স্বাস্থ্যই হলো সকল সুখের চাবিকাঠি। ব্যস্ততার এই যুগে মানুষ চাইলে ও নিজ স্বাস্থ্যের প্রতি তেমন একটা নজর দিতে পারে না। যার ফলে ওজন বৃ্দ্ধি, হার্টে সমস্যা, ডায়াবেটিস,উচ্চ রক্তচাপ, ক্যান্সার সহ নানা রোগে অাক্রান্ত হয়। নিজ স্বাস্থ্যের প্রতি অবহেলার কারণে মানুষ জটিল বিভিন্ন রোগে অাক্রান্ত হয়ে অকালে মৃতু্্যবরন পর্যন্ত করে থাকে।তাই জটিল রোগে অাক্রান্ত না হয়ে, অামরা নিজেকে সেফ রাখার চেষ্টা করব, আর যতদিন বেঁচে থাকব, ততদিন চেষ্টা করব রোগমুক্ত হয়ে বঁাচার জন্য।
স্বাস্থ্যকর হওয়া অনেক বিষয়ের প্রতি নির্ভর করে থাকে।যেমনঃ আপনার জেনেটিক্স, ডায়েট, ব্যায়ামের রুটিন এবং জীবনধারা। অাপনি যেহেতু অাপনার জিনস নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন না, কিন্তু কিছু কিছু বিষয় অাছে, যা অাপনাকে স্বাস্থ্যকর জীবন যাপন করতে সহায়তা করবে। আপনাকে স্বাস্থ্যকর করতে সাহায্য করার জন্য আপনার খাদ্য, ব্যায়াম এবং অন্যান্য জীবনধারার কারণগুলিতে পরিবর্তন করার দিকে মনোনিবেশ করুন।
স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করার জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করুন
১.ডাক্তারদের সাথে অ্যাপয়েন্টমেন্ট করুনঃ
স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করার জন্য ডাক্তারের নিকট পরামর্শ গ্রহণ করা দরকার। একজন ডাক্তারই পারেন অাপনাকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করতে।স্বাস্থ্যকর জীবন যাপন করতে হলে অাপনাকে কি শুরু বা কি বন্ধ করতে হবে, ডাক্তাররাই অাপনাকে ভাল বলতে পারবে। অাপনার বর্তমান স্বাস্থ্যের কি অবস্থা তা বিশেষজ্ঞের কাছে অালোচনা করুন,প্রয়োজনীয় পরামর্শ গ্রহণ করুন ও দরকারে চিকিৎসা নিন।অাপনি বছরে দুইবার ডেন্টিস্ট দেখান। অার একজন হরমোন বিশেষজ্ঞ দেখাবেন।
২. ওজন পরিমাপ করুন:
প্রায় প্রতিদিনই আপনার ওজন পরিমাপ করুন এবং নোট করুন। ওজনই বলে দেবে আপনার স্বাস্থ্য এর অবস্থা এখন কেমন? আপনার নির্দিষ্ট ওজনের কাছাকাছি আছেন নাকি ওজন বেশি ওজন কতটুকু কমাতে পারলে ভালে হবে। ওজন সবসময় নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করুন। আপনার কোমরের পরিধি পরিমাপ করুন। আপনার ওজন এবং স্বাস্থ্য ব্যাখ্যা করার আরেকটি উপায় হল আপনার কোমরের পরিধি পরিমাপ করা। একটি বড় কোমর মানে আপনার ভিসারাল চর্বি উচ্চ পরিমাণ যা আপনার স্বাস্থ্যের জন্য বিপজ্জনক হতে পারে। পুরুষদের কোমরের পরিধি 40″ এর কম এবং মহিলাদের 35″ এর কম হওয়া উচিত। এছাড়া ও অনলাইন ক্যালকুলেটর দিয়ে আপনি BMI ওজন বের করতে পারেন।
৩.একটি Journal বা ডায়রীতে নোট করে রাখতে পারেন:
আপনি একটি ডায়রীতে নোট করে রাখতে পারেন।আপনি এখানে আপনার লক্ষ্য,খাদ্যাভাস লিখে রাখতে পারেন। এই আইটেমগুলি আপনাকে কি করতে হবে,সেই লক্ষ্যগুলি আপনাকে পূরণ করতে সহায়তা করবে।
আপনার কি লক্ষ্য রয়েছ কিভাবে জীবনযাপন করতে চান,আপনার প্রতিদিনের খাদ্যের তালিকা লিখে রাখতে পারেন।
৪. খাবার পরিকল্পনা লিখুন:
আপনি যখন স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন করছেন,তখন খাদ্যাভাসের দিকে নজর দেওয়া আবশ্যক। খাবার পরিকল্পনা লিখে রাখলে আপনার সেটা মেনে চলতে সুবিধা হবে। আপনি প্রতিদিন যা খাচেছন তা শরীর গঠনের পাশাপাশি ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করবে।
৫.প্রচুর পানি পান করুন:
প্রতিদিন প্রচুর পানি পান করার চেষ্টা করুন,অথবা ফলের রস বা শরবত। ফল কিনে বাড়ি এনে তারপর ফলের শরবত বানিয়ে পান করুন।
৬. মাদকদ্রব্য গ্রহণ থেকে বিরত থাকুন:
অত্যধিক মাদক দ্রব্য গ্রহণ করার পরিমাণ আপনার নিশ্চয়ই জানা আছে। কোন রকম মাদকে আসক্ত থাকলে তা ছেড়ে দিন।
৭. সময়মতো ঘুমাতে যান:
শরীর সুস্থ্য রাখার জন্য ঘুমের প্রয়োজন। প্রতিদিন সময়মতো ঘুমাতে যান,আর ভোরে ঘুম থেকে ওঠার চেষ্টা করুন।
৮.ভিটামিন সমৃদিধ খাবার গ্রহণ করা সম্ভব না হলে Supplement গ্রহণ করতে পারেন। তার আগে ডাক্তারের সাথে কথা বলে নিন।নিন। ভিটামিন এ, ডি, ই এবং কে চর্বি-দ্রবণীয়, যার অর্থ আপনি যদি খুব বেশি গ্রহণ করেন তবে আপনি কেবল অতিরিক্ত প্রস্রাব করবেন না, তবে এটি আপনার শরীরে থাকবে। এটি খুব বিপজ্জনক হতে পারে, এবং তাই আপনার কতটা গ্রহণ করা উচিত সে সম্পর্কে আপনার ডাক্তারের সাথে কথা বলা গুরুত্বপূর্ণ।