান্ড ও বন্ড থাকা ঝুঁকির দিক থেকে নিরাপদ এবং লাভের দিক থেকে ভালো। সেক্টর বলতে ব্যাংক, বীমা, ঔষধ, টেলিকম কোম্পানি ইত্যাদিকে বোঝায়।
১৬) যে সকল কোম্পানিতে উর্ধ্বতন কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিনিয়োগ আছে সে সব কোম্পানির শেয়ারে বিনিয়োগ ভালো ফলাফল দেওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
১৭) চেষ্টা করবেন নতুন ভালো কোম্পানি খুঁজে বিনিয়োগ করতে। অন্যরা কোম্পানিটি ভালো জানার আগে যে বিনিয়োগ করবে সেই লাভবান হবে।
১৮) কোনো কোম্পানির শেয়ারে বিনিয়োগের গৌরব বা গোয়ার্তুমি করে কোন শেয়ার ধরে না রেখে লাভালাভ বিবেচনা করে ক্রয়-বিক্রয়ের সিদ্ধান্ত নিলে লাভ বেশি হয়।
১৯) কোনো শেয়ারের দৈনিক ক্রয়-বিক্রয়ের পরিমাণের বার (Bar) এবং মূল্যের রেখাচিত্র তৈরী করে এবং তা দেখে ক্রয়-বিক্রয়ের সিদ্ধান্ত নিতে পারলে সঠিক সময়ে ক্রয় এবং সঠিক সময়ে বিক্রয় করা সহজ হতে পারে।
২০) যে সকল কোম্পানির পণ্য দেশি ও বিদেশী বাজার পেয়েছে, যে সকল কোম্পানি নতুন নতুন পণ্য আনতে থাকে সে সব কোম্পানিতে বিনিয়োগ করা লাভজনক।
২১) বাজার যখন উর্ধ্বমুখী থাকে তখস অনেক খারাপ কোম্পানির শেয়ারের দামও বেড়ে যায়। এই ধরনের দাম বাড়াকে সহানুভূতিমূলক (Sympathetic Rise) বাড়া বলে। এই ধরনের শেয়ারে দীর্ধমেয়াদি বিনিয়োগ থেকে দূরে থাকা উচিত।
২২) যে কোম্পানির মূলধন এবং দায়দেনার পরিমাণ কম সেই সব কোম্পানির আর্থিক কাঠামো শক্ত। আর্থিক স্বাস্থ ভালো এই ধরনের কোম্পানির শেয়ারে বিনিয়োগ সাধারণত ভালো হয়। কোম্পানির নিজের টাকা ও লোন এর টাকার অনুপাতকে Debt Equity Ratio বলে।
২৩) ব্যতিক্রমি শেয়ারে বিনিয়োগ করতে চেষ্টা করবেন। বাজার যখন খারাপ থাকে তখনও কিছু কিছু কোম্পানির শেয়ার মাথা উঁচু করে স্থির থাকে। বাজার ক্রমাগত বিয়ারিশ থাকা স্বত্ত্বেও যে সকল কোম্পানির শেয়ারের দাম কমেনি বা কম হারে কমেছে সে সকল কোম্পানির শেয়ারে বিনিয়োগ ভালো।
২৪) Come to market before it is heated অর্থাৎ বাজার পুরোপুরি বুলিশ হওয়ার পূর্বে বাজারে আসলে লাভের সম্ভাবনা বেশি থাকে।
২৫) ‘বোকারা সর্ব্বোচ্চ দামে বিক্রয় করার জন্য শেয়ার ধরে রাখে’ –বলেছেন আমেরিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট জন. এফ. কেনেডির পিতা জো. কেনেডি। উল্লেখ্য যে, জো ছিলেন ওয়াল স্ট্রিট এর একজন খ্যাতনামা শেয়ার ব্যবসায়ী।
