ইউটিউব নাকি পুলিশের কাজ করবে?
ইউটিউব নাকি পুলিশের কাজ করবে?
এটা শুনার পর আমার মুখ টা কিছুক্ষণ খুলে থেকে গেছিল । তারপর পুরা বিষয়টা পড়ে বুঝলাম যে , না ,ব্যাপার টা অন্যরকম ।
তাহলে পুলিশং এর ব্যাপারটা পরিস্কার করে আলোচনা করি তাই না ।
নিউজিল্যান্ড ও শ্রীলঙ্কায় দুটি বড় বড় সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে সরাসরি সম্প্রচারের কারণে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে গুলো এখন চাপের মুখে আছে ।
তাদেরকে একপ্রকার বাধ্য করা হচ্ছে । গত ১৫ মার্চ নিউজিল্যান্ডের দুটি মসজিদ হামলার ভিডিও টি নিয়ে সবচেয়ে বেশি বিতর্কিত হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুলো কে । ইউটিউব এই বিষয়ের ভিডিওগুলো ডিলেট করে দিতে ব্যর্থ হয় , তারা বলেন আমরা একেবারেই সকল ভিডিও ডিলেট করে দিই কিন্তু আবার নতুন করে আপলোড করা হয় , এখানে ইউটিউবের ব্যর্থতা স্পষ্ট হয়ে ফুটে উঠে ।
“সাময়িকী ইকোনমিস্টের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইউটিউবসহ সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে সহিংস, আপত্তিকর বিষয় ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে যেসব প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়, তাকে পুলিশিং ব্যবস্থা বলা হচ্ছে।”
শুধু ইউটিউব নয় , আরো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গুলোকেও এব্যবস্থা গ্রহন করার জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে ।
তবে প্রশ্ন হলো, এটা কি সম্ভব? বিশ্লেষকরা জানান, এটা সম্ভব । ইউটিউব এটাও জানায় , অতিরিক্ত ফিল্টারিং মুক্ত মতামত প্রকাশের ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাড়াবে । আর এর বিরুপ প্রভাব পড়বে ইউটিউবে । তাই তারা ভেবে চিন্তে “পুলিশিং ” ব্যবস্থার কথা বলেছে । তারা তো আর একদিনে এই ব্যবস্থা নিতে চাই নি , তাদের উপর চাপ প্রয়োগ করার পর তারা এই ব্যবস্থা নিতে রাজি হয় ।
এখন আমরা প্রত্যাশা করবো যে, ইউটিউব তাদের এই কাজে সফলতা অর্জন করুক ,তাহলে হয়তো সহিংসতা অনেক টাই কম হবে ।
তথ্য সুত্র ঃ প্রথম আলো –