আসসালামু আলাইকুম সবাইকে। আশা করি সবাই আল্লাহর রহমতে অনেক ভাল আছেন। আমরা বর্তমানে সবাই ইলেকট্রনিক ডিভাইস অনেক বেশি ব্যবহার করে থাকি। আমাদের দৈনন্দিন জীবন থেকে শুরু করে ব্যবসায়িক, পারিবারিক এবং অফিশিয়াল অনেক কাজেই এ সকল ডিভাইসের ব্যবহার ব্যাপকভাবে করা হয়। এই ডিভাইস গুলোর মধ্যে ল্যাপটপ একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ইলেকট্রনিক ডিভাইস যার মাধ্যমে আমরা আমাদের বিভিন্ন ধরনের অফিশিয়াল কাজ সম্পন্ন করে থাকি।
কম্পিউটার আবিষ্কার হওয়ার পর থেকেই প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে গিয়েছিল যে কিভাবে একে মানুষের হাতের মুঠোয় নিয়ে আনা যায়। যেখানে কম্পিউটার একই স্থান থেকে অন্য স্থানে স্থানান্তর করতে বেশ খানিকটা বেগ পেতে হয় সেখানে ল্যাপটপ আসার পর থেকে অনেকটাই সহজ হয়ে গিয়েছে। মানুষ যেকোন স্থানে এটি বহন করে নিয়ে যেতে পারে। এর জন্য তেমন কোন ব্যবস্থার প্রয়োজন নেই। খুব সহজেই এটি বহন করা যায় এবং বিদ্যুৎ সরবরাহ বিদ্যমান আছে এমন জায়গায় এটি খুব সহজেই চার্জ করে নেওয়া যায়। ল্যাপটপ এর মধ্যেই এর চালিকাশক্তি ব্যাটারি বিদ্যমান।
কিন্তু আমরা যদি ভালোভাবে লক্ষ্য করি তবে দেখা যায় ল্যাপটপ ব্যবহার করার বেশ কিছু সময় পার হয়ে যাবার পর এর ব্যাটারির আয়ুষ্কাল ধীরে ধীরে কমে যেতে শুরু করে। একই ল্যাপটপ যেখানে প্রথমে দুই থেকে আড়াই ঘন্টা সজাগ থাকত সেখানে কয়েক বছরের মধ্যেই সে তার সক্ষমতা হারিয়ে এক ঘন্টায় নেমে আসে। কিন্তু কেন এরকম ঘটে?
ল্যাপটপের ব্যাটারির ক্ষমতা কমে যাওয়ার কারণ এবং প্রতিকার:
আমরা সবাই প্রায় সময় ল্যাপটপ চার্জে দিয়ে ব্যবহার করি। মোবাইলের বেলায় আমরা কেউই এই কাজটি করি না। কারণ আমরা জানি চার্জরত অবস্থায় মোবাইল ফোন ব্যবহার করলে তা ব্যাটারির ক্ষেত্রে বিরূপ প্রভাব ফেলে। ব্যাটারি বেশি উত্তপ্ত হয়ে যায় এবং এর আয়ুষ্কাল কমে যায়। ল্যাপটপের ক্ষেত্রেও কি এরকমটা ঘটে থাকে? আসলে না।
ল্যাপটপ চার্জার দিয়ে চালানোর ক্ষেত্রে বেশিরভাগ বিদ্যুৎ ব্যবহৃত হয় ল্যাপটপ চালানোর কাজে। বাকি অংশ দিয়ে এটি তার ব্যাটারি চার্জ করতে সক্ষম হয়। তাই চার্জ দিয়ে চালানোর ক্ষেত্রে তেমন কোনো অসুবিধা হয় না। কিন্তু সমস্যা তখন হয় যখন আমরা সব সময় চার্জ দিয়ে এটি ব্যবহার করি। ল্যাপটপের ব্যাটারি এতে তার কার্যক্ষমতা কমিয়ে দেয়। তাপ এক্ষেত্রে একটি নীরব ভূমিকা পালন করে।
ল্যাপটপ এ উৎপন্ন তাপ বের করে দেওয়ার জন্য এর ভেতরে একটি কুলিং ফ্যান থাকে যার দ্বারা এটি তার ভেতরে উৎপন্ন তাপ বের করে দিতে সক্ষম হয়। কিন্তু আমরা যারা নিজের ইচ্ছামত ল্যাপটপ ব্যবহার করে থাকি এবং এর ভেতরে উৎপন্ন গরম বাতাস বের করে দিতে বাধা দেই তাতে ব্যাটারির আয়ুষ্কাল অনেকটা কমে যায়। মূলত এই কয়েকটি ঘটনার কারণে ব্যাটারির আয়ু কমে যায়। যার কারণে এটি পূর্বের মতো পারফর্মেন্স দিতে ব্যর্থ হয়। এই সমস্যা সমাধানের জন্য আমাদের করণীয়:
- ১. ল্যাপটপের ব্যাটারির ব্যবহার সুনিশ্চিত করা।
- ২. সব সময় চার্জিং করে ল্যাপটপ না চালানো।
- ৩. এমন ভাবে চালানো যেন এর ভেতরে উৎপন্ন তাপ বাইরে বের হতে বাধা না পায়।
- ৪. কুলিং প্যাড ব্যবহার করা যেতে পারে।
- ৫. নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সংযোগ থাকবে এই অবস্থায় ল্যাপটপ চার্জ করা।
- আশা করি পোস্টটি আপনাদের উপকারে আসবে।
ধন্যবাদ।