হ্যালো বন্ধুরা কেমন আছেন আশা করি ভালো আছেন আমিও ভালো আজকে আমি আপনাদের সাথে আরও একটি গল্প বলবো , অবশ্যই পুরো গল্পটি পড়বেন।
আমার নাম আরিফ । আমরা ভাই বোন দুইজন । আমি আমার বোন আমার বাবা মা এই ৪জন একটা বাসায় থাকি । একদিন আমি বাসার চাদে বসে আছি । দেখি একটা মেয়ে হঠাৎ আমার সামনে এসেছে। মেয়েটিকে আমার খুব পছন্দ হয়েছে। মেয়েটি আমাকে বলল, আপনি কে আমি বললাম আমি এই বাসার মালিকের ছেলে । বলা মাত্রই মেয়েটি আমাকে বলল তাহলে আমি তোমার ছোট বোন ।
আমি বললাম আমি কেন আপনার ভাই হতে যাবো । মেয়েটি বলল কেননা আমি বাড়ির মালিকের মেয়ে । আমি বললাম ,আসলে একটু দুষ্টামি করলাম । আসলে আংকেল আমার বাবার বন্ধু তাই বাবার মতো দেখি । রাতে খাবার টেবিলে বসেছি কথা উঠলো বোনের বিয়ে নিয়ে বোন বড় হয়েছে। আমার বাবা বলল , শুন আমার বয়স হয়েছে তুই কিছু একটা কর। আমার পেনশান এর ৩০লক্ষ টাকা পেয়েছি তা দিয়ে কিছু একটা কর । আমি বাবাকে বললাম আচ্ছা বাবা তুমি আমাকে ৩০ লক্ষ টাকা দাও আমি একটা বিজনেস শুরু করব । বাবা বলল , তুই যেটা ভালো বুঝিস ।
আমি চাদে গেলাম দেখলাম মেয়ে টি তার সাথে আমি ভাল ভাবে পরিচিত হয়েছি। সে বলল আচ্ছা তোমার নাম্বার টা দেওয়া যাবে আসলে আমি বিদেশ থেকে এসেছিতো তাই শহর ঘুরতে তোমাকে ডাকবো । একদিন সকালে দেখি আমার ছোট বোন আমার মোবাইল নিয়ে আমার রুমে এসে বলল কে যেন ফোন করেছে দেখলাম বাড়ি ওয়ালা মেয়েটা সে ঘুরতে যাবে । বোন বলল আচ্ছা মেয়ে মানুষের ফোন তার বিনিময়ে আমাকে ১হাজার টাকা দাও আমি তাকে এক হাজার টাকা দিয়ে দিলাম । মেয়েটিকে গিয়ে একটি রেস্টূরেন্ট গেলাম খাওয়ার বিল দিলাম এবং সে সাথে ওয়েটার কে এক হাজার টাকা বখশিশ দিলাম । তাকে নিয়ে আমার অফিস ঘুরতে এলাম । আমার বন্ধুদের সাথে পরিচয় করিয়ে দিলাম । আমার এক বন্ধু মেনেজার আরেক বন্ধু একাইন্টার । আমার বিজনেস সম্পর্কে কোন আইডিয়া নেই ।
বাবাকে বলে একটা গাড়ি কিনলাম অফিসের কাজের জন্য । এদিকে আমার বোনের জন্য একটা সম্বন্ধ এসেছে তাদের আমার বোনকে পছন্দ হয়েছে । এবং বিয়ের দিন তারিখ ঠিক হয়েছে । ছেলের নিজের ব্যবসা বানিজ্য আছে। সবাই এই সম্বন্ধে খুশি ।
হঠাৎ দেখতে পাই আমার বন্ধুর ফোন এসেছে। আমি ফোনটা ধরলাম সে বলল বন্ধু আমাদের সর্বনাশ হয়ে গেছে। আমি বললাম , কি হয়েছে । সে বলে আমাদের ২০ লক্ষ টাকার অরডার তারা নিবে না । আমি মাথায় তখন আকাশ ভেঙ্গে পড়েছে মনে হয় । আমি তখন আমার সব সমস্যর কথা বললাম তিশাকে বললাম , সে জিবনে অনেক সমস্যা আসবে । আমি তখন ব্যাংক লোন পরেশোধ করার জন্য গাড়িটা বিক্রি করব বলে আমার বন্ধুকে বললাম সে বলল গাড়িটা এখন দুই লাখ টাকা বিক্রি করা যাবে । আমি বললাম ঠিক আছে ।
