আজকাল আমরা প্রায়ই ঘুমের জন্য ঘুমের ওষুধ খাই। যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক ক্ষতিকর। এটি শুধু ক্ষতি করে নয় এক ধরনের বদ অভ্যাস। আমাদের সমস্যাটা ঘুমের। আপনি প্রাকৃতিক ভাবে ঘুমিয়ে যে সুখ লাভ করতে পারবেন, তা কখনোই মেডিসিন দিয়ে পূরণ করতে পারবেন না। এটা একেবারেই অসম্ভব। তবে এটা শুধুমাত্র সম্ভব প্রাকৃতিক ও ভেষজ ঔষধ গুণসম্পন্ন গাছের ব্যবহারের মাধ্যমে। আপনি খুব সহজেই এই ঘুম নামক এক যন্ত্রণাদায়ক অভিজ্ঞতা থেকে যদি মুক্তি লাভ করতে চান তবে অবশ্যই লেখাটি শেষ পর্যন্ত পড়বেন।
ঘুমানোর জন্য অনেকেই অনেক টিপস দিয়ে থাকেন। প্রায় সবখানেই একই রকমের টিপস। এখন আপনি হয়তো অনেকগুলো ট্রাই করেছেন কিন্তু তেমন ভাল ফল পাননি।আপনি যদি ভাল ফলাফল পেতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে ভালো ফর্মুলাটি খেয়াল করতে হবে। আজকে যে ফর্মুলাটি কথা বলব এটি খুবই সহজ ও সাধারণ। যে কোনো মানুষই এই ফর্মুলাটি ইউজ করতে পারেন। তবে এটি শতকরা 99 ভাগ জনপ্রিয়। অনেক মানুষই এটি সম্পর্কে অনেক আগেই জেনে গিয়েছেন। তবে নতুন করে যে বিষয়টি এসেছে এটি হয়তো অনেকেই জানেন না।
আপনি জানলে হয়তো আপনি এই ঘৃতকুমারী বৃক্ষটি প্রেমে পড়ে যাবেন। আমরা বাংলায় এটাকে ঘৃতকুমারী হিসেবে চিনি। “এর বৈজ্ঞানিক নাম অ্যালোভেরা”। ভেষজ ঔষধের দুনিয়ায় এটি একটি পরিচিত নাম। আপনি হয়তো হতে পারে এটি সম্পর্কে অনেক আগেই জেনেছেন। এর উপকার বর্ণনা করে শেষ করা যাবে না। বর্তমানে সাবান-শ্যাম্পু এমনকি নারিকেল তেলের ব্যবহার শুরু হয়ে গেছে।তরুণী কিংবা কুমার কুমারী এখন তাদের স্বাস্থ্য সচেতনতায় অ্যালোভেরা কে রাখেন সবার উপরে।কারণ তথ্যপ্রযুক্তির এই যুগে কোন কিছুই আর কারো অজানা নয়।
সবাই এখন ইন্টারনেট কিংবা অনলাইনের মাধ্যমে খুব সহজেই স্বাস্থ্য টিপস গুলো পেয়ে যান।মাঝে মাঝে কিছু অসাধারণ স্বাস্থ্য বিষয়ক টিপস্ আমাদেরকে ভালো কোন কিছুর সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়। হিরো কাঞ্চন কিংবা ঘৃতকুমারী ঠিক এরকমই একটি উপাদান। হিরো বলার কারণ বর্তমানে এর আকাশচুম্বী চাহিদা। এটি অনেক দামী একটি জিনিস এ পরিণত হয়েছে। আপনি জানলে আপনার চোখ কপালে উঠে যাবে, অনেকেই এখন এই ভিডিও কাঞ্চন ঔষধি বৃক্ষের আবাদ করছেন। এবং বাণিজ্যিকভাবে তারা বেশ সফল হচ্ছেন।
তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় এটি এখন বাইরের দেশে এক্সপোর্ট হচ্ছে। জিনিসটি জানার পর একদিকে যেমন গর্ববোধ হয় আবার একদিকে নিজেদেরকে এখনো অনেক কিছু সম্পর্কে জানার থেকে বিরত রেখেছি সে কথা ভাবলে কষ্ট হয়।আসুন কথা না বাড়িয়ে জেনে নেওয়া যাক কীভাবে এই ঘৃতকুমারী আপনাকে প্রশান্তিময় এক ঘুম ব্যবহার দেবেন। এটি এখন, পর্যন্ত পাওয়া তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণ!
