তো আমাদের প্রিয় বিজ্ঞানভাবাপন্ন বন্ধুরা , কেমন আছো তোমরা , ধরি নিই তোমরা ভালো আছ , এই বিস্ময়কর জগতে , নানা বিষয় সম্পরকে জানছো আর জানাচ্ছো , আমাদের এই বিজ্ঞান প্রিয় ,জিজ্ঞাসু বন্ধুদের জন্য আজকে আমরা নিয়ে এসেছি , সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বিস্ময় “ ব্ল্যাকহোল” নিয়ে । সো বকবকানি একপাশে রেখে শুরু করি আজকের বিষয়
ব্ল্যাকহোল
আমাদের মনে প্রথম যে প্রশ্নটা জানার ইচ্ছা জাগে তা হল , “ব্ল্যাকহোল কি ??”
সোজা কথায় , ব্ল্যাকহোল হল মূলত মহাজাগতিক বিশ্বে অবস্থিত এমন এক জায়গা বা বস্তু , যার আওয়তন ক্ষুদ্র, আর ঘনত্ব বেশি , আর ঘন্ত্ব বেশি হওয়ায় ভরও বেশি , এর আকরষণ ক্ষমতা এত বেশি যে এর ভেতর থেকে কোনো বস্তুকেই বের হতে দেয় না, এমনকি তড়িতচৌম্বকীয় বিকিরণ ও বের হতে দেয় না , যেমন : আলো । প্রকৃতপক্ষে এর মহাজাগতিক বলের মান এতই বেড়ে যায় য এটি মহাবিশ্বের অন্য যেকোন বলকে অতিক্রম করে…
এবার ২য় প্রশ্ন যা জাগে তা হল “ব্ল্যাকহোল আছে তা কিভাবে জানলে??”
যারা আমার উপরের লেখাটি মনযোগ সহকারে পড়েছহো তাদের মনে এই প্রশ্ন টা জাগার কথা, আর যারা ভভাবছ এ কেমন আজিব প্রশন তারা আমার আগের লেখাটা ভাল করে পড়নি , অথবা পড়ড়লেও তা নিয়ে গভীর চিন্তা কর নি। আমরা বলেছিলাম ব্ল্যাকহোল হতে কোন আলো বেরিয়ে আসতে পারে না , আর আমরা জানি আলো বস্তুত আমাদের চোখের উপর এসে পড়লেই আমরা ওই বস্তুটির একটা পিবিম্ব মস্তিষ্কে দেখতে পায় । এখন ব্ল্যাকহল হতে যদি আলোই না বেরয় তাহলে বিজ্ঞানীরা নিশ্চয় দেখেনি ব্ল্যাকহোলটা । তাওহলে তারা জানল কিভাবে । হ্যা এবার আসি আসল কথায় , বিজ্ঞানীরা ও আসলে দেখেনি , কিন্তু তাদের জিজ্ঞাসু মন ত দমবার নয়, তারা বলল চোখে না দেখলে কি আসে যায় , আমরা প্রমাণ করব যে ব্ল্যাকহোল আছে , তারা করলেন কি এই অদৃশ্য ব্ল্যাকহোলকেও আমাদের সামনে দৃশ্যমান করে তুললেন ।এখন আমররা জানব কিভাবে করলেন তারা এই অসাধ্য কাজ ,
এর উপস্থিতির প্রমাণ আমরা পরোক্ষভাবে পাই। ব্লাকহোলের অস্তিতের প্রমাণ পাওয়া যায় কোন স্থানের তারা নক্ষত্রের গতি এবং দিক দেখে । মহাকাশবিদগণ ১৬ বছর ধরে আশে-পাশের তারামন্ডলীর গতি-বিধি পর্যবেক্ষণ করে গত ২০০৮ সালে প্রমাণ পেয়েছেন অতিমাত্রার ভর বিশিষ্ট একটি ব্লাকহোলের যার ভর আমাদের সূর্য থেকে ৪ মিলিয়ন গুন বেশি এবং এটি আমাদের আকাশগঙ্গার বা মিল্কিওয়ের মাঝখানে অবস্থিত। তোমরা জান ত মিল্কিওয়ে কি ? মিল্কিওয়ে হলো আমাদের গ্যালাক্সি ।
এখন আমরা জানব ব্ল্যাকহোলের আকার আকৃতি নিয়ে –
ব্ল্যাকহোল যেমন আছে অনেক বিশাল আকৃতির, আবার তেমনি আছে অনেক অনেক ক্ষুদ্র আকৃতির ব্ল্যাকহোল , সবচাইতে ক্ষুদ্র ব্ল্যাকহোল এর সাইজ হলো প্রায় পরমাণুর মত ( কত্য ছোট্ট , পিন্ডিলি চিন্তা করি দেখ ) এই ছোট ব্ল্যাকহোলের ভর ও কিন্তু বলতে গেলে এক একটা পর্বত এর সমান প্রায় ।
আরেকধরনের ব্ল্যাকহোল আছে যার নাম হলো “ “স্টেলার”
এদের ভর সূর্যের ভরের চাইতেও প্রায় ২০ গুণ বেশি ।
সবচাইতে ব্বড় ব্ল্যাকহোল গুলোকে ডাকা হয় “ “সুপারমেসিভ” ,। এ ধরনের ব্ল্যাকহোলের ভর কত বেশি ধারনা করতে পারো ? – আমাদের সূর্য এর সমান ভর বিশিষ্ট ভরের ১০ লক্ষ টি সূর্য এক সাথে হলে যত ভর হয় , একটি সুপারমেসিভ ব্ল্যাকহোলের ভরও ঠিক তত ।
আমাদের মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সির কেন্দ্রেও একটি সুপারমেসিভ ব্ল্যাকহোল আছে , আর সেই ব্ল্যাকহোল এর নাম হল “সাগিত্ত্যারিয়াস এ” (Sagittarius A ) । এর ভর হলো প্রায় ৪০ লক্ষ্য সূর্যের সমান ।
এবার আমরা দেখি ব্ল্যাকহোল সৃষ্টী হয় কিভাবে ??
