সবুজ বনানীর কুন্জে ভরা সবুজের নেই শেষ,
ছবির মতো গ্রাম সাজানো আমার বাংলাদেশ ।
নদীর বুকে পাল টানিয়ে নৌকা ভেসে যায়,
মাঝি ভাই উদাস মনে ভাটিয়ালী গাঁয়।
রাখাল ছেলে বাজায় বাঁশি নদীর তীরে বসি,
লাঙ্গল জোঁয়াল কাঁধে নিয়ে ক্ষেতে যায় চাষী।
শিশির ভেজা ঘাসের বনে ডাকে ঝিঁ-ঝিঁ পোকা,
কলসী কাঁখে গাঁয়ের বধূ মেঠো পথে একা।
নিশীত রাতে আকাশজূড়ে বসে তারার মেলা,
দুরাকাশে হালকা বায়ে ভাসে মেঘের ভেলা।
চাঁদনী রাতে বিলের জলে ফোঁটে কুমুদিনী,
পাকপাখালীর মধুর কূজন রাত পোহালে শূনি।
এইতো আমার বঙ্গমাতা রূপের নেইকো শেষ,
ধরা মাঝে সেরা সে যে আমার বাংলাদেশ।
মন পবনের বৈঠা হাতে চালাই জীবন তরী,
ঘাটে-ঘাটে ভিড়িয়ে তরী বাংলার রূপ হেরি।
বাংলা আমার পরম আনন্দ চরম এক অহংকার,
তোমার চরণে ঠেকাই মাথা নত শীরে বারে বারে।
বাংলা আমার ধাত্রী মাতা জীবন মরন সাথী,
বিলিয়ে দে-মা বুকের সুধা রয়েছি আঁচল পাতি।
জন্ম থেকে দেখেছি তোমার শ্যামলা রূপের ঢল,
ক্ষুধার অন্ন জোগাও তুমি তৃষ্ণা মেটাতে জল।
তটিনীর তটে ফসলের মাঠে সবুজ গালিচা পাতা,
দেশটি যেন পল্লীবধূর একটি নকশিকাঁথা।
হে মোর তীর্থ্ জন্মভূমি আমার বাংলাদেশ,
সবুজ শাড়ি অঙ্গে তোমার রূপের নেইকো শেষ।
এই বাংলায় জন্মেছি আমি ঘুরেছি সুখে দুঃখে,
মরনের পরে শয্যা রচিবো এই বাংলার বুকে।
কত অনাচার করি মোরা তোমার কোলেতে বসে,
তবুও তুমি সন্তান ভেবে ক্ষমা কর শেষে।
বাংলা আমার ধাত্রী মাতা জীবন মরন সাথী,
বিলিয়ে দে-মা বুকের সুধা রয়েছি আঁচল পাতি।
কুল-কুল রবে বহে নদী সবে অথৈ সাগর পানে,
নদীর কিনার হয় ভরপুর মাঝি মাল্লার-গানে।
জন্মেছি মাগো তোমার কোলেতে মরিতে চাহিনা আমি,
অন্তিমকালে তোমাকে ফেলে চাহিনা যেতে আমি।
মায়ার বাঁধন ছিন্ন করি চলে যাব পর পারে,
পূনর্জ্নম হয় যদি মোর আবার আসিবো ফিরে,
এই রূপসী বাংলার কোলে।