আসসালামুআলাইকুম পাঠকগন। আশা করি সবাই ভাল আছেন। আজকের বিষয়টি হল উকুন নিয়ে।মানুষের মাথায় কমবেশি উকুন হয়ে থাকে।তাই এটি দুর করার জন্য দুইটি বিষয় আলোচনা করবো। উকুন দূর করার উপায় ঔষধ, উকুন দুর করার অনেক পদ্ধতি রয়েছে। এর মধ্যে ২টি সহজ পদ্ধতি রয়েছে। প্রথম পদ্ধতি হল ঔষুধ, দ্বিতীয় পদ্ধতি হল ঘরোয়া প্রাকৃতিক উপায়।
উকুন দূর করার উপায় ঔষধ, সহজ ঘরোয়া পদ্ধতিতে
এই ৩টি পদ্ধতির মধ্যে আপনাদের সুবিধামত যে কোনো পদ্ধতি অনুসরন করতে পারেন। উকুন দুর করার জন্য অনেক ঔষুধের নাম রয়েছে যা ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ব্যবহার করতে হয়।তবে এরমধ্যে যে ঔষুধটি রয়েছে তা ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়াই ফার্মেসি থেকে কিনে এনে ব্যবহার করতে পারবেন। প্রথম পদ্ধতিতে ঔষুধটির নাম হল এলাইস বা লিকনিল। এটি ফার্মেসিতে ১৩০ টাকায় পাওয়া যায়।
ঔষুধটি ব্যবহারের নিয়ম হল- ৬মাস থেকে শুরু করে তার বেশি বয়সীরা এই ঔষুধটি ব্যবহার করতে পারবেন। চুল শুকনা অবস্থায় মাথার তালুতে প্রথমে ওষুধ লাগাবেন। তারপর চুলের গোড়া থেকে আগা পর্যন্ত ওষুধ টা লাগাবেন। এই ব্যাবহারটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পুরো মাথার তালু আর সবগুলো চুল ও চুলের গোড়া থেকে আগা পর্যন্ত যাতে ওষুধ লাগাতে হবে। তারপর ঘড়ি দেখে ১০ মিনিট পর্যন্ত অপেক্ষা করে পানি দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলতে হবে।
ঔষুধটি ব্যবহারের পর মাথায় শ্যাম্পু বা সাবান ব্যবহার করা যাবে না। যদি চুল শ্যাম্পু করতে চান অন্তত ২৪ ঘন্টা পরে শ্যাম্পু করতে হবে। এই ওষুধ টা একবার লাগালে সাধারণত সব উকুন মারা যায়। আমেরিকার এক গবেষণায় দেখা যায়, এই ঔষুধটি একবার ব্যবহারের মাধ্যমে ৯৫% উকুন মারা যায়।
এই ঔষুধে কোনো পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া বা সাইড ইফেক্ট নাই। উকুন মারার জন্য এটি খুবই নিরাপদ ও কার্যকর ঔষুধ। ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়াই এই ঔষুধ ব্যবহার করা যাবে। বছরের পর বছর যখন মনিটর করে দেখা যায় এই
ঔষুধটি নিরাপদ ও কার্যকর এবং কোনো সাইড ইফেক্ট নাই সেসকল ঔষুধকে ওটিসি বলে গণ্যিত করা হয়।
তবে এখানে দুটি ব্যতিক্রম আছে। যারা গর্ভবতী বা বাচ্ছাকে বুকের দুধ খাওয়ায় তাদেরকে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ব্যবহার করতে হবে।এছাড়া এই ঔষুধে খুশকি, জ্বালাপোড়া, চুল শুষ্ক হওয়া ও চোখে গেলে চোখ জ্বালাপোড়া করতে পারে। চোখে গেলে হালকা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে।
দ্বিতীয় পদ্ধতি হল ঘরোয়া প্রাকৃতিক উপায়। যারা কোনো পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া বা সাইড ইফেক্ট চান না তারা প্রাকৃতিক ফর্মুলা ব্যবহার করে উকুন দুর করতে পারবেন। এই ফর্মুলা ব্যবহার করে উকুন দুর করতে ২ সপ্তাহ সময় লাগে। এই দুই সপ্তাহে ৪ বার ফর্মুলাটি চুলে দিয়ে উকুনের চিরুনি দিয়ে চুল আচড়াঁতে হবে। দিনগুলো হলো- প্রথম দিন, পঞ্চম দিন, নবম দিন ও তেরো তম দিন। অতএব প্রতিবার চুল আচরানোর মাঝে তিন দিনের দুরত্ব থাকতে হবে।
প্রাকৃতিক উপায়ে ব্যবহারের নিয়ম হল / উকুন দূর করার উপায় ঔষধ
সাধারনত উকুন দুর করার জন্য আমরা উকুনের চিরুনি ববহার করি। কিন্তু আচরানোর পর আবার দেখা যায় মা্থায় উকুন ভরে গেছে।উকুনের চিরুনি দিয়ে আচরালে বড় উকুন পড়ে যায়, তবে উকুনের যেই ডিম গুলো চুলের মধ্যে থেকে যায় সেগুলো সাত দিনের মধ্যে বড় হয়ে আবার নতুন করে ডিম পাড়ে। এইভাবে চুলে আবার উকুন ভরে যায়। তাই উকুন দুর করার জন্য প্রাকৃতিক উপায়ে প্রথম দিন, পঞ্চম দিন, নবম দিন ও তেরো তম দিনের ফর্মুলা ব্যবহার করে উকুন দুর করতে হবে।
তবে ফর্মুলাটি ভেজা চুলে ব্যবহার করতে হবে। তাহলে উকুনের ডিম, বাচ্ছা ও বড় উকুনসহ সবই দুর হয়ে যাবে।চুল ভেজানোর জন্য তেল বা পানি দিয়ে ভিজিয়ে তারপর ভেজা চুলে উকুনের চিরুনি দিয়ে আচরালে উকুন দুর হয়ে যাবে। কারন ভেজা চুলে উকুন বেশি নড়াচড়া করতে পারে না।তিন দিন পরপর এই পদ্ধতিটি অবলম্বন করতে হবে।এই পদ্ধতিটি ঔষুধের চেয়েও বেশি উপকারি। গবেষনায় দেখা যায়, এই পদ্ধতিটিও অত্যন্ত কার্যকরী একটি উপায়।
তো আজকের জন্য এতটুকুই। পোস্টটি কেমন লাগলো দয়া করে কমেন্টে জানাবেন, যদি ভাল লেগে থাকে তাহলে অবশ্যয় শেয়ার করবেন, পোস্টটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ। এমন সব দারুন দারুন পোস্ট পেতে Grathor এর সাথেই থাকুন এবং গ্রাথোর ফেসবুক পেইজ ও ফেসবুক গ্রুপ এ যুক্ত থাকুন, আল্লাহ হাফেজ।