থানচি সদর থেকে পূর্ব দক্ষিণে অবস্থিত নাফাখুম, বছরে হাজার হাজার ভ্রমণ পিপাসু ভ্রমণ করতে যান নাফাখুমে। নাফাখুম ভ্রমণের জন্য প্রয়োজন ভোটার আইডি কার্ড/স্টুডেন্ট কার্ড/জন্ম সনদের ফটোকপি এবং নিবন্ধন কৃত পর্যটক গাইড।
কিভাবে যাবেন নাফাখুম ঃ-
থানচি সদর থেকে সাঙ্গু নদীতে ইঞ্জিন চালিত নৌকায় যেতে যেতে দেখতে পাবেন কয়েটি মারমা সম্প্রদায়ের পাড়া যেমন, ছান্দাক পাড়া, জিনিঅং পাড়া, নারিকেল পাড়া, ছোট ইয়াংরি, বড় ইয়াংরি, তিন্দু ইত্যাদি। প্রায় ৩-৪ ঘন্টা ইঞ্জিন চালিত নৌকায় অতিক্রম করে পৌঁছবেন রেমাক্রীতে, রাত কাটানোর জন্য রয়েছে কয়েকটি গেষ্ট হাউজ। রাতটি কোন রকম কাটিয়ে যাওয়া শুরু হবে নাফাখুমের উদ্দ্যেশে, রেমাক্রী নদীতে পায়ে হেটে যেতে হবে নাফাখুম যেতে যেতে দেখতে পাবেন অপরুপ সুন্দর্যের প্রাকৃতিক দৃশ্য, প্রায় ২-৩ ঘন্টা হাটার পর পৌঁছবেন নাফাখুম।
নাফাখুমের ইতিহাস ঃ-
মারমা ভাষায় ‘‘খুম’’ শব্দের অর্থ হচ্ছে ঝর্ণা বা জলপ্রপাত কিংবা জলপতন। এখানে মূলত ‘‘খুম’’ বলতে ঝর্ণাকেই বুঝাই। রেমাক্রী নদী এখানে এসে হঠাৎ উপর থেকে নিচে পতিত হয়ে একটি খুম বা ঝর্ণা সৃষ্টি করেছে যার দৈর্ঘ্য প্রায় ২৫-৩০ ফুট । এই নদীতে এক প্রকার মাছ পাওয়া যায় যার নাম নাফা মাছ। মাছ গুলো স্রোতের বিপরীত দিকে চলার চেষ্টা করে, মাছ গুলো নাফাখুম ঝর্ণায় এসে লাফ দিয়ে যেতে চায় কিন্তু অসহায় মাছ ২৫-৩০ ফুট ঝর্ণাটি লাফ দিয়ে পার হতে পারে না মাছ গুলো। মাছ গুলো যখন লাফ দেয় তখন স্থানীয় উপজাতীরা জাল বা কাপড় দিয়ে মাছ গুলো ধরে ফেলে, এই থেকেই ঝর্ণাটির নাম হল নাফাখুম।
আমিয়াখুম ঃ…………………………….আসছে পাহাড়ী কন্যা থানচি ৩