বন্ধু
হৃদয়ের সাথে হৃদয়ের যে সম্পর্কের সেই সম্পর্কই হলো বন্ধুত্ব। জীবনের সবচেয়ে গোপন না বলা কথা গুলো বলতে পারেন এই বন্ধু কে। যা আপনার পরিববারকে না জানাতে পারেন, সে বিষয়ে আপনার বন্ধুকে অভিহিত করতে পারেন। এই বন্ধু আছে বলেই জীবন এত মধুময়।
হাসি ঠাট্টা গানে সময় গুলো কাটাতে পারেন খুব ভালো। তবে সব বন্ধু আপনার সবসময়ের বন্ধু না, কিছু বন্ধু আছে আপনি যাদের কাছে শুধু প্রয়োজন, আবার কিছু বন্ধু আছে যাদের কাছে আপনি প্রিয়জন। প্রিয়জন আর প্রয়োজনের এই তফাৎকে আপনি বুঝে নিতে পারেন। কখনো কখনো কোনো ছোট বিষয়ে সাহায্য চাইতে পারেন, এই সাহায্যের সময় মনোভাবই আপনাকে বুঝিয়ে দেবে আপনি তার কাছ থেকে কি আশা করতে পারেন। এই ছোট জিনিস গুলোই একসময় বড় হয়ে দেখা দেয়, এই ছোট ছোট চাওয়ার মাধ্যমেই গড়ে উঠে খুব ভালো কিছু সম্পর্ক, আবার ভেঙ্গেও যেতে পারে।
জীবনের চলার পথে অন্তত তিনটা ভালো বন্ধু রাখুন, যারা আপনার জীবনকে তিনদিক দিয়ে ঘিরে রাখবে, আপনার যে কোনো সমস্যায় এই তিনজনের হাতের ছোয়াঁয় যাতে সমাধান হয়। খুব বেশী বন্ধুর প্রয়োজন হয় না জীবনে, সবার সাথে যাষ্ট হেসে খেলে সময় কাটান, চিনে নিন সময় থাকতে যে, কে আপনার উপকারে আসতে পারে, আর কে আপনাকে মাঝ পথে ছেড়ে যেতে পারে।
জীবনের সব কিছু যাকে বলা যায়, জীবনের সব গানের সুর যে গাইতে জানে তাকেই আপন করে নেন, আপনাকেও আপনার বন্ধুত্বের পরিচয় দিতে হবে। আপনি যখন কাউকে কোনো ছোট বিষয়ে সাহায্যে করবেন, দেখবেন আপনার বড় যেকোনো বিষয়ে সে এগিয়ে আসবে। এ ভাবে সাইকোলজি বিশ্লেষন করে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। নিজের প্রয়োজনের সাথে বন্ধুর প্রয়োজনটাও দেখতে হবে, তাহলে আরো কয়েকজন বন্ধু আপনার প্রয়োজনটা দেখবে।
রাত বিরাতে কোনো সমস্যা হলে আপনি আপনার বন্ধুটাকেই পাশে পাবেন, আর কাউকে নয়, সবাই সবাইকে নিয়ে ব্যস্ত থাকবে, কিন্তু আপনার বন্ধুটা হয়তো আপনার একটা ডাকের আশায় থাকবে,যে কোনো সময় তাতে সাড়া দিবে।
বন্ধুত্বের সম্পর্কে কখনো কালিমা ফেলবেন না, নিজের স্বার্থহানি করে হলেও রক্ষা করতে চেষ্টা করুন কিছু সম্পর্ক, এতে আপনি হয়তো যে কোনো বড় রকমের কিছু হতে বেঁচে যেতে পারেন। মনে রাখবেন যে বন্ধু শত্রু হয়, সেই শত্রুটা সবচেয়ে বেশী ভয়ংকর। অতএব বন্ধুত্বকে টিকিয়ে রাখুন।