অনলাইন মার্কেটিং এর কিছু টিপস এন্ড ট্রিক্স নিয়ে আলোচনা করবো।
এখন আমরা অনেকেই অনলাইন মার্কেটিং এর উপর বেশি ঝুকে যাচ্ছি।অনলাইন মার্কেটিং বাংলাদেশে অনেক বড় একটা যায়গা দখল করে আছে।এবং ধীরে ধীরে এটার পরিধি দিনকে দিন বেড়েই চলেছে।আর অনলাইন মার্কেটিং এর জন্য প্রায় সকলেই বেছে নিচ্ছে ফেসবুককে।ফেসবুক এখন বাংলাদেশে প্রায় প্রথম অনলাইন মার্কেটিং প্লাটফর্ম।
তো আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করবো অনলাইন মার্কেটিং এর কিছু টিপস।যেগুলো দ্বারা আপনার একটু হলেও উপকার-এ আসবে।
তাহলে শুরু করা যাক।অনলাইন মার্কেটিং এ কিছু ধাপ আপনাকে মেনে চলতে হবে।যেমন-
➤ ক্রেতার সমস্ত ডিটেইলস স্প্রেডশিটে সেভ করে রাখাঃ
যারা আপনার প্রোডাক্ট প্রথমে কিনেছে তাদের নাম,ফোন নাম্বার,বাড়ির ডিটেইলস সবকিছু স্প্রেডশিটে সেভ করে রাখুন।তাহলে এটা আপনার অনেক কাজে আসবে।আপনার নতুন কোনো প্রোডাক্ট আসলে আপনি তাদের এসএমএস করে জানিয়ে দিতে পারবেন।তাহলে আপনার বিক্রিও বেড়ে যাবে।
➤ একটা লাইসেন্স করে নিনঃ
আপনার কাজকে স্বীকৃতি দেয়ার জন্য বা ভবিষ্যতে যাতে আপনার ব্যাবসা আরো বাড়াতে পারেন সেই জন্য একটা টেড লাইসেন্স তৈরি করে নিন।এতে অনেক ঝামেলা হলেও সারাজীবনের জন্য আপনার ব্যাবসা সুরক্ষিত হয়ে গেলো।
➤ একজন পার্টনার রাখুনঃ
আপনার ব্যাবসায় একজন পার্টানার রাখুন।যে আপনাকে সাহায্য করতে পারে।একজন ডেলিভারি পার্টনারই না হয় রাখুন।কারণ আপনি প্রোডাক্ট তৈরি,প্রোডাক্টের দাম নির্ধারণ,প্রোডাক্ট প্রচার সকল কাজে ব্যাস্ত থাকবেন।সে ক্ষেত্রে আপনার ডেলিভারি পার্টনার আপনার প্রোডাক্টের অর্ডার ডেলিভারি করবে।তখন আপনার কাজও কিছুটা হলেও কমে আসবে এবং আপনার পার্টনারেওও কিছু ইনকাম হবে।
➤ কতগুলো প্রোডাক্ট তৈরি হলো,কতগুলো প্রোডাক্ট সেল হলো এগুলোর হিসাব রাখা।
অবশ্যই আপনার ব্যাবসায় কতগুলো প্রোডাক্ট তৈরি হলো, কতগুলো সেল হলো কত টকা লাভ হলো, কত টাকা লোকসান হলো এসকল হিসাব রাখা খুবই জরুরি।এতে আপনার ব্যাবসা এগিয়ে যেতে সাহায্য করবে।
➤ যোগাযোগ রক্ষাঃ
আপনার প্রোডাক্ট সেল যাতে বাড়ে সেই জন্য কাস্টোমারের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করা জরুরি।আর যোগাযোগ রক্ষা করার জন্য এখন তো ফেসবুকে বিভিন্ন গ্রুপ, পেইজ এগুলো রয়েছেই।আপনি আপনারা প্রোডাক্টের জন একটি গ্রুপ খুলতে পারেন।সেখানে সবাইকে বলার সুযোগ দিবেন।সবাই তাদের প্রোডাক্ট প্রচার করবে।আর সাথে সাথে আপনিও আপনার প্রোডাক্টের প্রচার করবেন।এতে আপনারও লাভ এবং তাদেরও লাভ।
➤ মাঝে মাঝে বিভিন্ন অফার বা ডিসকাউন্ট দেয়াঃ
ক্রেতারা সবসময় চায় তাদের কিছু অফার বা ডিসকাউন্ট দেয়া হোক।তাই আপনি যদি মাসে একবার বা কোনো বিশেষ বিশেষ দিন উপলক্ষে ডিসকাউন্ট বা ওফার দেন তাহলে আপনার ক্রেতার আগ্রহটা বাড়বে।
➤ একসাথে অনেকগুলো প্রোডাক্ট তৈরি করাঃ
একসাথে অনেকগুলো প্রোডাক্ট তৈরি করবেন এতে আপনার খরচ কিছুটা কমবে।দেখবেন আপনি যখন কোনো জিনিস একটা কিনেন তখন তার দাম ঠিক নেয়।যেমন ২০০ টাকা।ঠিকেকই জিনিস যদি আপনি ৫/১০ টা একসাথে কিনেন তাহলে তার দাম ১৫০ বা ১৬০ টাকা রাখবে।ঠিক তেমন আপনি একটা প্রোডাক্ট তৈরি করতে যে টাকা খরচ হবে ১০ টা প্রোডাক্ট তৈরি করতে তার কাছাকাছি বা কমবেশি টাকা খরচ হবে।এতে আপনার লাভও হবে।
এই ছিলো আজকের বিজনেস টিপস।আশা করি এগুলো আপনার কাজে লাগবে।
ধন্যবাদ আমার আর্টিকেল পড়ার জন্য।কমেন্ট এবং শেয়ার করে আমার পাশে থাকবেন।