# নিয়মিত ব্যায়াম
1. ব্যায়াম হচ্ছে চাপ হ্রাস করার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি টিপস। যদিওবা নিয়মিত ব্যায়াম খানিকটা কঠিন কিন্তু শরীরের এই শারীরিক ব্যায়ামই মানসিক চাপ কমাতে অনেকটা ভূমিকা পালন করে।
2. নিয়মিত ব্যায়াম এন্ড্রোপিনস হরমোনের উন্নতি করে যা চাপ কমাতে সাহায্য করে।
3.ব্যায়াম পেশিকে সক্রিয় করে যা আপনাকে সক্রিয় রাখতে সাহায্য করবে যা আপনার চাপ কমাতে কার্যকরী হবে।
4. যারা নিয়মতি ব্যায়াম করে তারা অনেকটাই চাপ মুক্ত থাকে যা নিয়মিত ব্যায়াম না করা ব্যাক্তিরা উপভোগ করতে পারে না।
# হাসা
হাসার সময় মানসিকভাবে খারাপ থাকা অনেক কঠিন।
হাসি আপনার স্বাস্থ্য কিংবা হ্রদয়ের জন্য যেমন উপকারী তেমনি এটি আপনার চাপ কমাতে অনেক সাহায্য করবে।
হাসি আপনার মুড বা মেজাজের ইতিবাচক পরিবর্তন ঘটাতে সক্ষম যা কি না আপনার মেজাজ খারাপ থেকে মানসিক ভাবে ভালো করে দিতে পারে।
প্রফুল্ল বন্ধু বানানোর চেষ্টা করুন যাদের ঠোঁটের কোণে সবসময় হাসি থাকে। নিজে হাসুন এবং অন্যকে হাসানোর চেষ্টা করুন।
# পরিবার এবং বন্ধুবান্দবের সাথে সময় কাটানো
একটি গভেষণায় পাওয়া গিয়েছে বন্ধুবান্দব এবং বাচ্চাদের সাথে সময় কাটালে অক্সিটোসিন হরমোন নিঃসরণ হয় যা মানুষের চাপ কমাতে সাহায্য করে।
পরিবার এবং বন্ধুবান্দবের সাথে সময় কাটালে নিজের ব্যাক্তিগত দুঃখ-কষ্ট ভুলে থাকা যায় এবং চাপ মুক্ত থাকা যায়।
যখন আপনি কিছু হাড়িয়ে ফেলবেন, কিছু পাবেন না, আপনার স্বন ভেঙে যাবে ইত্যাদি সেই মুহূর্ত গুলোতে আপনি অনেক চাপের মধ্যে থাকবেন। তখন কারো কাছ থেকে সাপোর্ট আপনাকে অনেকটাই চাপমুক্ত রাখবে।
অতিরিক্ত চাপের মধ্যে থাকলে পরিবার কিংবা বন্ধুবান্দবের সাথে ঘুরতে গেলে মন অনেকটাই প্রফুল্ল হয় যা আপনার চাপ অনেকটাই কমিয়ে দেবে।
আপনি যখন চাপের মধ্যে থাকবেন তখন পরিবার এবং বন্ধুবান্দবই আপনাকে সবচাইতে বেশি বুঝবে, আপনার কষ্ট অনুভব করতে পারবে এবং আপনাকে হাসিখুশি রাখার চেষ্টা করবে।
অনেকে তাদের খারাপ সময়ে পরিবার কিংবা বন্ধুবান্দবের সাপোর্ট পায়না। সেক্ষেত্রে তাদের উচিত নিজেকে নিজের বেস্ট ফ্রেন্ড বানানোর চেষ্টা করা। যাতে খারাপ সময়ে তারা নিজেই নিজেকে সাপোর্ট দিতে পারে এবং সাপোর্ট করতে পারে।
# মেডিটেশন
মেডিটেশন মানেই নিজেকে সবকিছু থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলা। আপনি যখন গভীর মেডিটেশনের সক্ষম হবেন তখন সেটা আপনার চাপ দূরীকরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
মেডিটেশন কী শুধুই মানসিকভাবে আপনাকে ফিট রাখতে সাহায্য করবে? নাহ!
মেডিটেশন আপনাকে মানসিক ভাবে ফিট রাখার পাশাপাশি শারীরিকভাবে আপনার সারা শরীরের উন্নতি সাধণ করবে।
মেডিটেশনের এক পর্যায়ে আপনার মস্তিষ্ক গভীর একটি শান্ত মনোভাবে যাবে যা আপনার চাপ পুরোপুরি কমিয়ে দিতে সাহায্য করবে।
# সক্রিয় থাকা
আপনার যখন অগণিত কাজ থাকবে, কিছু কাজের ডেডলাইন খুবই নিকটে থাকবে, এটা করতে হবে, ওটা করতে হবে, হায় হায় কিছুই করা হচ্ছেনা ইত্যাদি পরিস্থিতি আপনাকে অনেক বেশি চাপে রাখবে। সেক্ষেত্রে এগুলোর ব্যাপারে যথেষ্ট সক্রিয় থাকতে হবে।
অগোছালো, অগণিত কাজের ক্ষেত্রে আপনি কীভাবে সক্রিয় থাকবেন?
আপনার সবগুলো কাজের তালিকা করুন একটি কাগজে লিখে। প্রত্যেকটা কাজের পাশে কোথায়, কখন এবং কীভাবে করবেন সেগুলো লিখুন।
# পরিমিত ঘুম
অনেকাংশে অপরিমিত ঘুম আপনার চাপ আরও বাড়িয়ে দিবে। অন্যদিকে পরিমিত ঘুম আপনার চাপ কমাতে সাহায্য করবে।
ঘুম আপনার মস্তিষ্ক এবং শরীরকে রিচার্জ করে। তাই এক্ষেত্রে ঘুম পরিমিত না হলে আপনি মানসিক এবং শারীরিকভাবে ফিট থাকতে পারবেন না। তাই ঘুম পরিমিত রাখার চেষ্টা করুন।
পরিমিত ঘুম আপনার মুড, এনার্জি লেভেল, কনচেন্ট্রেশান এমনকি সারা শরীরে একটি ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে যা কি-না আপনার চাপ অনেকাংশে কমিয়ে দিবে।
এছাড়াও
# নিজেকে ভালোবাসা
# পোষা প্রাণীর সাথে সময় কাটানো
# গভীর নিঃশ্বাস
# ভিজুয়্যালাইজেশন