ঘরে আমি অনেক চুপ চাপ থাকলাম বাবা মা জিজ্ঞাস করলো আমি কিছুই বললামনা । আমার বন্ধু আবার ফোন করলো সে বলে অফিস ভাড়া দেওয়া হয় নাই আমি বললাম অফিসের সব ফার্নিচার বিক্রি করে দে। যেতে যেতে আমার সব কিছু চলে গেলো । আমি একেবারে পথের ভিখারি হয়ে গেলাম ।
রাস্তায় রাস্তায় চাকরি খুজছিলাম । একটা রেস্টূরেন্ট গেলাম আমার বন্ধু আকাশ আর তিশা বসে বসে প্রেম করছে। আমি পরে সব কথা জানলাম যে সব আমার বন্ধুর চক্র । আমি যাকে অন্ধ বিশ্বাস করেছি।
শেষে আমি একটা শফিংমলে কাজ পেলাম । কিছুক্ষন পর দেখলাম আমার বোনের সাথে যে ছেলেটার বিয়ে ঠিক হয়েছে সে ছেলেটা । পরে জানতে পারলাম সেই এটার মালিক আর ঘাড় দাক্কা দিয়ে বের করে দিয়েছে । আর আমার মাকে বলল সে বিয়ে করবেনা।
বাড়ি গেলাম দেখলাম সবাই কান্নাকাটি করছে । আমি আমার বাবার পা দরে বললাম , আমাকে মাপ করে আমি তোমার জগ্য সন্তান নই । বাবা ভেঙ্গে পড়িসনা জিবনে এরকম দাক্কা আসে তুইতো আমার পেনশান এর টাকা শেষ করেছিস । আমার সারাজিবনের কামাই ৫০ লক্ষ টাকা আছে সেটা দিয়ে আবার বিজনেস শুরুকর ।
আমি আবার বিজনেস শুরু করি । দেখলাম আমার বোনের সাথে বিয়ে ঠিক হওয়া সেই ছেলেটি আসলো চাকরির জন্য । আমাকে দেখে সে অবাক আমি তাকে চাকরি দিলাম সে বলে আমার একটা চাকরির খুব প্রয়োজন। আমি তাকে বের করে দেয় ।
রাস্তা দিয়ে আসছিলাম দেখি ওই মেয়টা অর্থ্যৎ তিশা আর আমার বন্ধু আকাশ দুইজন পুলিশের হাতে বন্ধি আমি জিজ্ঞাস করলাম কি হলো অফিসার সে বলল , এই ছেলেটি নেশা পানি বিক্রি করে তাই তাকে ধরে নিয়ে যাচ্ছি । আর মেয়েটিকে ও আমরা সন্দেহ করছি । আমি বললাম মেয়েটি আমার পরিচিত তাকে ছেড়ে দিন । সে বলে আচ্চা ঠিক আছে তবে প্রমান হলে আমরা তাকে আবার ধরে নিয়ে যাবো।
তিশা পিছন থেকে বলল , আমাকে ক্ষমা করে দাও আমার ভুল হয়েছে। আমি বললাম , তুমি যেই ভুল করেছ তার কোন ক্ষমা হয় না । তুমি আর আকাশ মিলে আমাকে ধোকা দিয়েছো এই বলে আমি সেখান থেকে চলে আসি ।
কাউকে বিশ্বাস করা সমস্যা না , কিন্তু কাউকে অন্ধ বিশ্বাস কখনো করবেন না । এই গল্পটি দ্বারা অনেক কিছু শিখার আছে।
বন্ধুরা আজকের জন্য এখানে শেষ করলাম , গল্পটি কেমন লাগলো অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন আরে বেশি বেশি করে শেয়ার করবেন ।
আল্লাহ হাফেয