প্রতিটি ছবি সংগৃহীত:
শত্রুদের দলের মাঝখান থেকে মাত্র একটি অস্ত্র নিয়ে যুদ্ধ করে জয়ী হওয়া। তাদের সকল বাঙ্কার, প্লেইন, ট্যাংক গুলোকে ধংস করে দিয়ে ফিরে আসা। অগনিত ব্যাথা এবং খত গুলোকে বড় করে অনুভম না করা। এরমিক যোদ্ধা সম্পর্কে যখন কথা বলা হয়। তখন আমাদের চোখে সর্ব প্রথম “জন রেম্বোর” ছবিটি ভেসে উঠে। সিলভাস্টার স্টেলন-এর অভিনয়টা রেম্বো মুভিতে সত্যি সাহসী ছিলো কিন্তু সত্যিকার অর্থে এটি কাল্পনিক ছিল। আর বাস্তব জীবনে কেও এমনটা করার সাহস করবে না। কিন্তু কেও যদি এমনটা সাহসী হয়েও থাকে তাহলে কারা তারা। আজকে আমি তেমন কিছু সাহসী যোদ্ধাকে নিয়েই আলোচনা করবো। যাদের সামনে এই ছবির রেম্বো চিনি ছাড়া চায়ের মত।
এলভিন ইয়র্ক (Alvin York) তিনি অ্যামেরিকার সৈন্যর একজন সদস্য ছিলেন। যাকে তার দলের সাথে জার্মান মেশিনগান গুলোকে ধংস করার জন্য এবং কয়েদি দেরকে ফেরত নিয়ে আসার জন্য পাঠানো হয়েছিল। অক্টোবর ১৯১৮ সালে অ্যামেরিকান সৈন্য দলের অনেকেই তখন আহত হয়ে পড়ে ছিল। তখন এলভিন ইয়র্ক তার সঙ্গীদের ছেরে একজন মেশিনগান অপারেটরকে মারার জন্য বেরিয়ে পরলেন। এটি দেখে জার্মান সৈন্যরা তাকে চার পাশ থেকে ঘিরে ফেলে। আর তখন তিনি সেলেন্ডার না করে সাহস করে তার সাথে থাকা হ্যান্ডগান বের করে জার্মানী সৈন্যদের উপর আক্রমন করতে শুরু করেন। তখন অনেক জার্মান সৈন্যকে মেরে ফেলতে সক্ষম হলেন তিনি’ সেটি দেখে বেচে থাকা জার্মান সৈন্যরা অস্ত্র ফেলে পালিয়ে যায়। তখন তিনি ১৩০জন কয়েদিকে মুক্ত করে ফিরে আসে।
আবু আজরাইল (Abu Azrael) – এটি একটি আরবি নাম যে নামের অর্থ হচ্ছে মৃত্যুর ফেরেশতা। তিনি একজন ইরাকি রেম্বো, তিনি জনপ্রিয়তা পেয়েছেন আইএসআইএস এর বিপক্ষে যুদ্ধ করে। তিনি তার জীবনে ১৫শ এরও বেশি টেরারিষ্ট একাই মেরে ফেলেছেন। বেশিরভাগ সময় তিনি একটি রাইফেল এবং একটি রকেট লঞ্চার নিজের সঙ্গে রাখেন। এজন্য তাকে সম্পুর্নই একজন রেম্বোর মত দেখতে লাগে। উল্লেখ্য যে আইএসআইএস এর তরফ থেকেই তাকে ভয়ংকর যোদ্ধা বলে প্রচার করেছেন।
জ্যাক চার্চেল (Jack Churchill) – যিনি তার দেশের জন্য যুদ্ধ করেন তাকেই যোদ্ধা বলা হয়। এই নামেই রয়েছেন জ্যাক চার্চেল। তিন যুদ্ধের ময়দানে কেবলমাত্র একটি তলোয়ার এবং যুদ্ধ কমান্ড নিয়ে নেমে পরেন। আর আপনি এটা শুনে চমকে যাবেন যে এটা দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের ঘটানা। যখন সকলের কাছে মেশিনগান বা ভারি আগ্নেয়াস্ত্র থাকতো। তিনি পুরো ইউরোপের যুদ্ধে অংশগ্রহন করেছিলেন। ফ্রান্স থেকে নরওয়ে তারপর সেখান থেকে ইউরো সোলাভিয়া, সেখান থেকেই তলোয়ার নিয়ে তিনি তার শিকারকে আক্রমন করতেন।
ভানভাক্তা গুরুং(Bhanbhagta Gurung) – ১৯৪৫ সালে নেপালি সৈন্যদের একটি দল বার্মিজ জঙ্গলের ভিতর দিয়ে যাচ্ছিলেন। তখনি তারা জাপানি সৈন্যদের একটি বাঙ্কার দেখতে পেলেন। সেটিকে দেখে নেপালি সৈন্যরা সেখানেই থেমে যায়। তখন তিনি রেম্বোর মত করে তাদের উপর ঝাপিয়ে পরল এবং জাপানি বাঙ্কারটিকে ধংস করে জাপানিজ একজন স্নাইপার কে নিজ হাতে মেরে ফেলেন। এভাবে তিনি সকল জাপানি সৈন্যদের পরাজিত করে পালাতে বাধ্য করেন। শেষ মুহুর্তে তার যখন গুলি ফুরিয়ে গিয়েছিলও তখন তিনি পাথর মেরে কিছু সৈন্যকে হত্যা করেন।
ইউগেন্দ্র সিং জাদব (Yogendra Singh Yadav)-তিনি ১৯৯৯ সালে ভারতের কারগিল লড়াই-এ যখন পাহাড়ের উপর একটি রসি বাধার ভার পরলো তার উপর যাতে করে সেই রশির সাহায্যে অন্য সব সৈনিক পাহাড়ের উপর চরতে পারে । কিন্তু যখন মাঝ পথ পর্যন্ত তিনি পৌছালেন তখন শত্রুরা তাদের উপর আক্রমন শুরু করে এতে করে তার শরিলে ৩টি গুলি লেগে তিনি প্রচন্ড ভাবে আহত হন। তবুও তিনি পাহাড়ের কিছু উচুতে থাকা শত্রুদের একটি বাঙ্কার ধ্বংস করে এবং অন্য একটি বাঙ্কারে শুধু মাত্র একটি বরফে চড়ার কুড়াল দিয়ে হামলা করে ।