শীতে মাথায় খুশকি হওয়া একটি সাধারণ ব্যাপার। শীত আসলেই মাথায় খুশকির প্রবণতা বৃদ্ধি পায়। বিভিন্ন কারণেই মাথায় খুশকি হয়ে থাকে। ধূলা বালি ও আদ্রতা থেকে খুশকির সৃষ্টি হয়। এছাড়াও শীতকালে মাথার স্কাল্পের মৃত কোষগুলো ঝড়ে যায় এবং পরবর্তীতে মাথায় খুশকি হয়ে থাকে। শীতে আবহাওয়া ও জলবায়ুর পরিবর্তনের কারণে বাতাসের আদ্রতা কমে যায় এবং এই কারণে শীতে মাথায় খুশকির প্রবণতা ক্রমেই বৃদ্ধি পেয়ে থাকে।
খুশকি কেন হয় জেনে নিন?
শীতে মাথার স্কাল্প মৃত হয়ে খুশকির সৃষ্টি হয়ে থাকে। খুশকি আবহাওয়া ও জলবায়ু পরিবর্তনের কারণেই হয়ে থাকে। শীত ও বর্ষা এই দুই মৌসুমে মাথায় খুশকির প্রবণতা অত্যধিক বৃদ্ধি পেয়ে থাকে। শীতের শুষ্ক মৌসুমে রাস্তায় ধুলাবালির পরিমাণ অনেক বেশী থাকে এবং এই ধূলাবালি থেকেও মাথায় খুশকির প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়ে থাকে। এছাড়াও শীতকালে মাথার স্কাল্পের ত্বক একেবারেই মৃত হয়ে যায় এবং খুশকি হয়ে থাকে। এছাড়াও বর্ষা মৌসুমেও খুশকির প্রবণতা খুবই বৃদ্ধি পায় এবং এর অন্যতম কারণ হচ্ছে মাথায় ফ্যাঙ্গাসের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। বর্ষাকালে অনেক সময় চুল ধোয়া সম্ভব হয়না এবং মাথায় ময়লা জমতে জমতে এক সময় ফ্যাঙ্গাস তৈরী হয়ে থাকে যার ফলে মাথায় খুশকি হয়।
খুশকির ক্ষতিকারক দিকগুলি সম্পর্কে জেনে নিন?
খুশকি মাথার ত্বক ও চুলের জন্য খুবই ক্ষতিকর এবং খুশকি হলে মাথার চুল অত্যধিকভাবে পড়া শুরু করে। এছাড়াও খুশকি মাথায় চুলকানি তৈরী করে থাকে এবং নখের মাধ্যমে খোঁচা লেগে ইনফেকশন হয়ে যেতে পারে। খুশকি হলে মাথার ত্বক নরম থাকে এবং খোঁচা লাগলেই ইনফেকশন হওয়ার প্রবণতা দেখা যায়। এছাড়াও আনেক সময় খুশকির সাথে সাথে মাথায় দানা দানা গোটা দেখা যায়। এছাড়াও দীর্ঘ দিনের মানসিক অবসাদ ও ক্লান্তি থেকেও খুশকি হয়ে থাকে। খুশকি মাথার চুল পাতলা করে ফেলে।
খুশকি থেকে রক্ষা পেতে করণীয়?
শীতে খুব সহজেই খুশকি থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব। এজন্য মাথার-ত্বক ও চুলের যত্ন নিতে হবে। দীর্ঘদিনের খুশকি সমস্যায় চিকিৎসকরা স্পেশাল শ্যাম্পু বা কসমেটিকস্ সাজেশন করে থাকে। এই সকল কসমেটিকস্ ফার্মেসি গেলেই কিনতে পাওয়া যায়। চিকিৎসকের পরামর্শ মতে সিলেক্ট-প্লাস সবচেয়ে কার্যকারী শ্যাম্পু যা দ্রুত খুশকি ধ্বংস করে মাথার ত্বককে রক্ষা করে। এছাড়াও আরো কয়েক ধরণের কসমেটিকস্ আছে যা আপনি ফার্মেসি গেলেই কিনতে পারবেন।
খুশকি প্রতিরোধে ঘরোয়া উপায়গুলো সম্পর্কে জেনে নিন?
ঘরোয়া উপায়েও খুব সহজেই খুশকি প্রতিরোধ করা সম্ভব। প্রথমত অবস্থায় প্রচুর পরিমাণে পানি পানে মিাথা থেকে খুশকির পরিমাণ কমে যাবে। এছাড়াও শীতকালীন যেসকল ফলমূল আছে ওগুলার রস দিয়ে জুস করে খেলে খুশকির প্রবণতা কমে আসে। এছাড়া নিমপাতা গুঁড়া ও লেবুর রসের মাধ্যমে মাথা থেকে খুশকির প্রবণতা কমিয়ে আনা যায়। শীতে মাথার ত্বকের যত্ন নিলে খুশকির প্রবণতা দেখা যায় না। এছাড়াও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিলে মাথার ত্বককে সুরক্ষিত করা যায়।
সূত্র: বাংলানিউজ২৪.কম