আসসালামু আলাইকুম আপনি কি ফেসবুক মার্কেটিং করতে চাচ্ছেন যদি তাই হয়ে থাকে আজকের পোস্ট টি শুধু আপনার জন্য কথা না বাড়িয়ে চলুন শুরু করা যাক:-
👉👉আজকাল একটা জিনিস লক্ষ্য করছি:-
ফেসবুক থেকে টাকা আয় করুন লিখে গুগল সার্চ করলে প্রায় সাড়ে-পাঁচ লক্ষ রেজাল্ট পাওয়া যায়। তাদের বেশীরভাগই রেফারাল, বোনাস লিঙ্ক, এমনকি ভাইরাস ডাউনলোডের লিঙ্কও মাঝে মাঝে পাওয়া যায়।
👉👉এখন থেকেএভাবে অন্যের পোস্টে লাইকের বিনিময় টাকা আয় না করে কিভাবে সত্যিকার ভাবে টাকা আয় করা সম্ভব তা নিয়ে আজ কিছু কথা।
প্রথমে বুঝে নিন কিভাবে আসলে টাকা আসবে। প্রতিটি উপায়ের মূল সারমর্ম একটিই: সোশ্যাল মার্কেটিং। আপনি আপনার পেজ বা প্রোফাইল বা গ্রুপের মাধ্যমে অন্য কোম্পানির পণ্য বাজারজাত করে দিবেন। আপনার ফলোয়াররা যেহেতু আপনার কথা শুনে অভ্যস্ত, তাই তাদেরকে আপনি কোনও জিনিষ ভালো বললে সে ব্যাপারে একটি গুড-উইল তৈরি হবে। অনেকটা বলতে পারেন যেভাবে সেলব্রিটিরা প্রোডাক্ট এন্ডরস করে (যেমন সচীন করেছিলেন MRF Tiresকে) সেভাবে আপনিও এন্ডরস করবেন। তার মানে শুরু করার সময় আপনাকে অডিয়েন্স গড়তে হবে, মজার কোনও লেখা বা কন্টেন্ট দিয়ে ফলোয়ার বাড়াতে হবে। এর পরই আপনি তা ব্যবহার করে মার্কেটিং করতে পারবেন টাকার বিনিময়।
উদাহরণস্বরূপ:-
১। আপনি টাকার বিনিময় অন্য কোম্পানির কন্টেন্ট বা পেজ আপনার পেজ/প্রোফাইল থেকে শেয়ার করতে পারেন। আপনার শেয়ার থেকে যদি নির্দিষ্ট পরিমাণ লাইক বা পন্য বিক্রি বাড়ে তাদের তাহলে টাকা পাবেন।
২। বিভিন্ন কোম্পানি অ্যাফিলিয়েশন করার সুযোগ করে দেয়। অ্যাফিলিয়েশন করার পদ্ধতিটি এক একটি কোম্পানির এক এক রকম, তবে সাধারণত কোম্পানির ওয়েবসাইটেই সে ব্যাপারে লেখা থাকে। আপনি অ্যাফিলিয়েট হবার পর বিভিন্ন অফার চলার সময় আপনি তাদের পণ্যের কিছু লিঙ্ক পাবেন যার মাধ্যমে কেউ কিছু কিনলে বা লিঙ্কটি ভিসিট করলে আপনি অল্প কিছু পয়সা পাবেন। সাধারণত এই রেফারেল সিস্টেমটির মত ম্যালওয়্যার রেফারেল লিঙ্ক তৈরি করে অনেকে ফেসবুক অ্যাকাউন্ট হাতিয়ে নেয়, তাই অ্যামাজন বা ইবে এর মত সাইটের লিঙ্ক না হলে সেখানে অ্যাফিলিয়েশন করতে যাবেন না। সঠিক লিঙ্ক পাওয়ার পর আপনি তা নিজ পেজ, গ্রুপ ও প্রোফাইল থেকে শেয়ার করে লিঙ্কে ক্লিক পেতে পারেন যার থেকে কিছু টাকা আসবে। তবে এক লিঙ্কেই ৫০০ টাকা এমন কিছু দেখে প্রলোভিত হবেন না, এগুলো একটিও সঠিক নয় বরং ফিসিং এর অংশ।
৩। অনেক সময় সাইটের কাটতি বাড়ানোর জন্য কিছু কোম্পানি ফেসবুক ব্যবহারকারীদেরকে লিঙ্ক ছড়িয়ে দেয়ার জন্য টাকা দিয়ে থাকে। এটি পুরোপুরি ভাগ্যের ব্যাপার, তাই দেখা মাত্র এসবে জড়িয়ে যাবেন না। যদি খুব বিশ্বাসযোগ্য কেউ হয় তাহলে কাজটি করতে পারেন।
৪। বাংলাদেশে আরও একটি উপায় হচ্ছে পেজ বা গ্রুপের কভার ফটোতে অ্যাড-স্পেস বিক্রি করা। অন্যান্য সাইটে যেভাবে অ্যাড সেল হয়, এটিও তাই। অনেক মেম্বারের গ্রুপের কভার ফটোতে অনেক সময় ছোট ছোট কোম্পানি অ্যাড দিয়ে থাকে, তাই ২০-৩০,০০০ অ্যাকটিভ মেম্বারের গ্রুপ অ্যাডমিনরা এটি চেষ্টা করতে পারেন।
৫। পেজ বা গ্রুপ অ্যাডমিনরা সেটি বিক্রি করে দিতে পারেন। পেজে অনেক লাইক থাকলে মার্কেটিং এর জন্য অনেকেই সেটি কিনে নেন, গ্রুপের বেলায় ও তাই। এ কাজটি খুব ভালো নয়, তবে করা খুবই সম্ভব। এক্ষেত্রেও অ্যাডমিনরা কেনার জন্য কেউ আছে কিনা খুঁজে দেখতে পারেন। তবে খেয়াল করুন, প্রতিটি উপায়ই অস্থায়ী। কখন, কত টাকা, কিভাবে আয় হবে তার কোনও গ্যারান্টি নেই।অতএব সঠিক ফ্রি-ল্যান্সিং ছাড়া অনলাইনে আয় করার কোনও স্থায়ী উপায় নেই। আর অবশ্যই কোনও কিছু করার আগে ভালোভাবে সেটি বুঝে নিতে ভূলবেন না।
আজকে এই পর্যন্তই যদি আর্টিকেলটি ভালো লেগে থাকে আপনার মন্তব্য প্রত্যাশা করছি। ধন্যবাদ।