সাধারণত আমরা যেই দিন বিবাহ করি সেই দিন বর যেমন ব্যস্ত থাকে কনে ও তার চেয়ে বেশি ব্যস্ততা আর ক্লান্তির মধ্য দিয়ে আসে , তাই বাসর রাতে অবশ্যই স্বামীর উচিত তার স্ত্রীর শারীরিক অবস্থার কথা জিজ্ঞাস করা সে কি স্বস্তি বোধ করছে কি না ইত্যাদি ইত্যাদি।
ভাই প্রয়োজনটা ১০ মিনিটের আর ভালবাসাটা সারা জীবনের । আমার আশ্চর্য স্থাপত্যের মধ্যে সবচেয়ে ভাল লাগে শাহজাহানের তাজমহল । কেন জানেন? সে তার স্ত্রীর জন্য তাজমহল দিছে । কেন ভাই সে যদি তার স্ত্রীর জন্য তাজমহল না দিত সে কি তার স্ত্রীকে কোনো অংশে কম পাইত? ভাই এটাই ভালবাসা । ভোগে সুখ নয় ত্যাগেই প্রকৃত সুখ । পৃথিবীর প্রকৃত মানুষ নিজের স্বার্থের কথা বাদ দিয়েই অন্যের জন্য কাজ করে যায় ।
কারণ তাদের আল্লাহ সেই মন মানসিকতা দিয়েছেন । যা আমাকে আপনাকে আল্লাহ দেন নাই । ভাই পাইলাম আর খাইলাম , এর নাম জীবন হইতে পারে না । কথাটা এজন্যই বলা অনেক ঘটনা শুনি বাঁশর রাতে স্ত্রী মারা গেছে । আর তাদের বয়স ও অল্প ছিল ১৩ থেকে ১৪ বছর । তাই সবকিছু বিবেচনায় রাখুন । আরে আপনার স্ত্রী একটা নতুন জায়গায় এসেছে সে লজ্জায় কিছু বলতেও পারবে না । আপনি তাকে বুঝতে চেষ্টা করুন ।
প্রথম রাতটা গল্প করে কাটিয়ে দেন ,তার কি ভালো লাগে , কি খারাপ লাগে তার পছন্দ-অপছন্দ ইত্যাদি ইত্যাদি। তার মাথায় হাত বুলিয়ে ঘুম পাড়িয়ে দেন। কোন শারীরিক সম্পর্কের প্রয়োজন নাই । আর নিতান্তই যদি আপনার স্ত্রীর বয়স কম হয় তবে সঠিক বয়স হওয়া পর্যন্ত শুধু এই ভালোবাসাটুকুই চালিয়ে যান।
আপনার স্ত্রী আপনার সম্পদ, সে আপনার সম্পত্তি নয় । আপনার হাত, পা, চোখ আপনার সম্পদ । টাকা-পয়সা, বাড়ী -গাড়ী, জায়গা-জমিন আপনার সম্পত্তি ।
১০ টা টাকা হারিয়ে যাওয়ার ব্যাথা আপনার হৃদয়ে লাগবো না , কিন্তু একটা হাত যদি হারিয়ে যায় সারা জীবনের ব্যথা লেগে থাকব আপনার অন্তরে । তাই যত্ন আর ভালবাসায় স্পর্শ করুন প্রতিটি সম্পদ আর সম্পত্তি ।
আমাদের উচিত যে কোন বিষয়ে ধৈর্যধারণ করা ।ধৈর্য ধারণ করা একটি মহৎ গুণ । একটি হাদিস আছে ওই ব্যক্তি শক্তিশালী যে রাগের সময় নিজেকে নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারে । এর মানে হলো রাগের সময় নিজেকে নিয়ন্ত্রণ রাখার একমাত্র ঔষুধ হল ধৈর্য ধারণ করা । অবশ্যই ধৈর্যশীলদের সাথে আল্লাহর রয়েছেন । আর যে ব্যক্তি ধৈর্যশীল সে একদিন সফল হবেই ।
…কাকতাড়ুয়া