১। জাইলাস স্টিংগার প্লাস (Ztylus Stinger Plus ) ধরুন আপনি গাড়ি করে কিংবা কোন যানবাহনে করে কোথাও যাচ্ছেন । আর দুর্ভাগ্যবশত যদি সেই যানটি দূর্ঘটনার শিকার হয়, যেমন পানিতে পরে গেল বা সমস্ত যানটিতে আগুন লেগে গেছে, আর আপনি বের হতে গিয়ে দেখলেন সকল দর্জা জানালা লক হয়ে গেছে আর অনেক চেষ্টা করেও তা আপনি খুলতে পারছেন না । তাহলে তখন আপনি কী করবেন জীবন বাচাতে অবশ্যই আপনি কাচ ভেঙ্গে বেরোনোর চেষ্টা করবেন, তাইনা ? জাইলাস স্টিংগার প্লাস (Ztylus Stinger Plus ) এমন একটি ডিভাইস যেটি আপনাকে কার বা অন্য যে কোন বাহনের কাচ ভেংগে দ্রুত বের হয়ে আস্তে সাহায্য করবেন । এ কাজের জন্য জাইলাস স্টিংগার প্লাস (Ztylus Stinger Plus )এর চেয়ে আর কোন কিছু ভালো হতে পারে না । কারন অন্য কোন কিছু দিয়ে গারির কাজ ভাঙতে যেখানে অনেক জোরে আঘাত কতে হয়, সেখানে জাইলাস স্টিংগার প্লাস (Ztylus Stinger Plus ) এ জাস্ট একটি বাটন চাপ দিলেই অতি সহজে কাচ ভেঙ্গে যায়। সেই সাথে আপনার সিট বেল্টও যদি না খুলে তাহলে এর সাথে লাগানো ধারালো ব্লেড দিয়ে আপনি তা অতি সহজে কেটে ফেলতে পারেন । এছাড়াও জাইলাস স্টিংগার প্লাস (Ztylus Stinger Plus ) এ দুটি চার্জিং পোর্ট আছে যা দিয়ে আপনি আপনার মোবাইল ডিভাইস চার্য করতে পারবেন।
২। ইউসেফ(USAFE), এটা এমন একটি আবিষ্কার যার সাহায্যে আপনি যে কোন ডুবন্ত মানুষকে সহজে বাচাতে পারবেন, হয় সে সাঁতার যানুক আর না জানুক । হালকা এই বস্তুটিকে আপনি পানিত ফেলে রিমুটের সাহায্যে যে কোন ডুবন্ত মানুষের কাছে সাহায্যের জন্য তা পৌছে দিতে পারেন। যেটাকে আকরে ধরে ঐ মানুষটির জীবন বেচে যেতে পারে। এই ছোট ডিভাইসটিতে নিজস্ব নেভিগেশন সিস্টেম আছে যার সাহায্যে এটি বড় ঝর ও ঢেওয়ের বাধা উপেক্ষা করে নিদিষ্ট লক্ষে পৌছে যেতে পারে। ইউসেফ(USAFE) এর সিক্সটিন নর্থ স্পিড, ৪০ মিনিট চলার সক্ষমতা এবং ৩ মাইল পর্যন্ত রিমুট রেঞ্জের বৈশিষ্ঠ গুলি থাকার কারনে এটি ডুবন্ত ব্যাক্তির কাছে দ্রুত পৌছে তাকে বাচাতে পারে। এই যন্ত্রটি আবিষ্কার করেছে পর্তুগাল । তবে এটি এখনো বাজারে আসেনি। তবে অতি শিগ্রই এটি বাজারে ছাড়া হবে বলে যানা গেছে ।