স্টেলার ধরনার ব্ল্যাকহোল গুলো নিজের মাঝে নিজেই নিহিত হয়ে যায় । বা সংঘর্ষের ফলে সৃষ্ট হয় বিশাল বিষ্ফোরণের , যাকে আমরা “সুপারনোভা” বলে ডাকি ।
এবার আমরা দেখি আমাদের সূর্য কি ব্ল্যাকহোল হতে পারে ??
উওর হলো না , আমাদের সূর্য ব্ল্যাকহোল হতে পারে না । কারোন আমাদের সূর্য ব্ল্যাকহোল হওয়ার জয় যথেস্ট পরিমাণে বড় নয় ।
এবার আমরা একটু গাণীতিকাবে দেখি ব্ল্যাকহোল কিভাবে সৃষ্ট হয় —-
আময়া জানি , নক্ষত্র রাই ব্ল্যাকহোলে পরিণত হয় , নক্ষত্রগুলোর অস্বাভাবিক ভরের জন্য এদের মধ্যাকর্ষণও অনেক। কেননা আমরা জানি মধ্যাকর্ষনের সাথে ভরের একটি অনন্য সম্পর্ক রয়েছে। কারণঃ
F=Gm1m2/r^2 …………(2)
এটি নিউটনের মধ্যাকর্ষন সূত্র। এখানে G এর মান ধ্রুবক। G= 6.67428×10^-11 যা খুব ছোট। যাই হোক, যখন তুমি m1m2 তে সূর্য এবং পৃথিবীর ভর রাখবে এবং r তাদের মধ্যবর্তী দুরত্ব হলে এদের মধ্যে আকর্ষন মান হবেঃ 3.76×10^22N । যখন নক্ষত্রের বাইরের তাপমাত্রার চাপে ভেতরের মধ্যাকর্ষন বাড়তে থাকে তখন, তখন সেই বলের কারণে নক্ষত্র চুপসে যেতে শুরু করে। সব ভর একটি বিন্দুতে পতিত হতে শুরু করে। এটি ধীরে ধীরে ছোট এবং অধিক ঘনত্বে আসতে শুরু করে এবং এক সময় সমস্ত ভর একটি ছোট্ট বিন্দুতে ভিড় করে যার নাম সিঙ্গুলারিটি। সব চুপসে পড়া নক্ষত্রই কিন্তু ব্লাক হোলে পরিণত হয়না। ব্লাক হোল হবে কিনা তা নির্ভর করে তার ভরের উপর। যাই হোক, ব্লাক হোল হতে হলে নক্ষত্রকে বা বস্তুকে একটি নির্দিষ্ট ব্যাসার্ধে আসতে হবে। নিচে সমীকরণটি দেওয়া হলো যার সাহায্যে আমরা নির্ণয় করতে পারি ব্লাক হোল হতে হলে কোনো বস্তু বা নক্ষত্রের ব্যাসার্ধে আসা দরকারঃ Rs=2GM/c^2 ………………………যেখানে M বস্তু বা নক্ষত্রটির ভর। G মহাকর্ষিয় ধ্রুবক। C আলোর বেগ। এই ব্যাসার্ধ পরিমাপের সূত্রটির মান Schwarzschild radius, পদার্থবিজ্ঞানী Karl Schwarzschild এই সূত্র আবিষ্কার করেছিলেন ১৯১৬ সালে। তাঁর নাম অনুসারে এর নাম রাখা হয়।
সূত্রটির উদাহরণঃ আমাদের পৃথিবীকে যদি এই সূত্র প্রয়োগ করে ব্লাক হোলে পরিণত করতে চাই তবে এর আয়তন ৮৭সে.মি. তে আনতে হবে। আর যদি সূর্যকে ব্লাক হোলে আনতে চাই তবে এর আয়তন হতে হবে ৩কি.মি. বা ১০^৫ সে.মি
{ তাহলে আজকে যদি এই আরটিকেল পড়ে তোমরা যদি কিছু শিখতে পার । তাহলে তোমরা এই আরটিকেল টী শেয়ার করো , আর তোমাদের বন্ধুদের ও এই ব্যপারে জানতে দাও । আরও যদি কোনো প্রশ্ন থাকে তবে নিচে কমেন্ট বক্সে জানাতে ভুলবে না । আর হ্যা , নেক্সট কি নিয়ে লিখলে ভাল হয় সাজেস্ট করিও । জ্ঞান এর সাথে থাক , বেশি বেশি জ্ঞান অর্জন করো , নিজেকে সমৃদ্ধ করো। }