দেশে কোটিপতির সংখ্যা ৯৩৮৯০, বেড়েছে করোনাকালেও।বাংলাদেশ সরকার যদি কোটিপতিদের ১০০% ভাগের ২% সম্পদ বাজেয়াপ্ত করে বা দেশের আইন করে গরীব- দুঃখীদের দান করে তবে কিছুটা হলেও ধনী গরীবের বৈষম্য লাঘব হবে।বাংলাদেশে ধনী গরীবের বৈষম্য প্রকট আকারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। ধনীরা ধনী হচ্ছে গরীবরা গরীব হচ্ছে।
অতিধনীর বৃদ্ধির হারের দিক থেকে বাংলাদেশ ছিল বিশ্বে প্রথম। এখন দেখা যাচ্ছে, ধনী মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধির হারের দিক থেকেও বাংলাদেশ এগিয়ে, বিশ্বে তৃতীয়। দুটি তথ্যই যুক্তরাষ্ট্রের সম্পদ গবেষণা প্রতিষ্ঠান ওয়েলথ-এক্সের। সংস্থাটি বলছে, আগামী পাঁচ বছর বাংলাদেশে ধনী মানুষের সংখ্যা ১১ দশমিক ৪ শতাংশ হারে বাড়বে।
বাংলাদেশে অতি ধনী বা যাদের কাছে ২৫০ কোটি টাকার চেয়ে বেশি সম্পদ রয়েছে তাদের সংখ্যা এতই বেড়েছে যে, বিশ্বের উন্নত দেশগুলোকেও হার মানিয়েছে। কিন্তু দেশে এত এত কোটিপতি থাকা সত্ত্বেও নতুন নতুন শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠছে না, নতুন কর্মসংস্থান তৈরি হচ্ছে না, বেকারত্বের হার কমছে না, দরিদ্র জনগোষ্ঠীর দরিদ্রতার গ্লানি মুছছে না। ধনী-গরিবের তারতম্য কমছে না।এ দায় কার ধনীদের না গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তা অজানা।
সুইজারল্যান্ডের কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুইস ন্যাশনাল ব্যাংক (এসএনবি) ২০২০ সালের জুন মাসে যে বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, তাতে দেখা যাচ্ছে, ২০১৯ সালে সেখানকার ব্যাংকগুলোতে বাংলাদেশিদের জমা রাখা অর্থের পরিমাণ ৫ হাজার ৩৬৭ কোটি টাকা।
ঠিক কতজন বাংলাদেশি ব্যক্তি সুইস ব্যাংকে টাকা রেখেছে তা সবার অজানা।দিন দিন সুইস ব্যাংকে টাকার পরিমাণ বাড়ছে।টাকা গুলোর সঠিক ব্যবহার হচ্ছে না।
করোনা ভাইরাস চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে ধনী – গরীবের পার্থক্য।যারা ধনী তারা সঠিক চিকিৎসা পাচ্ছে টাকার জন্য, আর যারা গরীব তাদের সঠিক চিকিৎসা হচ্ছে না তাদের হাসপাতালের বেডে পরে থাকতে হয়।
দেশের আমলাদের কানাডার বেগম পাড়ায়দৌঁড় -ঝাপ বৃদ্ধি পেয়েছে। সম্পদ লোপাট সব থেকে দেশের আমলারাই করছে।
দেশটা যেন ধনীদের কাছে সম্পদ লোপাট করার কারখানা হয়েছে। দেশের ধনীদের দিয়ে গরীবের খুব উপকার হয়েছে তা জানা নেই। ধনীরা গরীবদের ব্যবহার করে সম্পদ অর্জন করে বিদেশে পাচার করছে এবং সুযোগ বুঝে দেশ থেকে চলে যাচ্ছে।
কেউ কি দেখেছেন এখন গরীব থেকে কাউকে ধনী হতে, না আপনার কেউ দেখেননি।এই অধুনা যুগে কোন গরীব পরিবার ধনী হতে পারছে না।আর যদি কেউ হয় দেখবেন সঠিক উপায়ে না সেও দূর্নীতিগ্রস্ত।গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের উচিত দেশে ধনী- গরীবের বৈষম্য দূর করা।গরীবদের মৌলিক চাহিদা পূরণ করা।সাম্য-সমতার বাংলাদেশ গড়া। যে করে হোক দেশে ধনী-গরিবের বৈষম্য রুখে দিন।
গরীরা ধুকে ধুকে মরছে ধনীদের সেবা করতে গিয়ে, বাংলাদেশের গরীব যেন ধনীদের দাসত্বের জন্য তৈরি। এই ধনী গরীবের বৈষম্য কবে লাঘব হবে, কবে আমরা মানুষ হবো, কবে আমরা সমতার পথে পা বাড়াবো তা অবিদিত ? কোটিপতিদের ২% সম্পদ জব্দ করেও হবে না এই ধনী – গরিব কে সমতায় আনা।তবুও জোর গলায় বলতেছি কোটিপতিদের ২% সম্পদ বাজেয়াপ্ত করে গরীবদের দিন কিছুটা হলেও গরীবরা সানন্দে বাঁচবে…