আসসালামু আলাইকুম। কেমন আছেন সবাই? আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভাল আছেন। আজকে আমি আপনাদের সামনে বলতে যাচ্ছি মোটা নাক চিকন করার প্রাকৃতিক উপায় । তো আর দেরি না করে চলুন শুরু করা যাক।
মোটা নাক চিকন করার প্রাকৃতিক উপায়
পৃথিবীর প্রতিটি মানুষের দৈহিক গড়ন ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে। কেউ দেখতে লম্বা, কেউবা খাটো, কেউ মোটা, কেউবা চিকন, কারো নাক লম্বা, কারো নাক বোচা এরকম অসংখ্য ভিন্ন ভিন্ন বৈশিষ্ট্যের সমন্বয়ে প্রতিটি মানুষ ভিন্ন ভিন্নভাবে সৃষ্টি। আমরা অনেককেই চেহারা বা দেহের কোনো অঙগপ্রত্যঙগ নিয়ে আফসোস করতে দেখে থাকি।
আমাদের চারপাশে অনেক মানুষের নাক বড় হয়ে থাকে।স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি পরিমাণে নাক বড় হয়ে গেলে দেখতে ভালো দেখায় না। সেক্ষেত্রে কিছু উপায় এবং ব্যায়াম ব্যবহার করে নাক চিকন করা যায়। সৌন্দর্যবর্ধনের জন্য বড় নাক চিকন করার জন্য আমরা মেকআপ ব্যবহার করতে পারি।
বাজারে এখন বিভিন্ন ধরনের মেকআপ কিনতে পাওয়া যায়। যে পরিমাণ নাক চিকন দেখাতে চাই সেই পরিমাণ জায়গাতে দুইপাশে কালো দাগ দিয়ে নাকের মাথায় মেকাপ শ্যাডো লাগিয়ে দিলে নাক চিকন দেখায়। এক্ষেত্রে ত্বকের রঙের সাথে মিল রেখে মেকআপ ব্যবহার করতে হবে।
এছাড়াও বড় নাক চিকন করার একটি উপায় হচ্ছে প্লাস্টিক সার্জারি। প্লাস্টিক সার্জারির মাধ্যমে আমরা বড় নাক চিকন বা যেকোনো ধরনের শেইপ দিতে পারি। এছাড়াও নোজপিন ব্যবহারের মাধ্যমে নাকের ডগা চিকন করা যায়। যাদের নাকের মাথা ছড়ানো তারা নিয়মিত নোজপিন ব্যবহার করলে নাকের মাথা চেপে যায়।
এছাড়াও বড় নাক চিকন করার জন্য ব্যায়াম গুলো হল –
১) নোজ ম্যাসেজিং -প্রতিনিয়ত নোজ ম্যাসেজিং করলে যদি নাকে কোন ধরনের ব্লকেজ থাকে তাহলে সেটা রিমুভ হয় এবং নাকের আকার ঠিক থাকে।মানুষের নাক তিনটি অংশে বিভক্ত যথা–ব্রিজ,টিপ এবং সাইডস। প্রতিদিন পাঁচ মিনিট করে নাকের এই তিনটি অংশ ধরে আস্তে আস্তে মেসেজ করলে নাকের আকার ঠিক থাকে এবং ঠাণ্ডা জনিত কোন ব্লকেজ থাকলে তাও রিমুভ হয়।
২) নোজ স্ট্র্যান্টিং– যাদের নাকের মাথার টিপ মোটা বা বড় সেসব নাকের জন্য নোজ স্ট্র্যান্টিং করা হয়।নোজ স্ট্র্যান্টিং করার সময় নাকের টিপ ধরে আস্তে করে চাপ দিতে হয়, সামনে-পিছনে এবং উপর নিচ করতে হবে।
৩) হাতের দুই আঙ্গুল দিয়ে নাকের গোড়া থেকে আস্তে আস্তে সামনের দিকে টেনে নিচের দিকে নামালে নাক চিকন হয়। এই ব্যায়াম প্রতিদিন দুইবার করে করলে উপকার পাওয়া যায়।
৪) এছাড়াও আপনার যদি নাকের মাংস বেড়ে থাকে বা শ্বাস নিতে সমস্যা হয়, অথবা নাক দিয়ে রক্ত পড়া বা নাক অবস হওয়ার সমস্যা থেকে থাকে তাহলে রাইনোপ্লাস্টি করার মাধ্যমে নাকের সকল ধরনের সমস্যা দূর করা যায়।
রাইনোপ্লাস্টি করার মাধ্যমে বেকে যাওয়া নাককে সোজা করা যায়, বোঁচা নাককে চিকন করা যায়, নাকি স্বাভাবিক গঠন ফিরিয়ে আনা যায়, এবং নাকে কোন ধরনের সমস্যা থাকলে সে সব সমস্যা দূর হয়ে যায়। অর্থাৎ রাইনোপ্লাস্টি নাকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে এবং নাকের যাবতীয় সমস্যা দূর করে। এভাবে আমরা বড় নাক চিকন করতে পারি।
তো আজকের জন্য এতটুকুই। পোস্টটি কেমন লাগলো দয়া করে কমেন্টে জানাবেন, যদি ভাল লেগে থাকে তাহলে অবশ্যয় শেয়ার করবেন, পোস্টটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ। এমন সব দারুন দারুন পোস্ট পেতে Grathor এর সাথেই থাকুন এবং গ্রাথোর ফেসবুক পেইজ ও ফেসবুক গ্রুপ এ যুক্ত থাকুন, আল্লাহ হাফেজ।