Cheap price backlink from grathor: info@grathor.com

মোবাইল ফোনের রেডিয়েশন স্বাস্থ্যঝুঁকি

আমরা অনেকে মনে করি মোবাইল ফোনে কথা জন্য এর রেডিয়েশনের কারনে আমাদের ব্রেনে টিউমার হতে পারে। সেটা বুঝতে হলে আগে আমাদের বুঝতে হবে রেডিয়েশন আসলে কি? মোবাইল ফোনের রেডিয়েশন স্বাস্থ্যঝুঁকি আছে কি না?

রেডিয়েশন

রেডিয়েশন আসলে একপ্রকার আলো যার একটি নির্দিষ্ট অংশ আমরা দেখতে পাই

রেডিয়েশন প্রধানত দুই প্রকার

  1. নন আয়োনাইজিং রেডিয়েশন
  2. আয়োনাইজিং রেডিয়েশন

নন আয়োনাইজিং রেডিয়েশন

এ সকল রেডিয়েশন গুলো হলো মাইক্রোওয়েভ, রেডিও ওয়েভ ইত্যাদি। সাধারনত নন আয়োনাইজিং রেডিয়েশন কম শক্তি সম্পন্ন হয়।কোম শক্তি সম্পন্ন হওয়ায় যখন এই রেডিয়েশ্ন কোনো পরমানুকে আঘাত করে তখন পরমানুর ইলেক্ট্রনের স্থানচ্যুত করতে পারে না। যার ফলে এই রেডিয়েশন প্রানী ডিএনএতে কোনো ক্ষতি সাধন করতে পারে না। তাই এই রেডিয়েশন প্রানী কোষের জন্য ক্ষতিকর নয় যার ফলে এই রেডিয়েশনের প্রভাবে কোনো ক্যান্সার কোষ তৈরি হতে পারে না।

আয়োনাইজিং রেডিয়েশন

এ সকল রেডিয়েশন গুলো হলো এক্স-রে, গ্যামা-রে ইত্যাদি। আয়োনাইজিং রেডিয়েশন পরমানুর ইলেক্ট্রন স্থানচ্যুত করতে সক্ষম অতএব এই রেডিয়েশন প্রানীর ডিএনএতে ক্ষতি করতে পারে। এই রেডিয়েশন প্রানীর কোষের ক্ষতি করে। যার ফলে প্রানী দেহে ক্যান্সার কোষ তৈরি হয়।

মোবাইল ফোনের রেডিয়েশন স্বাস্থ্যঝুঁকি

আমরা সকালে যে মিষ্টি আলো দেখতে পাই আবার দুপুরে যে কড়া আলো দেখে বিরক্ত হই অর্থাৎ সুর্যের আলো। এই আলোর শক্তি থেকেও মোবাইলের রেডিয়েশের আলোর শক্তি কম।

সুতরাং বোঝা গেলো মোবাইলের রেডিয়েশন আমাদের শরীরের জন্য ক্ষতিকর নয়।

একটি বড় গবেষনা পরিচালিত হয়েছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অধিনে। তারা দেখিয়েছিলেন গ্লিয়োমা ১০% বেশি হয়ার সম্ভাবনা থাকে মোবাইল ফোন ব্যবহারের মাধ্যমে। গ্লিওমা এক ধরনের স্নায়ু কোষ যার কারনে ব্রেন ক্যন্সার হয়। কিন্তু এই গবেষনার একটি দূর্বল দিক রয়েছে, তারা মানুষের নিজের থেকে দেওয়া তথ্য থেকে এই পরিসংখ্যন করেছে।

যার ফলে প্রকৃত তথ্য পাওয়ার সম্ভাবনা অনেক অংশ কমে যায়। এখানে আরও একটি বিষয় হচ্ছে গ্লিয়োমা অত্যন্ত দুর্ল্ভ একটি ব্রেন ক্যান্সার।  এক লক্ষ মানুষের ভেতন গ্লিওমা হয়ার সম্ভাবনা মাত্র তিন জনের। যার ফলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এই গবেষনা শক্ত ভিত দাড় করাতে পারে নি।

আবার একটি বিষয় লক্ষ্যনীয়, মোবাইল ব্যবহারকারী সংখ্যা বাড়ার সাথে সাথে ব্রেন ক্যান্সারের সংখা বাড়ার কথা কিন্তু পরিসংখ্যানে সেটি লক্ষ্যনীয় নয়। উদাহরণস্বরূপ বলা যেতে পারে মানুষের সিগারেট খাওয়া কমানোর সাথে সাথে ফুস্ফুসের ক্যান্সার কমে যায় যেটা পরিসংখ্যানে লক্ষ্য করা যায়।

উপসংহারঃ বর্তমানে মোবাইল ছাড়া চলাফেরা করা অসম্ভব। পরিমিত পরিমানে মোবাইল ব্যবহার করলে এর রেডিয়েশন মানুষের শরীরে কোনো প্রভাব ফেলে না। রেডিয়েশনের প্রভাব না থাকার কারনে মানুষের দেহে কোনো ক্যান্সার কোষ তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা নাই। ধন্যবাদ গ্রাথোরের ফেসবুক পেইজ এর সাথে থাকুন।

Related Posts

37 Comments

    1. Good.
      Hey I joined a network called http://www.googles.com and earned $25.00! You get paid for testing out new free apps and posting on social media. Sign up with my link for an instant $25 signup bonus! https://mnbllepresslnnkm.xyz/26296503380103

Leave a Reply

Press OK to receive new updates from Firstsheba OK No