২৬) শেয়ারে বেচাকেনার পূর্বে চাহিদা ও সরবরাহ দেখে নিতে চেষ্টা করা উচিত। চাহিদা ও সরবরাহ সূত্র মতে যে আইপিও যত বেশি Over Subscribed হবে সে শেয়ারের Opening Trade Price বেশি হবে। যে দিন বোনাস বা রাইট শেয়ার ক্রেডিট হবে সে দিন দাম কমে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।
২৭) ভালো কোম্পানির কোন শেয়ার বেশি মূল্যে ক্রয় করলে পরে দাম কমে গেলে ভয়ে আতঙ্কগ্রস্থ হওয়া উচিত নয়। যতক্ষণ পর্য়ন্ত বিক্রয় না করছেন ততক্ষণ পর্য়ন্ত লোকসান হবে না। শুধু শুধু আতঙ্কগ্রস্থ হবেন না। ভালো কোম্পানির শেয়ার হলে দর আবার বাড়বেই। আর বিনিয়োগ যদি দীর্ঘমেয়াদি হয়, তবে কম দামে লোকসানে বিক্রি না করে অপেক্ষা করলে পরবর্তীতে ডিভিডেন্ড, রাইট শেয়ার ইত্যাদির দ্বারা ভাল লাভ পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
২৮) যখনই কোনো শেয়ার কিনবেন তখনই ঠিক করার চেষ্টা করবেন কত দাম হলে বিক্রি করবেন বা রেখে দিবেন, না কি পুনঃমূল্যায়ন করবেন। একজন বিনিয়োগকারী হিসাবে কতটুকু বিনিয়োগ ঝুঁকি নিতে নিতে পারবেন? সবাই একই ধরনের ঝুঁকি নিতে পারে না এটাই সাধারণ নিয়ম। বয়স, সঞ্চয়ের পরিমাণ, মাসিক আয়, শারীরিক সুস্থতা ইত্যাদি বিবেচনা করে ঝুঁকি নেওয়ার ধরণ পরিবর্তিত হয়।
২৯) সকল ধরনের বিনিয়োগে ঝুঁকি আছে। নিম্নে উল্লিখিত নিয়ম মেনে পোর্টফোলিও সাজালে ঝুঁকির পরিমাণ কমানো সম্ভবঃ
ক) কিছু বিনিয়োগ থাকবে যেখানে বিনিয়োগকৃত অর্থ ফেরত পাওয়ার নিশ্চয়তা থাকবে।
খ) কিছু বিনিয়োগ থাকবে যেটি উচ্চহারে ডিভিডেন্ড দিবে।
গ) কিছু বিনিয়োগ থাকবে যা বোনাস, রাইট ও মূল্য বৃদ্ধির মাধ্যমে লাভ যোগাবে।
ঘ) কিছু বিনিয়োগ থাকবে যেটা মুদ্রাস্ফীতিতে ক্ষতিগ্রস্থ হবে না।
ঙ) কিছু বিনিয়োগ থাকবে যাতে অল্প সময়ে দাম বাড়ার সম্ভাবনা থাকবে।
৩০) ভালো শেয়ার কিনবেন, দাম বাড়ার জন্য অপেক্ষা করবেন, দাম বাড়লে বিক্রয় করে দিবেন, এটি সফলতার গোপন তথ্য। যে সকল শেয়ারের দাম বাড়েও না বা কমেও না, বিক্রি করতে চাইলে ক্রেতা পাওয়া যায় না, এ ধরনের শেয়ার ক্রয় না করা উচিত। কমিশনের হার কম দেখে ব্রোকার নির্ণয় করলে এবং সেই ব্রোকার অর্ডার খারাপভাবে সম্পাদন (বেশি দামে কেনা, কম দামে বেচা, সময়মতো ক্রয়-বিক্রয় করতে না পারা ইত্যাদি) করলে লাভ থেকে ক্ষতির সম্ভাবনাই বেশি হতে পারে।
শেয়ার বাজার বিষয়ক কিছু সাধারণ জিজ্ঞাসা ও তার উত্তর (প্রথম অংশ)