ঘৃতকুমারী কি কি রোগের কাজ করে:
- সর্বপ্রথমেই এটি আবিষ্কৃত হয়েছিল চুল এবং ত্বকের যত্নে।
- তারপর এটিকে অনেকেই ভিটামিন হিসেবে গ্রহণ করতে দেখা গেছে।
- শারীরিক অক্ষমতা ও এ বৃক্ষটির ব্যবহার অনেক ফলদায়ক।
- স্প্যাম কি গারো করতে এর জুড়ি অপর অতুলনীয়।
- যাদের গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা তারা ঘৃতকাঞ্চন খেতে পারেন।
- যাদের চুল উঠে যাচ্ছে তারা ঘৃতকাঞ্চন ব্যবহারে সবচেয়ে বেশি সফলতা পেয়েছেন।
- ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন এর একটি বড় উৎস এই ঘৃতকাঞ্চন।
- তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করলে জানা যায় এটি ঘুমের জন্য এক জাদুকরি ঔষধ।
এর উপকার লিখে শেষ করা যাবে না। উপরে উল্লেখিত রোগগুলো ছাড়াও এটি আরো অনেকগুলো রোগের একটি মহা ঔষধ। আপনারা ইন্টারনেটে কিংবা ইউটিউবে সার্চ দিলে অনেক গুলো টিউটরিয়াল পেয়ে যাবেন। তবে ঘুমের জন্য ঘৃতকুমারী যে সবচেয়ে বেশি ফলদায়ক এটি গবেষণায় নতুন। আপনি আর কখনো ঘুমের ওষুধ খাবেন না।আপনি হয়তো জানেন না এই একটিমাত্র ঘুমের ওষুধ হয়তো আপনাকে মানসিকভাবে অনেক দুর্বল করে দিচ্ছে।
কোথায় পাবো এই ঘৃতকাঞ্চন:আপনি ইন্টারনেটে সার্চ দিলে এর অবস্থান ও বাজার সম্পর্কে খুব ভালো ধারণা পেয়ে যাবেন। তাছাড়া আপনার আশেপাশে খোঁজখবর নিলে আপনি এটি অতি সহজে পেয়ে যাবেন। খুব সহজে আপনি বাজার এও এটি পেতে পারেন। কারণ এটি এখন বাণিজ্যিক একটি পণ্য। প্রচুর চাহিদা এবং কম উৎপাদনের কারণেই এর দামটা স্বাভাবিকের চেয়ে একটু বেশি।তবে অনেকেই বাণিজ্যিকভাবে এর সফলতা পাওয়ায় এর দাম নিয়ে তেমন একটি চিন্তা করতে হয় না। এমন একটি উপকারী জিনিসের দাম একটু বেশি হবে এটাই তো স্বাভাবিক।তবে আপনি অনলাইনে সার্চ দিলে বিভিন্ন রকম হোম ডেলিভারি সার্ভিস পেয়ে যেতে পারেন। সুতরাং এটি এখন সব জায়গায় পাওয়া যায়। চাইলেই আনায়াসে এখন থেকেই এর ব্যবহার শুরু করে দিতে পারেন।
- খাওয়ার নিয়ম: অন্যান্য ভেষজ উদ্ভিদের চাইতে অ্যালোভেরা খাওয়ার টা অনেক সহজ। আপনি সহজেই এর থেকে ছাল তুলে ভেতরের অংশটা খেয়ে নিতে পারবেন। আপনি চাইলে সেটি শরবত বানিয়ে খেতে পারবেন। তবে খাওয়ার কিছু নিয়ম আমি বলে দিচ্ছি,।
- সর্বপ্রথমেই এর এর চামড়া তুলতে হবে।
- ভিতরের শ্বাস অংশটুকু কোন পাত্রে ঢেলে নিবেন। প্রয়োজনে ছুরি ব্যবহার করতে পারেন। অথবা চামচ দাঁড়াও এরাস আপনি খুব সহজে তুলে নিতে পারবেন।
- একটি পাত্র কিংবা গ্লাসে আঁশগুলো ঢেলে নিন।
- তারপরেতে একটু পানি মিশ্রিত করুন।
- আপনি যদি এর টেস্টে একটু ভিন্নতা আনতে চান তবে এর সাথে চিনি অথবা মধু মিক্স করতে পারেন।
- টেস্ট এবং 7 সেটা আপনার উপর নির্ভর করবে। আপনি চাইলেএটিকে আরো ভিন্ন মাত্রা যোগ করতে পারবেন।
- স্বাভাবিক যেমন আমরা শরবত কিংবা কোন প্রাণী ও খাই ঠিক সেভাবেই আপনি সেটি খেয়ে নিতে পারবেন।
খাওয়া শুরু কর আর কিছুদিনের মধ্যেই আপনি এই,ঘৃতকুমারীর জাদুকরী কার্যক্ষমতা সম্পর্কে অভিজ্ঞতা লাভ করবেন। এটা শুধু একটিমাত্র রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয় না আপনার অন্যান্য সমস্যা গুলো আপনা আপনি এর থেকে ভাল হয়ে যাবে। দেখা যাবে কিছুদিনের মধ্যেই আপনি ঔষধ ছেড়ে দিয়েছেন।
সারমর্ম মূলক বলতে পারি আপনি কখনোই ছোটখাটো রোগের ব্যাপারে সচেতন হবেন না।আপনার সচেতনতাই শুধু ছোট্ট একটি টিপস এর মাধ্যমে আপনি ওষুধের বিকল্প হিসেবে গাছগাছালি ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করুন। ফলাফলটা আপনি খুব ভালোভাবেই পাবেন। ফিট থাকতে তাই আর দেরি না করে ঘৃতকুমারী কিংবা অ্যালোভেরা খাওয়া শুরু করতে পারেন। এলোভেরার আরো অন্যান্য কান্ড নিয়ে অন্য কোনদিন হাজির হব অন্য কোন টিপস নিয়ে। সে পর্যন্ত ভালো থাকবেন। আর যদি এর থেকে কোন প্রকার পেয়ে থাকেন তবে কমেন্ট করে অবশ্যই জানাবেন, কারণ আপনার ছোট্ট একটি কমেন্টস আমাদেরকে নতুন নতুন আইডিয়া খুঁজে বের করতে উৎসাহিত করে। ভাল থাকুন সুস্থ থাকুন। অমিক্রণ থেকে সতর্ক থাকুন। ভ্যাকসিন নিন। পরিশেষে বলতে পারি আপনি আপনার ঘুমের ওষুধ গুলো ছুড়ে ফেলে দিন এবং ফিট থাকতে এখনই ঘৃতকুমারী ঘরে নিয়ে আসুন। আপনি সুস্থ থাকবেন পাশাপাশি আপনার পরিবার ও সুস্থ থাকবে ইনশাআল্লাহ।