হেডিংটি পড়েই বুঝতে পারছেন এখানে আর্টিকেল লেখা সম্বন্ধে ভাষণ দেয়া হবে।আর্টিকেল কীভাবে লিখবেন তা জানার আগে আর্টিকেল আসলে কি তা জানা দরকার।নির্দিষ্ট বিষয়ের উপর তথ্যভিত্তিক গদ্য লেখা যা মূলত পত্রিকা,ম্যাগাজিন কিংবা ইদানিং ব্লগিং সাইটে পাওয়া যায় তাকেই আর্টিকেল বলে।বলতে গেলে অনেকটা প্রবন্ধের মতো।
অনেকে আর্টিকেল লিখে শখের বশে।আবার অনেকে লিখে প্রফেশনালি।যে বশেই লিখেন না কেন,একটা ভালো আর্টিকেল লেখার জন্য কিছু কৌশল আপনার জানা লাগবেই লাগবে।যেগুলো আপনাকে একজন ভালো আর্টিকেল লেখক হিসেবে গড়ে তুলবে ও দিনশেষে আপনার আর্টিকেলকে অন্যের কাছে আলাদাভাবে তুলে ধরবে-
১.রিসার্চ করুন কার্যকরভাবে
লেখালেখি শুরু করতে সর্বপ্রথম আপনার যে দক্ষতাটি কাজে লাগবে তা হলো রিসার্চ করার ক্ষমতা।না,আমি এখানে গবেষণা কেন্দ্রে বা ল্যাবে গিয়ে রিসার্চ করার কথা বলছি না।আমি যে রিসার্চের কথা বলছি তা হলো যে বিষয়ের উপর আপনি লিখবেন সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট জ্ঞান অর্জন।এক্ষেত্রে যে জিনিষটা সবচেয়ে বেশি সাহায্য করবে তা হলো “গুগল”।গুগলে সার্চ দিয়ে প্রাপ্ত তথ্যগুলো ঐ বিষয়ের উপর আপনার একটা ভালো ধারণা দিবে।
২.সংক্ষিপ্তভাবে লিখে ফেলুন আইডিয়াগুলা
গুগল বা মিডিয়ার মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্যগুলোর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো কোনো একটা নোট খাতায় সংক্ষিপ্ত আকারে লিখে ফেলুন।কারণ আর্টিকেল লেখার সময় এ আইডিয়াগুলা আপনি ব্যবহার করতে পারবেন যাতে করে আপনার আর্টিকেলটি আরো বেশি তথ্যবহুল হয়।
৩.অমনোযোগ সৃষ্টি করে এমন জিনিসপত্রকে ফেলুন সরিয়ে
লেখালেখি হলো একটা আর্ট।তাই,লেখালেখি যদি আপনি শুরু করতেই চান তাহলে একটু হলেও আপনাকে সৃজনশীল চিন্তাভাবনা করতে হবে।আর সৃজনশীল চিন্তাভাবনা করার জন্য প্রয়োজন মনোযোগী মন ও সঠিক পরিবেশ। অতএব,লেখালেখি করার সময় যেসব জিনিসপত্র আপনার মনোযোগ নষ্ট করে(মোবাইল,টিভি ইত্যাদি), তা দূরে রাখুন।একইসাথে লেখালেখি করার জন্য শান্ত একটা জায়গা নির্বাচন করুন।
৪.দৃষ্টি আকর্ষনজনিত শিরোনাম করুন নির্বাচন ও বুলেট পয়েন্ট দিয়ে শিখুন লিখতে
আর্টিকেলের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জিনিসটি হলো শিরোনাম।শিরোনামই নির্ধারণ করবে পাঠকবর্গ আপনার আর্টিকেল পড়বে কিনা। তাই শিরোনামটি এমনভাবে দিন যেন তা সবার দৃষ্টিগোচর হয়।
আরেকটি জিনিস খুবই দরকারি তা হলো বুলেট পয়েন্ট ব্যবহার করা।কারণ বুলেট পয়েন্ট আপনার আর্টিকেলটিকে আরো বেশি নির্দিষ্ট করার মাধ্যমে আপনার লেখার প্রতি পাঠকদের আগ্রহ বৃদ্ধি করবে।
৫.লেখা শেষের পর করুন সংযোজন-বিয়োজন
অনেকে লেখা শেষ করে আরেকবার পড়ে দেখার ধৈর্য হারিয়ে ফেলে।ফলে,খুটিনাটি ভুলগুলো তার আড়ালেই থেকে যায়।এক্ষেত্রে যা করতে হবে তা হলো লেখাটা পুনরায় পড়ে খুটিনাটিগুলো ঠিক করা ও লেখা সংযোজন কিংবা বিয়োজনের সাহস রাখা।
৬.সময়সীমা করুন ঠিক
লিখতে বসার আগেই ঠিক করে ফেলুন এ লেখাটা আপনি কতক্ষণে শেষ করবেন।নতুবা আপনার একঘেয়েমি লাগতে পারে। মনে হতে পারে,আরে কোন পাল্লায় পড়লাম?
৭.লেখা শেষ করে দেখান অন্যকেও
অন্যকে দেখাতে বলার কারণ হলো,অনেকসময় আমরা নিজেরা নিজেদের ভুল ধরতে পারি না।আসলে না পারায়ই স্বাভাবিক।কারণ আমাদের ভুলগুলো আমাদের চোখকেই সবার আগে ফাঁকি দেয়।তাই লেখা শেষ করে এমন মানুষজনদের দেখান যারা আপনার আপনজন ও আপনার ভালো চায়।
আর্টিকেল লেখার এ সাতটি টিপস কার কতটুকু ভালো লাগবে জানি না।তবে,যদি একটুও ভালো লেগে থাকে তবে নিচে কমেন্ট ও শেয়ার করতে ভুলবেন না। সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে শেষ করছি।