কাঁঠালপাতা দেখলে মন যেন কেমন কেমন করে!
একদিন এক চোখের ডাক্তার চোখের অপারেশন করবেন, তাই রোগীর চোখ দুটো খুলে অপারেশন টেবিলে একটা প্লেটের ওপর রেখেছেন; এমন সময় একটা বেড়াল এসে টেবিলের ওপরের প্লেট থেকে চোখ দুটো তুলে নিয়ে জানালা দিয়ে পালিয়ে গেলো। ডাক্তার সাহেব তো পড়লেন মহাবিপদে। এখন কী করা? রোগীর চোখে এখন কী লাগাবেন? উপায় না দেখে বাইরে বেরিয়ে এসে দেখলেন একটা ছাগল দিব্যি ঘুরে বেড়াচ্ছে। তিনি অনেক কৌশল করে ছাগলটাকে ধরে নিয়ে এসে অপারেশন করে ছাগলটার চোখ দুটো খুলে রোগীকে লাগিয়ে দিলেন।
এরপর রোগীর চোখে ব্যান্ডেজ লাগিয়ে দিয়ে বললেন এক সপ্তাহ পর চোখের ব্যান্ডেজ খুলে দেবেন। এক সপ্তাহ পর রোগী আসলে তিনি ব্যান্ডেজ খুলে দিয়ে বললেন, আরও এক সপ্তাহ পর এসে দেখা করে চোখের কী অবস্থা সেকথা জানাতে। এক সপ্তাহ পর রোগী এলে তিনি জিজ্ঞেস করলেন, “চোখের কী অবস্থা? চোখের সব ঠিক আছে কিনা?” রোগী বললো, “সবই ঠিক আছে, শুধু কাঁঠাল পাতা দেখলে জানি কেন মন যেন কেমন কেমন করে”!!!
দ্রারুন! দ্রারুন!! ব্রেশ ব্রেশ!!!
একদিন এক স্কুল ইন্সপেক্টর গেছেন এক স্কুল পরিদর্শনে। ক্লাসে ঢুকে তিনি এক ছাত্রকে জিজ্ঞেস করলেন, তোমার নাম কি? ছাত্রটি তোতলাতে তোতলাতে বললো, ব্রেলাল হ্রোসেন! ইন্সপেক্টর অবাক হয়ে পাশের ছাত্রটিকে জিজ্ঞেস করলেন, তোমার নাম কি? ছাত্রটি তোতলাতে তোতলাতে বললো, ফ্ররিদ হ্রোসেন! ইন্সপেক্টর আশ্চর্য হয়ে ক্লাসের মাঝামাঝি বসে থাকা এক ছাত্রকে জিজ্ঞেস করলেন, তোমার নাম কি?
সেই ছাত্রটিও তোতলাতে তোতলাতে বললো, গ্রোলাম হ্রোসেন! ভীষণ আশ্চর্য হয়ে ইন্সপেক্টর ক্লাসের শ্রেণি শিক্ষককে বললেন, ওরা এভাবে নাম বলছে কেনো? শ্রেণি শিক্ষকও একইভাবে তোতলাতে তোতলাতে বললেন, ত্রারা ত্রো ঠ্রিক্রিই ব্রলছে! ইন্সপেক্টর চরম আশ্চর্য হয়ে শ্রেণি শিক্ষককে বললেন, আপনার নাম কি? শ্রেণি শিক্ষক আবারও তোতলাতে তোতলাতে বললেন, আম্রার ন্রাম স্রালামত হ্রোস্রেন! ইন্সপেক্টরও ততক্ষণে খানিকটা তোতলাতে শুরু করেছেন।
তিনিও খানিকটা তোতলাতে তোতলাতে জিজ্ঞেস করলেন, এই স্ক্রুলে কি স্রবাই এভাবে কথা ব্রলে? শ্রেণি শিক্ষক বললেন, জ্রি স্র্যার! স্কুলের সব ক্লাসে গিয়ে সব ছাত্রদের প্রশ্ন জিজ্ঞেস করতে করতে ইন্সপেক্টরও ততক্ষণে প্রায় পুরোপুরি সেইরকম তোতলা হয়ে গেছেন। সবশেষে স্কুলের হেডমাস্টারের কাছে গিয়ে ইন্সপেক্টর জিজ্ঞেস করলেন, স্ক্রুলের ক্রি একটা অব্রস্থা! হেডমাস্টার হেসে বললেন, ভ্রালো ল্রেগ্রেছে স্র্যার? ইন্সপেক্টর বললেন, দ্রারুন! দ্রারুন! ব্রেশ ব্রেশ!!!
আমি টুপটাপ!!!
অত্যন্ত সুন্দরী তিন বোন। কিন্তু তাদের সমস্যা ছিলো তারা “ত” উচ্চারণ করতে পারতো না। “চ” উচ্চারণ করতে পারতো না। আবার “দ” অক্ষরও উচ্চারণ করতে পারতো না। এরকম বেশ কিছু অক্ষর তারা ঠিক মতো উচ্চারণ করতে পারতো না। এজন্য তাদের বিয়ে হচ্ছিলো না। পাত্রী দেখতে যারা আসে তারা সবাই তাদের দেখে খুবই পছন্দ করে। কিন্তু যখনই তাদের কথা শোনে, তখনই সবাই পালিয়ে যায়।
তো একদিন খুব উচ্চ বংশীয় পাত্রপক্ষ এসেছে তাদের দেখতে। যেহেতু তাদের কথা শুনলে পাত্রপক্ষ পালিয়ে যায়, তাই তাদের মা পই পই করে বলে দিয়েছে, তারা যেন কোনভাবেই কথা না বলে। তারা মাথা নেড়ে জানিয়েছে যে তারা কোনভাবেই কথা বলবে না। পাত্রের মা পাত্রী অর্থাৎ বড় মেয়েটির চুল দেখে অনবরত প্রশংসা করতে শুরু করলেন, কি সুন্দর চুল! কতো লম্বা চুল!! কতো ঝলমলে চুল!!! পাত্রের মায়ের অনবরত প্রশংসা সহ্য করতে না পেরে এক পর্যায়ে পাত্রী অর্থাৎ বড় মেয়েটি মুখ ফসকে বলে ফেললো, টবু টো টুলে টেল ডিই নি! (তবু তো চুলে তেল দিই নি)।
পাত্রীর মুখের কথা শুনে তো পাত্রের মা হতভম্ব! এমন সময় পাত্রীর মেজো বোন বলে উঠলো, ও ডিডি টুই ডে টটা বললি? (ও দিদি তুই যে কথা বললি?)। একথা শুনে পাত্রের মা তো আরও হতভম্ব! এমন সময় পাত্রীর সবচেয়ে ছোটো বোন বলে উঠলো, আমি কোনো কটার মড্যে নেই, আমি টুপটাপ!!! (আমি কোনো কথার মধ্যে নেই, আমি চুপচাপ)।
সাইফুল হক : লেখক, সম্পাদক, গবেষক।