তথ্যগুলো সাজিয়ে গল্প তৈরি করুন ঃ
আমরা গল্পকে সহজে মনে রাখতে পারি ।কিন্তু খন্ড খন্ড তথ্য কিংবা লাইন মনে রাখা কঠিন হয়ে পড়ে।তাই কোন বিষয়ের তথ্যকে গল্প আকারে সাজিয়ে নেন ।এরপর আপনি একটি চমৎকার ধারাবাহিকতা পেয়ে যাবেন ।
আবৃত্তি করে পড়ুন ঃ
তথ্যগুলোকে ধারাবাহিক সাজে গল্প তৈরি করার পর সেটিকে আবৃত্তির মাধ্যমে অভিনয় করে পড়ুন ।এরপরে পুরো গল্পটি আপনার স্মৃতিতে ধরে রাখতে সুবিধা হয়ে যাবে ।একই সাথে আপনি সেটা আনন্দের সাথে মনে রাখতে পারবেন।এক্ষেত্রে কারো সামনে আবৃত্তি করতে পারেন। আবৃত্তির পর অবশ্যই তথ্যগুলো বিশ্লেষণ করুন।
নেমোনিক ঃ
নেমোনিক হলো পরিচিত শব্দের সাথে মিল রেখে কোন শব্দ মনে রাখা ।এটি ভোকাবুলারি মনে রাখার ক্ষেত্রে সবচেয়ে কার্যকরি ভূমিকা রাখে।কারন ভোকাবুলারি পড়ার সময় নতুন এবং জটিল শব্দ আসে ।ফলে পূর্বের পড়া কোন শব্দের সাথে মিলিয়ে নিলে শব্দটি সহজ হয়ে যায়।
ছন্দ তৈরি করুন ঃ
কয়েকটি নাম একসাথে মনে রাখতে এ পদ্ধতি অনেক কার্যকরি। নামগুলোকে একসাথে সহজ ছন্দে বেঁধে পেলেন, তারপর তাল শব্দগুলো মনে রাখুন এরফলে শব্দের ছন্দগুলো আপনাকে ঐতথ্যগুলোর কথা মনে করিয়ে দিবে ।তাছড়া এইটি পড়া মনযোগ ধরে রাখতেও সাহায্য করে ।এবং আপনি গানের সুরে কথা বসিয়ে মনে রাখতে পারেন ।
রেকর্ডিং ঃ
কোন তথ্য শুনলে আমরা সহজে মনে রাখতে পারি।গল্প বানিয়ে আবৃত্তি করে কিংবা ছন্দবদ্ধ কবিতাকে সুরে সুরে পড়ে সেগুলো রেকর্ড করে রাখতে পারেন।এরপর আপনি যেকোন সময় রেকর্ডগুলো শুনতে পারবেন।চমৎকার কন্ঠে রেকর্ড করে রাখুন এরফলে আপনি রেকর্ড শুনতে বিরক্ত অনুভব করবেন না ।
চিএকল্প কল্পনা করুন ঃ
পড়ার সময় কিংবা তথ্যগুলো শুনার সময় একটি চিএকল্প চিন্তা করুন ।এক্ষেত্রে নিজের কল্পনা শক্তিকে কাজে লাগান। পাশাপাশি সে বিষয়ের উপর ইন্টারনেট স্থির ছবি খুঁজতে পারেন।এটি আপনাকে চিএকল্প তৈরি করতে সাহায্য করবে। আপনার আশেপাশে থাকা যেকোন বস্তু দিয়ে একটি ইমেজ তৈরি করে পড়ার বিষয়ের সাথে সংযুক্ত করে দিন ।
স্টিকি নোট ঃ
বড় বড় তথ্যকে আমরা সহজে ভুলে যাই ।এই ধরনের বিষয় মনে রাখতে স্টিকি নোট পদ্ধতি অনুসরণ করুন ।এর জন্য তথ্যগত মন নির্বাচন করুন।তারপর সে গঠনা থেকে কিছু কিওয়ার্ড বের করুন , এবং সেই কিওয়ার্ডগুলো ছোট কাগজে লেখে ঘরের ভেতর চোখের নাগালে কোন স্থানে লাগিয়ে রাখুন । এরফলে গুলো আলাদা করে মনে থাকবে এবং সেইগুলো গঠনা কিংবা তথ্যের মন নির্দেশ করবে ।যার কারনে পুরো গঠনা আপনার মনে পড়বে ।
মেথড অফ লোকি ঃ
কোন তথ্যকে সহজে মনে রাখতে এ পদ্ধতি খুব কার্যকরি ভূমিকা রাখে ।এই পদ্ধতি অনুসরণ কোন কিছুকে খুব ভালো করে পর্যবেক্ষন করুন ।বিষয়টি পুরো বিস্তারিত মনে রাখুন, সেটির প্রতিটি ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বিষয়ের সাথে মন সংযুক্ত করুন, তারপর চোখ বন্ধ করে সেগুলোকে পুনরায় ভাবতে থাকুন।
পুনরাবৃত্তি ঃ
আমরা আমাদের পড়ার বিষয়ের মধ্যে মাএ ১০%-২৫% মনে রাখতে পারি। বার বার একটি বিষয় পড়লে আমাদের স্মৃতিতে পনরাবৃত্তি গঠে ।যার ফলে সে সম্পর্কে পুরো ধারনা স্পর্শ হয় ।