বিভিন্ন প্রতিযোগীতামূলক পরীক্ষায় (বিসিএস, ব্যাংক, প্রাইমারী, নিবন্ধন ইত্যাদি) সাধারণত বিজ্ঞান থেকে প্রশ্ন এসে থাকে। এজন্য ৮ম ও ৯ম-১০ম শ্রেণীর সাধারণ বিজ্ঞান বইটি পড়লে প্রতিযোগীতায় উত্তর করা অনেক সহজতর হয়। তাছাড়াও এই তথ্যগুলো অষ্টম শ্রেণীতে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদেরও অনেক উপকারে আসবে। আজকে ৮ম শ্রেণীর সাধারণত বিজ্ঞান বইয়ের তৃতীয় ও চতুর্থ অধ্যায় থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো তুলে ধরা হলো। পর্যায়ক্রমে সবগুলো অধ্যায় নিয়ে আলোচনা করব ইনশা-আল্লাহ।
তৃতীয় অধ্যায়: ব্যাপন, অভিস্রবণ ও প্রস্বেদন
১। ব্যাপন বলতে অধিক ঘনত্বযুক্ত স্থান থেকে কম ঘনত্বযুক্ত স্থানের দিকে অণুর ছড়িয়ে পড়াকে বোঝায়। এই ঘনত্ব সমান না হওয়া পর্যন্ত ব্যাপন চলতে থাকে।
২। অভিস্রবণ ও ব্যাপনের মধ্যকার উল্লেখযোগ্য পার্থক্য হচ্ছে পর্দার উপস্থিতি থাকা না থাকা। এই পর্দা তিন প্রকার। যথা: ক) অভেদ্য, খ) ভেদ্য ও গ) অর্ধভেদ্য পর্দা।
ক) অভেদ্য পর্দা – উদাহরণ: পলিথিন, কিউটিনযুক্ত কোষপ্রাচীর।
খ) ভেদ্য – কোষপ্রাচীর।
গ) অর্ধভেদ্য পর্দা – কোষ পর্দা, ডিমের খোসার ভিতরের পর্দা, মাছের পটকার পর্দা ইত্যাদি।
৩। অভিস্রবণের জন্য সাধারণত অর্ধভেদ্য পর্দার প্রয়োজন হয়।
৪। কিসমিসের পানি শোষণ ও ফুলে ওঠা হচ্ছে অভিস্রবণের উদাহরণ।
৫। কলয়েড ধর্মী পদার্থ: স্টার্চ, সেলুলোজ, জিলেটিন ইত্যাদি কলয়েড ধর্মী পদার্থ।
৬। কলয়েড ধর্মী পদার্থ যে প্রক্রিয়ায় পানি শোষণ করে তাই – ইমবাইবিশন।
৭। প্রস্বেদন বলতে সাধারণত পত্ররন্ধ্রীয় প্রস্বেদনকেই বোঝায়। এটি তিন প্রকার। যথা: ক) পত্ররন্ধ্রীয় প্রস্বেদন, খ) ত্বকীয় বা কিউটিকুলার প্রস্বেদন এবং গ) লেনটিকুলার প্রস্বেদন।
৮। উদ্ভিদের Necessary Evil বলা হয় – প্রস্বেদনকে।
৯। সাধারণ অণুবীক্ষণ যন্ত্রের সাহায্যে পত্ররন্ধ্র ও খালি চোখে কাণ্ডের লেন্টিসেল দেখা যায়।
১০। বীজ থেকে শিশু উদ্ভিদ উৎপন্ন হওয়ার প্রক্রিয়াকে অঙ্কুরোদগম বলে। সঠিকভাবে অঙ্কুরোদগম হওয়ার জন্য পানি, তাপ ও অক্সিজেন প্রয়োজন।
চতুর্থ অধ্যায়: উদ্ভিদের বৃদ্ধি
১। উদ্ভিদের সকল কাজ নিয়ন্ত্রণকারী জৈব রাসায়নিক পদার্থের নাম – ফাইটোহরমোন বা বৃ্দ্ধিকারক বস্তু।
২। উদ্ভিদের বৃদ্ধি সহায়ক হরমোন তিনটি। যথা: ক) অক্সিন খ) জিব্বেরেলিন গ) সাইটোকাইনিন।
ক) অক্সিন – চার্লস ডারউইন প্রথম অক্সিন আবিষ্কার করেন। অক্সিন প্রয়োগে শাখা কলমে মূল গজায়, ফলের অকালে ঝরেপড়া রোধ করে।
খ) জিব্বেরেলিন – খাটো উদ্ভিদ অন্যান্য উদ্ভিদ থেকে বড় হয় জিব্বেরেলিন হরমোন প্রয়োগ করলে।
গ) সাইটোকাইনিন – ।
৩। বৃদ্ধি প্রতিবন্ধক হরমোন – ক) অ্যাবসাইসিক এসিড ও খ) ইথিলিন।
৪। ইথিলিন হরমোনটি গ্যাসীয় পদার্থ। এটি ফল পাকাতে সাহায্য করে।
৫। ইন্ডোল অ্যাসেটিক এসিড ক্ষতস্থান পূরণে সহায়তা করে।
৬। স্নায়ুতন্ত্রের প্রধান অংশ মস্তিষ্ক। মস্তিষ্ক অসংখ্য বিশেষ কোষ দ্বারা গঠিত। এরা নিউরন বা স্নায়ুকোষ নামে পরিচিত।
৭। স্নায়ুতন্ত্রের গঠন ও কার্যকরী একক হচ্ছে নিউরন।
৮। নিউরন মানবদেহের দীর্ঘতম কোষ।
৯। নিউরন দুটি প্রধান অংশ নিয়ে গঠিত। যথা: ক) কোষ দেহ খ) প্রলম্বিত অংশ।
ক) কোষদেহ – কোষদেহ হচ্ছে নিউরনের প্রধান অংশ। এতে সেন্ট্রিওল থাকে না। তাই এটি বিভাজিত হয় না।
খ) প্রলম্বিত অংশ – এটি এক্সন ও ডেনড্রনের সমন্বয়ে গঠিত।
১০। স্নায়ুকোষের এক্সন ও ডেনড্রাইটের মিলনস্থানকে বলে – সিনাপস।
১১। স্নায়ুতন্ত্রকে তিনভাগে ভাগ করা যায়।
১২। কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্র – মস্তিষ্ক ও মেরুরজ্জু নিয়ে গঠিত।
১৩। মস্তিষ্ক মেনিনজেস নামক পর্দা দ্বারা আবৃত থাকে।
১৪। মেরুরজ্জু মেরুদন্ডের ভেতর সংরক্ষিত থাকে।
১৫। রেচন পদার্থ হলো সেই সকল পদার্থ যেগুলো দেহের জন্য অপ্রয়োজনীয় ও ক্ষতিকর।
১৬। রেচন অঙ্গ তিনটি। যথা: ফুসফুস, চর্ম ও বৃক্ক। এদের মধ্যে বৃক্কই হচ্ছে প্রধান রেচন অঙ্গ।