৩। ইভাকিউশন ছুট (Evacuation Chute) ব্রিটিশ কোম্পানি এক্সেল টমাসের এই আবিষ্কারকে আপনি “লাইফ সেভারও” বলতে পারেন। কারন কোন বিল্ডিং – এ আগুন লেগে গেলে অথবা ভুমিকম্প হলে এই গেজেটের সাহায্যে আপনি খুব সহজে অল্প সময়ের মধ্যে বিল্ডিং থেকে নিরাপদে বের হয়ে আসতে পারবেন। এটাকে ছাদের উপর বা বারান্দায় ফিট করা হয়ে থাকে। যেন জরুরি পরিস্থিতিতে আপনি নিজেকে ধুওয়া বা আগুন থেকে বাচিয়ে অতি সহজে নিচে নেমে যেতে পারেন। এই লম্বা স্মোথ পাইপ্টি তার ও আগুন প্রতিরোধি উপাদান দিয়ে বানানো হয়েছে। এর ভেতর দিয়ে প্রতি ১ মিনিটে প্রতি ৮ জনকে সস্থ ভাবে নিচে নামিয়ে আনা যায়।
৪। রেসকিউ মি বেলুন (Rescue Me Bellun) এই ছোট ক্যাপসুল সাদৃশ্য ডিভাইসের ভিতরে জীবন রক্ষাকারি একটি অতি প্রজনীয় জিনিশ দেয়া হয়েছে। এটি তাদের জন্য যারা সমুদ্র বা অনেক লম্বা সফরে যায়। আর যারা এরকম ভ্ররমন করেন তারা মাঝে মাঝে এমন সব জায়গায় আটকা পরে যেখানে কারও সাহায্য পাওয়া মুসকিল, ও মোবাইল নেটওয়ার্কও কাজ করে না সেখানে। এরকম কঠিন পরিস্থিতিতে আপনি যখন রেসকিউ ক্যাপসুল টি খুলে দেবেন, তখন এর ভেতরে থাকা ক্যাপসুলটি আপনাআপনি ১৫০ ফুট উচ্চতায় উঠে যাবে। আর এর সাথে লাগানো থাকা চকচকে এলইডি লাইট যা অনেক দূর পর্যন্ত হেল্প সিগন্যালের আলো পৌছে দিয়ে আপনার জীবন রক্ষা করতে সাহায্য করবে। এটি একনাগারে এক সপ্তাহ পর্যন্ত কাজ করে ।
৫। স্বইয়ার এক্সট্রাকটর (Sawyer Extractor) এটা হল স্বইয়েরের এক্সট্রাকটর পাম্প সাপ বা অন্য কোন বিষাক্ত প্রানী কামরে দিলে, সেই বিষাক্ত রক্ত বের করে নেয়ার জন্য এই ডিভাইসটি ডিজাইন করা হয়েছে। এটি ব্যবহার করার জন্য আপনাকে এর সাথে থাকা বিভিন্ন আকারের কাপের মধ্যে সঠিক আকারের একটি কাপ বেছে নিতে হবে এবং এর স্ট্রিগারকে পিছনের দিকে টানতে হবে। অতঃপর শরিলের যে অংশে বিষাক্ত সাপ বা পোকা কামরিয়েছে সেখানে কাপটি বসিয়ে স্ট্রিগারে চাপ দিতে হবে। চাপ দেয়ের সাথে সাথে এটি আপনার কাটা যাইগাটি প্রচন্ড চাপে ভেকুয়াম করতে শুরু করবে যার ফলে সেই ক্ষত স্থানের বিষ রক্ত বের হয়ে আসবে। এর পর এটি খুলার জন্য আপনাকে শুধু এর স্ট্রিগারকে পিছনে টানতে হবে। স্বইয়ার কোম্পানি দাবি করে এই ডিভাইস ৬০ থেকে ৯০ সেকেন্ডে সম্পূর্ন বিষ বের করে নিয়ে আসতে পারে ।
কিন্তু আমি মনে করি কোন রিস্ক না নিয়ে শুধু ফাস্ট এইড এর জন্য ব্যবহার করবেন পরবর্তি যত শিঘ্র সম্ভব ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে চিকিৎসা নিলে ভালো হবে । ধন্যবা –!!!!!