মাথা ব্যথা অনেকেরই নিত্য দিনের সঙ্গি। শীতকালে মাইগ্রেনের ব্যথা যেন হঠাৎ বৃদ্ধি পায়। শীতকালে অতিরিক্ত ঠান্ডা থেকে মাইগ্রেনের ব্যথা বৃদ্ধি পায়। এছাড়াও মাইগ্রেনের ব্যথা অন্যন্ত ভোগান্তিকর এবং দীর্ঘসময় ধরে মাথায় এই ব্যথা অবস্থান করে। চিকিৎসকদের মতে দুশ্চিন্তা, মাথায় অত্যধিক চাপ ও ঠান্ডা থেকে মাইগ্রেনের ব্যথা বৃদ্ধি পায়। মাইগ্রেনের ব্যথা হলে কিছু বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করলেই দ্রুত এই ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এছাড়াও দীর্ঘদিনের মাইগ্রেনের সমস্যা হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহন করতে হবে।
মাইগ্রেনের ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়ার কিছু সহজ উপায়সমূহ:
কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি অবলম্বন করলে খুব সহজেই মাইগ্রেনের ব্যথা দূর করা সম্ভব।
- আপনি যখন কাজ করবেন তখন অতিরিক্ত বা খুব কম আলোতে কাজ করবেন না। এতে আপনি মাইগ্রেনের ব্যথা থেকে সুরক্ষিত থাকবেন।
- শীতকালে শৈত্যপ্রবাহ চলাকানীন বাহিরে কম বের হবেন এবং যদি জরুরী বের হওয়া লাগে সেইক্ষেত্রে আবশ্যই গরম কাপড় পরিধান করে বের হবেন।
- মাইগ্রেনের সমস্যা থাকলে অবশ্যই উচ্চশব্দ ও কোলাহলপূর্ণ পরিবেশে থাকা যাবে না।
- মাইগ্রেনের সমস্যা থাকলে অবশ্যই বেশীক্ষণ কম্পিউটার ও টিভির সামনে থাকা যাবে না।
- আপনি যখনই খাবেন বা গোসল করবেন অবশ্যই গরম পানির ব্যবহার করবেন। গরম পানির ব্যবহারে আপনার মাইগ্রেনের ব্যথা দূর হবে।
মাইগ্রেনের ব্যথায় যেই সমস্ত খাবার খেলে সুস্থ থাকা সম্ভব:
মাথায় ঘন ঘন মাইগ্রেনের ব্যথা উঠলে অবশ্যই আপনাকে খাবারের উপর বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। চিকিৎসকরা বেশ কিছু খাবোরের বিষয়ে রোগীকে অবগত থাকতে বলে।
- যাদের মাইগ্রেন আছে তাদের ভাত ও আলুতে প্রচুর উপকার হয়ে থাকে। এছাড়াও ম্যাগনেসিয়ামযুক্ত খাবার যেমন ভাত ও বার্লিতে উপকার হয়।
- ফলের ভেতর কিছু বিশেষ ফল আছে যা মাইগ্রেনের ব্যথা নিষ্কাষণে সহায়তা করে। এর ভেতর খেজুর ও ডুমুর ফল অন্যতম।
- শাক সবজি খেলেও মাইগ্রেনের ব্যথা থেকে রক্ষা পাওা যায়। শাক সবজির ভেতর আছে সবুজ ও লাল রঙের শাকসবজি।
- মাইগ্রেনের ব্যথা নিবরনে ক্যারসিয়াম ও ভিটামিন ডি’ বিশেষ সহায়তা করে থাকে। চিকিৎসকরা ক্যালসিয়ামযুক্ত খাবার খাওয়ার উপদেশ দিয়ে থাকেন।
- প্রাকৃতিক উপায়েও মাইগ্রেনের ব্যথা কমানো সম্ভব। আদা থেকে রস বের করে খেলে মাইগ্রেনের ব্যথা থেকে অনেকটাই রেহাই পাওয়া যায়।
মাইগ্রেনের ব্যাথা যখন তীব্র ও অত্যন্ত যন্ত্রণাদায়ক। এই ব্যথা অনেকেই সহ্য করতে পারে না এবং এই ব্যথা থেকে রক্ষা পেতে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহন করতে হবে এবং ঘরোয়া পদ্ধতিতে কিছু বিষয়ে সতর্কতা ও সাবধাণতা অবলম্বন করতে হবে। এছাড়াও অনলাইন ও মোবাইল ফোনের মাধ্যমে আপনি ঘরে বসে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে পারবেন।
সূত্র: বাংলানিউজ২৪.কম