সম্পর্কের শেষ পরিণতি করা খুব হিংস্র অথবা আত্মঘাতি হয়।
সে দিন দিন হিংস্র হয়ে উঠছে বরুনা। আর বারবার যেতে চাই অরুন।
সম্পর্কে শেষ না হওয়াই অরুন ভালোবেসে দেখতে। নিরেট ভালোবাসা। খাঁদহীন প্রেমের কারনেই আজ অবস্থা। আর দশটা পাচটা মানুষ যেটা করে সে আজকে শঙ্কা করে অরুণের এমন পরিণতির দিকে যেতে পারে।
রাত এখন বারোটা চল্লিশ। বন্ধ ঘরের জানালার দিকে আমাদের অরুন হোচট খেলো। জানালার কপাটে একটি হৃদয় চিহ্ন।
বরুণ ব্যাহারে দিন অরুন বছর পাচেক স্মৃতি মেলাতে পারে। মেলাতে হতে পারে সুবর্ন দিনটি হিসেব নিকেশ। বারবার অরুনের সিলিং ফ্যানটারের দিকে তাকালে দেখা যায়।
বুকটা ভারী হওয়া। আফগান জলটিও ইদানিং বিট্রে করছে। ঝপঝপ ঝরে পড়ে।
বরুনার এখন অনেক আরুন। উত্তর-দক্ষিণ, পূর্ব-পশ্চিমে বরুনার এখন পূর্নিমা।
অরুন শুধু ফ্যালফ্যাল করে আকাশের দিকে দীর্ঘ শান্তিতে। সেশ্বাসের রং হয় আরো গাঢ় নীল।
কোন বছর বরুনার সব ভালোবাসা উজাড় করে দিয়ে। সে ভালোবাসায় কখনো আলোচনা হতে পারে। পর হতে হতে হিংস্র হয়ে উঠবে।
অরুণের এখন একটা পথ খোলা। তার করাটা চুড়ান্ত।
বারবার জীবন খুশী হতে চাওয়া মানুষটি আমার আত্মঘাতী আক্রমণটি নিয়ে ফেলো।
বরুনা সবমিলিয়েও একফোটা জল ফেলোনা আমার এই বরুনা এক সময় অরুনের সাথে দেখা না হলে ঝাপসা সামিল আল্পনা আঁকতো।
বরুনা এখন আরুনদের। হাজার অরুন-লক্ষ-কোটি কোটি অরুন এখন বরুনার অরুন-মুখে।
বরুনার এখন অবসর নেই তাকাবার। বরুনা এখন পুলিশ কনডেম সেলের দিকে।
****নস্ট হওয়া অতীত আজকে দাড়িয়ে থাকে অগোছালো কার্নিসে।
ভয়ানক নিদ্রাহীন অতীতের স্নিগ্ধতার কাছে একরাশ দুঃখের গল্প বলে আজ বড় অপরাধ। ইমোশনাল হয়ে বছর সাতেক আগে দূরত্বে কোন প্রিয়জনের কাছে ফিরে যায় কোন এক ঘাসফড়িং।
প্রস্থান-আগামন বাস্তব শৈল্পিক আজকাল। কৃষ্টি- কালচারের মত। চারলে যৌন আদিম মগ্ন কোন লক্ষ্যী বসন্ত হওয়া যায় নগ্ন ছাত্রের চার হাত-পা।
বিষন্ন মনে তোমার খুঁজি নির্বিচন চারদিক। কনডেম সেলের মত ফেরারী মনটা ছুইছুই করে হৃদয়ের গভীরে যাবার।
আমার সাথে হয়না- আমাকে ঋজু হতে তোমার সব অসমাপ্ত চাওয়াতে দুর্ধাহীন আত্মসমর্পন।
আমি আমার অনেক আমিও থেকে যাবো কোন অচেনা পংক্তিতে।
ভালো আছি- ভালো- থেকো
♥♥♥
দ্বিধাহীন আমি
অদ্ভুত খেয়াল
বাতাসে ছড়িয়ে পড়ছে অবিশ্বাস আর প্রনয়সম্ভার। তীর্থজলে সাতরাই তৃষ্ণা জুড়াতে। কোন কোন জোছনা রাতে জন্ম নেয় জমজ ধ্রুপদী কষ্ট। নৈঃশব্দ ভাঙ্গা উজানে ভেসে আসে ছদ্ম কবিয়াল। রেলগাড়ীর শব্দের মতো মিলিয়ে যায় তোমার চোখের চাহন।
এ যেন বাতিঘর – এ যেন বিরামহীন শৈশব।